সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। নাব্যতা ফেরায় প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাটসহ অন্যগুলোতে। কয়েক মাস ধরে উপজেলার বেশ কয়েকটি নৌঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নাব্যতা-সংকটে।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কয়েক দিন ধরে নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি হলেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি কালিতলা নৌঘাট থেকে মাদারগঞ্জের জামথল নৌঘাটে হাজারো যাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া নানা ধরনের কৃষিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পরিবহন করা হয়। তবে এই নৌরুটে যাত্রী পরিবহন কয়েক মাস ধরে বন্ধ ছিল। ঘাটটি একই উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙায় স্থানান্তর করা হয়েছিল।
যা কালিতলা নৌঘাট থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ফলে যাত্রীদের কয়েক কিলোমিটার বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়েছিল। কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে। একই সঙ্গে কালিতলা নৌঘাটের বিভিন্ন দোকানি প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে দেবডাঙা নৌঘাটে চলে যাওয়া অর্ধেক নৌকা এখন কালিতলা ঘাটে ফিরে এসেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সারিয়াকান্দির যমুনার কালিতলা, মথুরাপাড়া, দেবডাঙা, পারতিতপরল, রৌহাদহ এবং বাঙালির ছাগলধরা, হিন্দুকান্দি, নারচীসহ প্রভৃতি ঘাটে। ঘাটগুলো এখন নানা পেশাজীবীর মানুষ দিয়ে মুখরিত।
পানি বাড়ার কারণে যমুনার ডাকাতমারা, মূলবাড়ী, ইন্দুরমারা, কাজলা, বেনিপুর, বাওইটোনা, বেড়াপাঁচবাড়িয়া, চরদলিকা, চালুয়াবাড়ী, বেনিপুর, শোনপচা, চরঘাগুয়া প্রভৃতি চরসহ প্রায় ১১২টি চরের গ্রামের মানুষ তাদের নিজস্ব নৌকা নিয়েই নদীপথে চলাচল করতে পারছেন।
সারিয়াকান্দি কাজলার কুড়িপাড়া চরবাসী আজিজার রহমান বলেন, নদীতে পানি হওয়ায় তাঁরা সহজে কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন। এতে পরিবহন খরচ কম হচ্ছে।
কালিতলা ঘাটে কর্মরত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সারিয়াকান্দিতে অভ্যন্তরীণ নৌরুটে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আন্তজেলা বা দূরপাল্লার যাত্রী বৃদ্ধি পায়নি। এখনো নাব্যতা পুরোপুরি ফিরে আসেনি, তাই দূরপাল্লা অর্থাৎ কালিতলা বা মথুরাপাড়া থেকে গাইবান্ধার ফুলছরি, জামালপুরের গুটাইল, উলিয়া, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর প্রভৃতি নৌরুটে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম।
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, গত শুক্রবার যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার, শনিবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ৯ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭ দশমিক শূন্য ৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ তাসকিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরেই যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যা হাওয়ার আশঙ্কা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌরুটের গতিপথ স্বাভাবিক হওয়াতে শুধু যে চরবাসীই উপকৃত হচ্ছে তা ঠিক নয়। নৌযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনেক মানুষই তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পেয়েছে। সরকারি পদক্ষেপে নদীগুলোর গতিপথ ফিরিয়ে দিলে নৌপথে যাতায়াতে যাত্রীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হতো। অপর দিকে মহাসড়কগুলোতে যানজট অনেকাংশেই কমে যেত।
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। নাব্যতা ফেরায় প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাটসহ অন্যগুলোতে। কয়েক মাস ধরে উপজেলার বেশ কয়েকটি নৌঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নাব্যতা-সংকটে।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কয়েক দিন ধরে নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি হলেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি কালিতলা নৌঘাট থেকে মাদারগঞ্জের জামথল নৌঘাটে হাজারো যাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া নানা ধরনের কৃষিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পরিবহন করা হয়। তবে এই নৌরুটে যাত্রী পরিবহন কয়েক মাস ধরে বন্ধ ছিল। ঘাটটি একই উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙায় স্থানান্তর করা হয়েছিল।
যা কালিতলা নৌঘাট থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ফলে যাত্রীদের কয়েক কিলোমিটার বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়েছিল। কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে। একই সঙ্গে কালিতলা নৌঘাটের বিভিন্ন দোকানি প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে দেবডাঙা নৌঘাটে চলে যাওয়া অর্ধেক নৌকা এখন কালিতলা ঘাটে ফিরে এসেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সারিয়াকান্দির যমুনার কালিতলা, মথুরাপাড়া, দেবডাঙা, পারতিতপরল, রৌহাদহ এবং বাঙালির ছাগলধরা, হিন্দুকান্দি, নারচীসহ প্রভৃতি ঘাটে। ঘাটগুলো এখন নানা পেশাজীবীর মানুষ দিয়ে মুখরিত।
পানি বাড়ার কারণে যমুনার ডাকাতমারা, মূলবাড়ী, ইন্দুরমারা, কাজলা, বেনিপুর, বাওইটোনা, বেড়াপাঁচবাড়িয়া, চরদলিকা, চালুয়াবাড়ী, বেনিপুর, শোনপচা, চরঘাগুয়া প্রভৃতি চরসহ প্রায় ১১২টি চরের গ্রামের মানুষ তাদের নিজস্ব নৌকা নিয়েই নদীপথে চলাচল করতে পারছেন।
সারিয়াকান্দি কাজলার কুড়িপাড়া চরবাসী আজিজার রহমান বলেন, নদীতে পানি হওয়ায় তাঁরা সহজে কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন। এতে পরিবহন খরচ কম হচ্ছে।
কালিতলা ঘাটে কর্মরত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সারিয়াকান্দিতে অভ্যন্তরীণ নৌরুটে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আন্তজেলা বা দূরপাল্লার যাত্রী বৃদ্ধি পায়নি। এখনো নাব্যতা পুরোপুরি ফিরে আসেনি, তাই দূরপাল্লা অর্থাৎ কালিতলা বা মথুরাপাড়া থেকে গাইবান্ধার ফুলছরি, জামালপুরের গুটাইল, উলিয়া, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর প্রভৃতি নৌরুটে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম।
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, গত শুক্রবার যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার, শনিবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ৯ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭ দশমিক শূন্য ৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ তাসকিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরেই যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যা হাওয়ার আশঙ্কা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌরুটের গতিপথ স্বাভাবিক হওয়াতে শুধু যে চরবাসীই উপকৃত হচ্ছে তা ঠিক নয়। নৌযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনেক মানুষই তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পেয়েছে। সরকারি পদক্ষেপে নদীগুলোর গতিপথ ফিরিয়ে দিলে নৌপথে যাতায়াতে যাত্রীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হতো। অপর দিকে মহাসড়কগুলোতে যানজট অনেকাংশেই কমে যেত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪