Ajker Patrika

গণতন্ত্র চর্চায় ভোট দিল শিশুরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৩ জুন ২০২২, ১১: ৫৯
Thumbnail image

গণতন্ত্র চর্চায় সারা দেশের সঙ্গে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার শিশু শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনার পর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এর মধ্যে যশোরের আট উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক খুদে শিক্ষার্থীর ভোটে ৯ হাজার ২৩ খুদে ‘মন্ত্রী’ নির্বাচিত হয়েছে।

উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশের সঙ্গে জেলার ১ হাজার ২৮৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হয়।

এসব বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে সাত পদের জন্য ১৬ হাজার ২২৫ খুদে শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনসহ সব দায়িত্ব পালন করে শিশু শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ দুই বছর পর বৃহস্পতিবার এক বছরের জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের নেতা নির্বাচন করে। নির্বাচনে ১ হাজার ২৮৯ বিদ্যালয়ের বিজয়ীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ১২৮৯ জনকে প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ১২৮৯ জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে দু’বছর বন্ধ ছিল এই নির্বাচন। জেলার এক হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বিদ্যালয়ে ৭টি করে পদে ৯ হাজার ২৩ মন্ত্রী পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৬ হাজার ২২৫ খুদে শিক্ষার্থী।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের নেতা নির্বাচিত করেছে। এ নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তাসহ সব দায়িত্বই শিশু শিক্ষার্থীরা পালন করেছে।’

এদিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ ভোট দেয়। এ সময় প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে সাজানো হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

সাধারণ ভোটের মতোই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনের সকল আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি স্কুলে ১ বছরের জন্য ৭ জন কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দপ্তর ভাগ করে দেওয়া হবে।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা জানতে পারছে কীভাবে একটি ভোটগ্রহণ করতে হয়, গোপন কক্ষে কীভাবে ভোট দিতে হয়, কিভাবে ভোট গণনা করতে হয়, আঙুলে অমোচনীয় কালি দিতে হয়, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। নির্বাচিত এসব প্রতিনিধি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে শিক্ষকমণ্ডলীর সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, আজ উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে একযোগে এ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে নেতৃত্বের বিকাশ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা শিশুর মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ, অন্যের মতকে গুরুত্ব দেওয়াসহ নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত