মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। পরবর্তী সময়ে ভিসা কার্যক্রম চালু হলেও তা চলছে সীমিত আকারে। এতে যাত্রী-সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এ অবস্থায় কয়েকটি এয়ারলাইনস ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে, কোনোটা আবার ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। নতুন করে কার্যক্রম চালুর পূর্বঘোষণা থেকে সরে এসেছে কোনো কোনো এয়ারলাইনস।
বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ার ভারতের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বর্তমানে। আর ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এসব এয়ারলাইনস মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই ও মুম্বাই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি যাত্রী-খরা দেখা দেওয়ায় প্রতিটি এয়ারলাইনসই এসব রুটে তাদের ফ্লাইট কমাতে শুরু করেছে। জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা ও চেন্নাই রুটের ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত ছিল ভারতের এয়ারলাইনস সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের। বাজেট ক্যারিয়ার হওয়ায় অন্যান্য এয়ারলাইনসের থেকে ২৫ শতাংশ কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের ঘোষণাও ছিল এয়ারলাইনসটির। তবে ভিসাপ্রাপ্তি ইস্যুতে যাত্রী না থাকায় আপাতত ঢাকায় কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) মাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মাস থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটের ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ভিসা ইস্যুতে এসব রুটে বর্তমানে যাত্রী-সংকট রয়েছে। এ কারণে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস আপাতত বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করছে না। ভারতীয় ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়টি স্বাভাবিক হলে ভবিষ্যতে এয়ারলাইনসটি কার্যক্রম শুরু করবে।
এদিকে যাত্রী-সংকটের কারণে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটের ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নভোএয়ার। কিছুদিন আগেও এ রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করত এয়ারলাইনসটি। যাত্রী কমায় বর্তমানে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা। এটিআর ৭২-৫০০ উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত ফ্লাইটগুলোর আসন সক্ষমতা ৭০ জন হলেও ফাঁকা থাকছে অর্ধেকের বেশি আসন।
এ প্রসঙ্গে নভোএয়ারের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান মেজবাউল ইসলাম জানান, যাত্রী কম হওয়ায় ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা রুটটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা বাড়া সাপেক্ষে ভবিষ্যতে রুটটি পুনরায় চালু করা হবে।
রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লি রুটে ফ্লাইট রয়েছে।
এয়ারলাইনসটির সূত্র বলছে, এসব রুটে সক্ষমতার তুলনায় মাত্র ৪০ থেকে ৪৮ শতাংশ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকা-কলকাতা রুটের সাপ্তাহিক ফ্লাইট ১৪টি থেকে কমিয়ে ৭টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। কমানো হয়েছে চেন্নাই ও দিল্লি রুটের ফ্লাইটও। আগে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট থাকলেও বর্তমানে চলছে ১টি। একইভাবে ঢাকা-চেন্নাই রুটেও সাপ্তাহিক ৩টি ফ্লাইটের পরিবর্তে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে ১টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ভারতগামী ফ্লাইটগুলোতে ক্ষেত্রবিশেষে অর্ধেক যাত্রী মিলছে। সে তুলনায় ভারত থেকে ফিরে আসা ফ্লাইটগুলোতে বেশি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।
যাত্রী-সংকটে ভুগছে বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসও। ইউএস-বাংলা প্রতি সপ্তাহে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা থেকে ১৪টি ও চট্টগ্রাম থেকে ৭টি মিলে মোট ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। যাত্রী-সংকটে বর্তমানে মাত্র ৬টি ফ্লাইট চালু আছে। অন্যদিকে ঢাকা-চেন্নাই রুটে চলা সাপ্তাহিক ১১টি ফ্লাইটের মধ্যে বর্তমানে চলছে মাত্র ৫টি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ভারতের বিভিন্ন রুটে যাত্রী কমতে শুরু করে গত জুলাই মাস থেকেই। বর্তমানে চালু থাকা ফ্লাইটগুলোতে যে সংখ্যক যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এয়ারলাইনসগুলো পরিচালন ব্যয় ওঠাতে পারছে না।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বর্তমানে সীমিত পরিসরে ভিসা ইস্যু করলেও নিয়মিত যাওয়া-আসা করেন এমন অনেক যাত্রীর কাছেই পূর্বে থেকে নেওয়া দীর্ঘ মেয়াদের মাল্টিপল ভিসা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিমানবন্দরে হয়রানি কিংবা আটকের ভয়েও অনেকে ভারত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত সরকার শুধু মেডিকেল ও শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম শুরু করেছে। আর ভ্রমণ ভিসার জন্য আগে থেকে যাঁদের পাসপোর্ট জমা ছিল, তাঁদের বড় একটি অংশও ভিসা পাননি। এ কারণে কেবল ভ্রমণ কিংবা অন্য কাজে ভারতগামী যাত্রী নেই বললেই চলে। যার প্রভাব পড়েছে এয়ারলাইনসগুলোর যাত্রী সংখ্যায়। ফলে পরিচালন ব্যয় তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে এসব রুটের এয়ারলাইনসগুলো।
এদিকে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের পর বোর্ডিং পাস সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন এমনকি বোর্ডিং গেটেও যাত্রীদের তথ্য ও পরিচয় অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পেশাজীবীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এনওসি (অনাপত্তিপত্র) যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই করা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যাত্রীদেরও। এমন অবস্থায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেও কমছে ভারতমুখী যাত্রী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। পরবর্তী সময়ে ভিসা কার্যক্রম চালু হলেও তা চলছে সীমিত আকারে। এতে যাত্রী-সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এ অবস্থায় কয়েকটি এয়ারলাইনস ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে, কোনোটা আবার ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। নতুন করে কার্যক্রম চালুর পূর্বঘোষণা থেকে সরে এসেছে কোনো কোনো এয়ারলাইনস।
বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ার ভারতের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বর্তমানে। আর ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এসব এয়ারলাইনস মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই ও মুম্বাই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি যাত্রী-খরা দেখা দেওয়ায় প্রতিটি এয়ারলাইনসই এসব রুটে তাদের ফ্লাইট কমাতে শুরু করেছে। জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা ও চেন্নাই রুটের ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত ছিল ভারতের এয়ারলাইনস সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের। বাজেট ক্যারিয়ার হওয়ায় অন্যান্য এয়ারলাইনসের থেকে ২৫ শতাংশ কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের ঘোষণাও ছিল এয়ারলাইনসটির। তবে ভিসাপ্রাপ্তি ইস্যুতে যাত্রী না থাকায় আপাতত ঢাকায় কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) মাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মাস থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটের ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ভিসা ইস্যুতে এসব রুটে বর্তমানে যাত্রী-সংকট রয়েছে। এ কারণে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস আপাতত বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করছে না। ভারতীয় ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়টি স্বাভাবিক হলে ভবিষ্যতে এয়ারলাইনসটি কার্যক্রম শুরু করবে।
এদিকে যাত্রী-সংকটের কারণে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটের ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নভোএয়ার। কিছুদিন আগেও এ রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করত এয়ারলাইনসটি। যাত্রী কমায় বর্তমানে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা। এটিআর ৭২-৫০০ উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত ফ্লাইটগুলোর আসন সক্ষমতা ৭০ জন হলেও ফাঁকা থাকছে অর্ধেকের বেশি আসন।
এ প্রসঙ্গে নভোএয়ারের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান মেজবাউল ইসলাম জানান, যাত্রী কম হওয়ায় ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা রুটটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা বাড়া সাপেক্ষে ভবিষ্যতে রুটটি পুনরায় চালু করা হবে।
রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লি রুটে ফ্লাইট রয়েছে।
এয়ারলাইনসটির সূত্র বলছে, এসব রুটে সক্ষমতার তুলনায় মাত্র ৪০ থেকে ৪৮ শতাংশ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকা-কলকাতা রুটের সাপ্তাহিক ফ্লাইট ১৪টি থেকে কমিয়ে ৭টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। কমানো হয়েছে চেন্নাই ও দিল্লি রুটের ফ্লাইটও। আগে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট থাকলেও বর্তমানে চলছে ১টি। একইভাবে ঢাকা-চেন্নাই রুটেও সাপ্তাহিক ৩টি ফ্লাইটের পরিবর্তে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে ১টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ভারতগামী ফ্লাইটগুলোতে ক্ষেত্রবিশেষে অর্ধেক যাত্রী মিলছে। সে তুলনায় ভারত থেকে ফিরে আসা ফ্লাইটগুলোতে বেশি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।
যাত্রী-সংকটে ভুগছে বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসও। ইউএস-বাংলা প্রতি সপ্তাহে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা থেকে ১৪টি ও চট্টগ্রাম থেকে ৭টি মিলে মোট ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। যাত্রী-সংকটে বর্তমানে মাত্র ৬টি ফ্লাইট চালু আছে। অন্যদিকে ঢাকা-চেন্নাই রুটে চলা সাপ্তাহিক ১১টি ফ্লাইটের মধ্যে বর্তমানে চলছে মাত্র ৫টি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ভারতের বিভিন্ন রুটে যাত্রী কমতে শুরু করে গত জুলাই মাস থেকেই। বর্তমানে চালু থাকা ফ্লাইটগুলোতে যে সংখ্যক যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এয়ারলাইনসগুলো পরিচালন ব্যয় ওঠাতে পারছে না।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বর্তমানে সীমিত পরিসরে ভিসা ইস্যু করলেও নিয়মিত যাওয়া-আসা করেন এমন অনেক যাত্রীর কাছেই পূর্বে থেকে নেওয়া দীর্ঘ মেয়াদের মাল্টিপল ভিসা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিমানবন্দরে হয়রানি কিংবা আটকের ভয়েও অনেকে ভারত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত সরকার শুধু মেডিকেল ও শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম শুরু করেছে। আর ভ্রমণ ভিসার জন্য আগে থেকে যাঁদের পাসপোর্ট জমা ছিল, তাঁদের বড় একটি অংশও ভিসা পাননি। এ কারণে কেবল ভ্রমণ কিংবা অন্য কাজে ভারতগামী যাত্রী নেই বললেই চলে। যার প্রভাব পড়েছে এয়ারলাইনসগুলোর যাত্রী সংখ্যায়। ফলে পরিচালন ব্যয় তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে এসব রুটের এয়ারলাইনসগুলো।
এদিকে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের পর বোর্ডিং পাস সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন এমনকি বোর্ডিং গেটেও যাত্রীদের তথ্য ও পরিচয় অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পেশাজীবীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এনওসি (অনাপত্তিপত্র) যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই করা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যাত্রীদেরও। এমন অবস্থায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেও কমছে ভারতমুখী যাত্রী।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২১ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪