Ajker Patrika

‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’-এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৪
‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’-এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবোজ্জ্বল ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’। যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীকে ঢুকতে দেয়নি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা সর্বক্ষণ সগৌরবে উড্ডীন ছিল। এখান থেকেই স্বাধীন বাংলার প্রথম মুদ্রা প্রচলন শুরু হয়। ‘র‍ৌমারী মুক্তাঞ্চল’ এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃিতর দাবি জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ অনেকে রৌমারী সফর করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।

সে সময় এই মুক্তাঞ্চলে সরকার নির্দেশিত বেসামরিক প্রশাসন চালু ছিল। রৌমারীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী রৌমারীর মাটি পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কালের সাক্ষী হিসাবে ৭১ এ নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র চাঁনমারী দাঁড়িয়ে আছে রৌমারীর মাটিতে।

এতসব অবদানের পরেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি কুড়িগ্রাম জেলার প্রান্তিক ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল।’ এখান থেকে হাতে লেখা ‘অগ্রদূত’ নামে একটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকার পরও রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় হতাশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গোটা রৌমারী মানুষ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তাদের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ শুরুর খবর আমরা সকালে জানতে পারি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এসকে মজিদ মুকুল, নুরুল ইসলাম পাপু মিয়া, সরুজ্জামান বকুল, হুমায়ুন কবির ও আতাউর রহমানসহ ১৫-২০ জন একসঙ্গে বসে আলোচনা করে রৌমারীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমাদের এ উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র চালানোসহ সকল প্রশিক্ষণ প্রদানের দায়িত্ব নেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটিতে আসা ফ্লাইট সার্জেন্ট মজিবুর রহমান, নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম, হাবিলদার রিয়াজুল হক, নায়েক সিরাজুল হক ভোলা, নায়েক নজরুল ইসলাম, নায়েক শাহজাহান আলী, নায়েক ফায়জুল হক, নায়েক সোলায়মান আলী, হাবিলদার বদিউজ্জামান ও হাবিলদার আবুল খায়ের।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুই দিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে হাবিলদার আলতাফ (আফতাব আলী) রৌমারী সিজি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে স্কুলটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ক্যাম্পটি বিশাল আকার ধারণ করে।

রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল বলেন, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে তখন কোনো প্রকার ক্লাস হতো না। ছাত্ররা আগ্রহ দেখিয়ে প্রশিক্ষণে নাম লেখায় এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

বগুড়ায় ইফতারের পর ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত