Ajker Patrika

বিনা ধানে আগ্রহ

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ১৫
বিনা ধানে আগ্রহ

নওগাঁর ধামইরহাটে গত বছর রোপা আমন মৌসুমে বিনা ধান-১৭ চাষ করে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও আগেভাগেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষাণ-কৃষাণী। বিনা ধান ১৭ খরা সহিষ্ণু ও উচ্চ ফলনশীল। দেখতে অনেকটা জিরাশাইলেরমতো। চাল চিকন হওয়ায় বাজারে দাম ভালো পাওয়া যায়। এ ছাড়া কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক ওই জমিতে রবি শস্য সরিষা, সূর্যমুখী (তেল জাতীয় ফসল) ও আলুর চাষ করতে পারেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, বিনা ধান ১৭ দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু জাত। এ জাতের ধান চাষে সার, বীজ ও পানির খরচ অন্যান্য ধানের চাইতে অর্ধেকেরও কম। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। উচ্চফলনশীল হওয়ায় কৃষকেরা খুব সহজেই অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারেন। এ জাতের ধান সাধারণত আশ্বিন মাসের শেষে পাকতে শুরু করে। এ সময় পর্যাপ্ত শ্রমিকও পাওয়া যায়। ফলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হন।

জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকের মাঝে বিভিন্ন প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ প্রদান, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে বিনা ধান ১৭ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়।

আলমপুর ইউনিয়নের চৌঘাট এলাকার ধান চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক ফসলি জমিতে তিনটি ফসল চাষ করা সম্ভব তা আগে জানা ছিল না। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে ২৪ শতাংশ জমিতে বিনা ধান ১৭ লাগিয়ে লাভবান হয়েছি। এখন ধান কাটা শেষ। ভাবছি আলু, সরিষা লাগাব।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাপলা খাতুন বলেন, বিনা ধান ১৭ দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান। কৃষক খুব সহজেই একটি জমিতে তিনবার ফসল চাষ করতে পারেন। আগাম জাতের হওয়ায় অনেক আগেই পেকে যায়। রোপণের পর মাত্র ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ধান কেটে কৃষক ঘরে তুলতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত