মুজিবর রহমান, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা)
এক সময় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হতো নৌকা। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে এখনো কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশতাধিক লোকের।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটার পেট্রল পাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বিরামহীন চলছে নৌকা তৈরির কাজ। বাপ-দাদা হতে প্রাপ্ত এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় শৈল্পিক সৌন্দর্যে তৈরি হয় এসব নৌকা। পাটকেলঘাটার তৈরি হওয়া এসব নৌকার কদর রয়েছে খুলনা বিভাগ জুড়ে।
সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা এলাকার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কয়েকটি নৌকা তৈরির কারখানা। প্রতি বছর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার অন্যতম উপকরণ নৌকা থাকার কারণে পাটকেলঘাটায় সারা বছর নৌকা তৈরির কাজ করতে হয় কারিগরদের।
এ ছাড়া সাতক্ষীরাসহ খুলনা বিভাগের ঘের ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেন এই নৌকা। তবে আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বে নৌকা তৈরির কাজে এখনো লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া।
পাটকেলঘাটার নৌকার তৈরির কারিগরেরা সাধারণত ডিঙি ও কোষা ২ ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকেন। কোষা ৯-১০ ফুট আর ডিঙি নৌকা ১৫-১৬ ফুট দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে। কাঠসহ প্রয়োজনীয় মালামাল প্রস্তুত থাকলে দৈনিক ২টি থেকে ৩টি নৌকা তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে এখানে সবচেয়ে কোষা নৌকার কদর বেশি রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। কিন্তু অতীতের থেকে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা কম ও নৌ পথে চলাচলের মধ্য সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায় চলছে মন্দা। মুনাফার পরিমাণ কম হলেও ধরে রেখেছে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এই শিল্প।
নৌকা তৈরি কারিগর আশাশুনি উপজেলার প্রতাপ নগর এলাকার খানজাহান ও সাকাত সরদার জানান, এলাকা ডুবে যাওয়ায় এক বছরের অধিক সময় এলাকার অনেক লোক পাটকেলঘাটায় নৌকা তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। তাঁরা জানান, ৪ হাজার টাকা চুক্তিতে আমরা একটা নৌকা তৈরি করি। একটা নৌকা তৈরি করতে ২-৩ দিন সময় লাগে। নৌকা তৈরিতে খই, কড়ই ও চম্বল, সুন্দরী গাছের কাঠ, ধাতু দ্রব্য পেরেক, তারকাঁটা, জলুই ব্যবহার হয়ে থাকে। তা ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেহগনি গাছের কাঠ ব্যবহার করে থাকেন কারিগরেরা।
একটি ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা তৈরি করতে তিনজন শ্রমিক এর মজুরি প্রায় ২২-২৫ শ টাকা। কাঠ বাবদ খরচ হয় চার হাজার টাকা, নানা বিধি আনুষঙ্গিক উপকরণ বাদে খরচ হয় তিন হাজার টাকা। ৯-১০ হাজার টাকা খরচ করে একটা নৌকা বিক্রি হয় ১২-১৪ হাজার টাকা।
সুমি ফার্নিচার আ্যান্ড নৌকা ঘরের মালিক মো. নুর ইসলাম জানান, ‘প্রতিদিন সকল খরচ মিটিয়ে সামান্য কিছু টাকা লাভ হয় আমাদের। তারপরেও এই শিল্পকে আমরা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।’
যশোর থেকে নৌকা কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, তিনি ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। তাঁর মৎস্য ঘেরে মাছের খাদ্য দেওয়া ও শেওলা পরিষ্কার করার জন্য এই নৌকা ব্যবহার করা হবে। যশোর জেলার অধিকাংশ মানুষ এখান থেকে নৌকা কিনে থাকেন।
পাটকেলঘাটা নৌকা তৈরির কারখানা মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর বাবা এই নৌ-শিল্পের কাজ শুরু করেন। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এই কারখানাটি তিনি ধরে রেখেছেন। বারো মাস নৌকা তৈরি করা হয়। তাঁর কারখানায় মোট ১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিদিন ৪-৫টা করে নৌকা তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে নৌকা তৈরির সরঞ্জামের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে লাভ একটু কম হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায়, নৌকার চাহিদা অনেক কম। এখন এই নৌ-শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই।
এক সময় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হতো নৌকা। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে এখনো কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশতাধিক লোকের।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটার পেট্রল পাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বিরামহীন চলছে নৌকা তৈরির কাজ। বাপ-দাদা হতে প্রাপ্ত এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় শৈল্পিক সৌন্দর্যে তৈরি হয় এসব নৌকা। পাটকেলঘাটার তৈরি হওয়া এসব নৌকার কদর রয়েছে খুলনা বিভাগ জুড়ে।
সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা এলাকার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কয়েকটি নৌকা তৈরির কারখানা। প্রতি বছর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার অন্যতম উপকরণ নৌকা থাকার কারণে পাটকেলঘাটায় সারা বছর নৌকা তৈরির কাজ করতে হয় কারিগরদের।
এ ছাড়া সাতক্ষীরাসহ খুলনা বিভাগের ঘের ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেন এই নৌকা। তবে আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বে নৌকা তৈরির কাজে এখনো লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া।
পাটকেলঘাটার নৌকার তৈরির কারিগরেরা সাধারণত ডিঙি ও কোষা ২ ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকেন। কোষা ৯-১০ ফুট আর ডিঙি নৌকা ১৫-১৬ ফুট দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে। কাঠসহ প্রয়োজনীয় মালামাল প্রস্তুত থাকলে দৈনিক ২টি থেকে ৩টি নৌকা তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে এখানে সবচেয়ে কোষা নৌকার কদর বেশি রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। কিন্তু অতীতের থেকে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা কম ও নৌ পথে চলাচলের মধ্য সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায় চলছে মন্দা। মুনাফার পরিমাণ কম হলেও ধরে রেখেছে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এই শিল্প।
নৌকা তৈরি কারিগর আশাশুনি উপজেলার প্রতাপ নগর এলাকার খানজাহান ও সাকাত সরদার জানান, এলাকা ডুবে যাওয়ায় এক বছরের অধিক সময় এলাকার অনেক লোক পাটকেলঘাটায় নৌকা তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। তাঁরা জানান, ৪ হাজার টাকা চুক্তিতে আমরা একটা নৌকা তৈরি করি। একটা নৌকা তৈরি করতে ২-৩ দিন সময় লাগে। নৌকা তৈরিতে খই, কড়ই ও চম্বল, সুন্দরী গাছের কাঠ, ধাতু দ্রব্য পেরেক, তারকাঁটা, জলুই ব্যবহার হয়ে থাকে। তা ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেহগনি গাছের কাঠ ব্যবহার করে থাকেন কারিগরেরা।
একটি ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা তৈরি করতে তিনজন শ্রমিক এর মজুরি প্রায় ২২-২৫ শ টাকা। কাঠ বাবদ খরচ হয় চার হাজার টাকা, নানা বিধি আনুষঙ্গিক উপকরণ বাদে খরচ হয় তিন হাজার টাকা। ৯-১০ হাজার টাকা খরচ করে একটা নৌকা বিক্রি হয় ১২-১৪ হাজার টাকা।
সুমি ফার্নিচার আ্যান্ড নৌকা ঘরের মালিক মো. নুর ইসলাম জানান, ‘প্রতিদিন সকল খরচ মিটিয়ে সামান্য কিছু টাকা লাভ হয় আমাদের। তারপরেও এই শিল্পকে আমরা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।’
যশোর থেকে নৌকা কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, তিনি ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। তাঁর মৎস্য ঘেরে মাছের খাদ্য দেওয়া ও শেওলা পরিষ্কার করার জন্য এই নৌকা ব্যবহার করা হবে। যশোর জেলার অধিকাংশ মানুষ এখান থেকে নৌকা কিনে থাকেন।
পাটকেলঘাটা নৌকা তৈরির কারখানা মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর বাবা এই নৌ-শিল্পের কাজ শুরু করেন। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এই কারখানাটি তিনি ধরে রেখেছেন। বারো মাস নৌকা তৈরি করা হয়। তাঁর কারখানায় মোট ১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিদিন ৪-৫টা করে নৌকা তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে নৌকা তৈরির সরঞ্জামের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে লাভ একটু কম হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায়, নৌকার চাহিদা অনেক কম। এখন এই নৌ-শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫