এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
এক মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১১ সালের ১ মার্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হয় তার। দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াই শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১ মার্চ হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার আদেশকে বেআইনি বলেছেন উচ্চ আদালত।
সাজার দাগ তুলতে এক যুগ আইনি লড়াই চালানো খুলনার সেই স্কুলছাত্র আসিফ আহমেদ এখন যুবক। পড়াশোনা শেষে প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাকরির। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ ২০১১ সালের ১ মার্চ সে সময় দশম শ্রেণির ছাত্র আসিফ আহমেদকে আটক করে খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে। তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় এক মেয়ের শালীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ৯ (১) ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। ১৩ দিন পর জামিনে মুক্তি পান আসিফ। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৮ মার্চ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন, যা নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আসিফ ২৪ জানুয়ারি রিভিশন আবেদন করেন। খুলনার বিশেষ দায়রা জজ ও বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে সাড়ে ৯ বছর পর ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রিভিশন আবেদন খারিজ করে রায় দেন। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলাটি বাতিল চেয়ে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আসিফ। হাইকোর্ট ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ রায়ে আসিফকে খালাস দেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ৬ (১) ধারায় স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা হয়েছে, অপরাধ যখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সংঘটিত হয় তখন তা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনাস্থলেই অপরাধ আমলে নিতে পারেন এবং সাজা দিতে পারেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে এমন কোনো অপরাধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি, যা তাঁর সামনে সংঘটিত হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ নেই, যাকে পুলিশ অন্যত্র থেকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে। এই মামলায় আবেদনকারীকে বাধ্যতামূলক বিধান লঙ্ঘন করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার এই আদেশ বেআইনি এবং এখতিয়ারবহির্ভূত।
আসিফের পক্ষে হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন উজ্জল পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার বিষয়টি ঠিক ছিল না, তাই হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। এখানে নিম্ন আদালতের ধাপগুলো পার হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। যার কারণে আবেদনকারীর ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আসিফ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তাঁর চাচাতো ভাই আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ইয়ামিন বলেন, আসিফ সহজ-সরল। পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। এক মাসের সাজার বিরুদ্ধে ১২ বছর আইনি লড়াই চালানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাজা বহাল থাকলে সরকারি চাকরি হবে না। তাই খালাস পেতে লড়াই চালিয়েছেন আসিফ। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দীর্ঘ দিন লাগলেও এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এক মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১১ সালের ১ মার্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হয় তার। দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াই শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১ মার্চ হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার আদেশকে বেআইনি বলেছেন উচ্চ আদালত।
সাজার দাগ তুলতে এক যুগ আইনি লড়াই চালানো খুলনার সেই স্কুলছাত্র আসিফ আহমেদ এখন যুবক। পড়াশোনা শেষে প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাকরির। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ ২০১১ সালের ১ মার্চ সে সময় দশম শ্রেণির ছাত্র আসিফ আহমেদকে আটক করে খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে। তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় এক মেয়ের শালীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ৯ (১) ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। ১৩ দিন পর জামিনে মুক্তি পান আসিফ। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৮ মার্চ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন, যা নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আসিফ ২৪ জানুয়ারি রিভিশন আবেদন করেন। খুলনার বিশেষ দায়রা জজ ও বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে সাড়ে ৯ বছর পর ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রিভিশন আবেদন খারিজ করে রায় দেন। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলাটি বাতিল চেয়ে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আসিফ। হাইকোর্ট ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ রায়ে আসিফকে খালাস দেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ৬ (১) ধারায় স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা হয়েছে, অপরাধ যখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সংঘটিত হয় তখন তা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনাস্থলেই অপরাধ আমলে নিতে পারেন এবং সাজা দিতে পারেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে এমন কোনো অপরাধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি, যা তাঁর সামনে সংঘটিত হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ নেই, যাকে পুলিশ অন্যত্র থেকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে। এই মামলায় আবেদনকারীকে বাধ্যতামূলক বিধান লঙ্ঘন করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার এই আদেশ বেআইনি এবং এখতিয়ারবহির্ভূত।
আসিফের পক্ষে হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন উজ্জল পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার বিষয়টি ঠিক ছিল না, তাই হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। এখানে নিম্ন আদালতের ধাপগুলো পার হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। যার কারণে আবেদনকারীর ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আসিফ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তাঁর চাচাতো ভাই আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ইয়ামিন বলেন, আসিফ সহজ-সরল। পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। এক মাসের সাজার বিরুদ্ধে ১২ বছর আইনি লড়াই চালানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাজা বহাল থাকলে সরকারি চাকরি হবে না। তাই খালাস পেতে লড়াই চালিয়েছেন আসিফ। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দীর্ঘ দিন লাগলেও এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪