Ajker Patrika

দাঁত তোলা হয় কান দিয়ে

বিরস
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪১
দাঁত তোলা হয় কান দিয়ে

এক বিত্তবান ব্যক্তি দাঁত ব্যথায় কাতর হয়ে বিদেশে গিয়ে দন্ত চিকিৎসার মনস্থির করলেন। বন্ধুর পরামর্শে তিনি গেলেন চীনে। চীনা ডেন্টিস্ট দেখেশুনে বললেন, ঠিক আছে। আপনার বেশ কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। প্রতি দাঁত তোলার খরচ ১০ হাজার টাকা।

ভদ্রলোক একটু বিস্মিত হলেন। বললেন, ‘এত টাকা কেন? আমাদের দেশে তো এক শ টাকা দিলেই দাঁত তুলে দেয়।’

ডেন্টিস্ট বললেন, ‘আমাদের দেশে দাঁত তোলা খুব কঠিন কাজ।’

-কেন, কঠিন কেন?

-আমরা দাঁত তুলি কান দিয়ে।

ডেন্টিস্টের কথা শুনে দাঁতের রোগী তো হতবাক। ‘কান দিয়ে দাঁত তোলা হয় কেন?’

খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে ডেন্টিস্ট বলেন, ‘আমাদের দেশে মুখ খোলা নিষেধ। বেআইনি।’

খ. ইংল্যান্ড সফরকালে রানির সঙ্গে চা খেতে খেতে আলাপ করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। একপর্যায়ে বুশ রানির কাছে তাঁর নেতৃত্বের দর্শন জানতে চান।

রানি বলেন, ‘নিজের চারপাশে বুদ্ধিমান লোক রাখা।’

বুশের জিজ্ঞাসা, ‘বুদ্ধিমান কারা সেটা কীভাবে বোঝেন?’

রানির তাৎক্ষণিক জবাব, ‘উপযুক্ত প্রশ্নের মাধ্যমে আমি তা বুঝতে পারি।’

বুশ আরও পরিষ্কার হতে চাইলে রানি টনি ব্লেয়ারকে ফোন করে বলেন, ‘মি. ব্লেয়ার, বলুন তো, আপনার বাবার একজন সন্তান, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নয়। তিনি কে?’

‘এটা আমি নিজে ম্যাম’, টনি ব্লেয়ারের চটপট উত্তর।

রানি ব্লেয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, ‘সঠিক জবাব।’

বুশ রানিকে ধন্যবাদ জানালেন এবং বললেন, ‘আমি নিশ্চয়ই এটা কাজে লাগাব।’

ওয়াশিংটনে ফিরে বুশ পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জেসে হেমসকে ডেকে বললেন, ‘সিনেটর, আপনি কি আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?’

-অবশ্যই স্যার। প্রশ্ন করুন।

বুশ বললেন, ‘আপনার বাবার এক সন্তান আছে, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নন। তিনি কে?’

হেমস কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘আমি কি আরও একটু সময় পেতে পারি?’

বুশ তাঁকে সময় দিলেন।

হেমস দ্রুত সিনিয়র সিনেটরদের নিয়ে জরুরি সভায় বসলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। কিন্তু কেউ উত্তর দিতে পারল না। হেমস নিরুপায় হয়ে কলিন পাওয়েলকে ফোন করে ওই প্রশ্নটি করতেই পাওয়েল সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘আরে বোকা, এটা তো আমি নিজে।’

হেমস স্বস্তি পেলেন এবং বুশের কাছে ছুটে গিয়ে বললেন, ‘স্যার, আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো, তিনি হচ্ছেন কলিন পাওয়েল।’

বুশ বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ভুল উত্তর, গাধা কোথাকার। সঠিক উত্তর হলো, টনি ব্লেয়ার।’

গ. আমেরিকা, রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তিন যুবক নৌকায় করে নদী পার হচ্ছিল। আমেরিকার যুবকটি তাঁর গায়ের ফারকোটটি নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর পাওয়া যায়।

রাশিয়ার যুবকটি তার ব্যাগ থেকে একটি ভোদকার বোতল বের করে এক ঢোক গিলে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর আছে।

সবশেষে আফগান যুবকটি তার মাথার পাগড়ি খুলে আমেরিকার যুবকটিকে বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, আমাদের দেশে এটার অভাব নেই।

ঘ. তখন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে আছে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে গোপনীয়তার নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হতো। তথ্য প্রচারে ছিল নানা বিধিনিষেধ। তখন এক জার্মান যুবক চাকরি পেয়ে সাইবেরিয়া যায়। সে জানত, তার সব চিঠি সেন্সর হবে। তাই তার বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করল। বন্ধুকে বলল, ‘যদি নীল কালিতে চিঠি লিখি তাহলে বুঝবি ঘটনা সত্য। আর যদি লাল কালিতে লিখি, তাহলে বুঝবি মিথ্যা।’

এক মাস পর বন্ধু চিঠি পেল, তাতে নীল কালিতে লেখা: এইখানে সবকিছু ভালো। দোকান সব সময় সব জিনিসপত্রে ভরা থাকে। খাবারদাবারের কোনো অভাব নেই। বিশাল বিশাল সব অ্যাপার্টমেন্ট। রুম হিটিংয়ের চমৎকার ব্যবস্থা। সিনেমা হলে পশ্চিমা ছবি দেখায়। মেয়েরা সব অপূর্ব সুন্দরী। ইচ্ছে করলেই প্রেম করা যায়। এখানে সমস্যা শুধু একটাই, লাল কালি কিনতে পাওয়া যায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পালানোর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরলেন আবদুল হামিদ

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এআই যুগে চাকরি পেতে যে দক্ষতা লাগবেই, জানালেন মাইক্রোসফটের সিইও

ঈদের ছুটির সুযোগে মাদ্রাসার গাছ বেচে দিলেন সুপার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত