Ajker Patrika

দ্বন্দ্বে বিভক্ত পটিয়া আ.লীগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১২: ৩৪
দ্বন্দ্বে বিভক্ত পটিয়া আ.লীগ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নানা দ্বন্দ্বে বিভক্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় নেতা-কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে বিভেদে জড়িত। কর্মীদের দাবি এখানে সংসদ সদস্যের সঙ্গে মেয়রের দ্বন্দ্ব, মেয়রের সঙ্গে বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্ব, দলের বিভিন্ন শাখা কমিটির সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব। অভিযোগ আছে, একটি সুবিধাবাদী চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা আওয়ামী লীগ। এসব কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দলীয় কর্মকাণ্ড।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, দলে কোন্দল সৃষ্টি করে বিপক্ষের ঐক্যে ফাটল ধরানো পুরোনো রাজনৈতিক কৌশল। এখন বিরোধী পক্ষ নেই। নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে মারামারি, খুনোখুনি করছে আওয়ামী লীগ। গত কয়েক মাসে বেড়ে গেছে সহিংসতার ঘটনা। এতে আহত হয়েছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী।

গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করলেও তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন উপজেলা ও ইউনিয়নজুড়ে। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা বলছেন, স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং এবং কেন্দ্রে নাম পাঠানোর সময় স্বজনপ্রীতি ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা কারণে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন। এ কারণে নিজেদের অধিক জনপ্রিয় দাবি করে মাঠ না ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে মনে করে ভোটাররা তাঁদের নির্বাচিত করেছেন।

দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এই পরিস্থিতির দায়ভার সবার। স্থানীয় সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীও এড়াতে পারেন না এই দায়। তিনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। নেতারা একে অপরকে মানছেন না। জড়িয়ে পড়ছেন বিষোদ্গারে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘না কোনো ভুল নয়, ছনহরা ইউপির গত নির্বাচনে সামশুল আলম আলমদারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক কেউ সে সময় ফরম জমা দিতে আসেননি এবং নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে তাঁর ছেলে মামুনুর রশিদ রাসেলকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো বিদ্রোহীর পক্ষে ছিলাম না এবং এখনো নেই।’

এদিকে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দলের তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা। কোন্দলে পড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা যেমন অহরহ; তেমনি নিজ দলের নেতাকে বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার মতো বাজে উদাহরণও রয়েছে পটিয়ায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ বলেন, ‘আমাদের ভুলের কারণে সরকারের বড় অর্জনগুলো ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত