সম্পাদকীয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের কথা নতুন কোনো খবর নয়। এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপকর্মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরের কাগজে নিয়মিত শিরোনাম হওয়া যেন চবি ছাত্রলীগের রুটিন কাজ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকের পত্রিকায় ‘হল চালায় ছাত্রলীগ, প্রশাসন শুধু দাপ্তরিক’ শিরোনামে প্রকাশিত নতুন সংবাদটি পাঠকদের বিস্মিত না করে পারে না।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থাকার পরেও ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণ অপ্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসংশ্লিষ্টসহ দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমাধানে আন্দোলন-সংগ্রাম করাটাই যেকোনো ছাত্রসংগঠনের প্রধান কাজ হওয়ার কথা। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডও সে রকম হওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ দুর্বিষহ করে তোলার কাজেই ছাত্রলীগের আগ্রহ বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের পর থেকে এ কাজটি কোনোভাবেই করতে পারছে না। বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপ থেকে চাপ আসে। সেই চাপের কাছে নত হয় প্রশাসন। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বেপরোয়া আচরণ করতে না পারলেও চট্টগ্রামে কেন ব্যতিক্রম? কথায় আছে, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’ বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অনেক ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠার সুযোগ নেয় ছাত্রলীগ।
বছরের পর বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্যা চলে আসছে। প্রকৃত শিক্ষার্থীরা হলে সিট বরাদ্দ পাচ্ছেন না। যাঁরা গরিব বা দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তাঁদের অবস্থা তো দুর্বিষহ। সবার তো বাইরে মেসে থেকে পড়াশোনা করার সামর্থ্য নেই। অথচ হলে সিট না পেয়ে অনেককেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বাইরে থেকে শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। ছাত্রলীগের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ দৃঢ় অবস্থান নিতে না পারাটা খুবই দুঃখজনক। হলের দায়িত্বে থাকেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হলের প্রাধ্যক্ষই ক্যাম্পাসে থাকেন না। এ কারণেই কি কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের ঔদ্ধত্যকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। অনেকেই মনে করেন, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তা নিয়ে যাতে হইচই না হয়, সে জন্য তিনি ছাত্রলীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। আর তাই ছাত্রলীগ হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। কিন্তু ছাত্রলীগের অপকর্মে বিব্রত ও অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সরকারকেই। সরকারের অনেক ইতিবাচক অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের কারণে। বারবার নেতিবাচক কাজে জড়িয়ে পড়ার পরও ছাত্রলীগকে সামাল দিতে না পারার দায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিও কোনোভাবে এড়াতে পারে না। সাংগঠনিক পরিচয় যা-ই হোক, অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখালে চলবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের কথা নতুন কোনো খবর নয়। এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপকর্মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরের কাগজে নিয়মিত শিরোনাম হওয়া যেন চবি ছাত্রলীগের রুটিন কাজ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকের পত্রিকায় ‘হল চালায় ছাত্রলীগ, প্রশাসন শুধু দাপ্তরিক’ শিরোনামে প্রকাশিত নতুন সংবাদটি পাঠকদের বিস্মিত না করে পারে না।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থাকার পরেও ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণ অপ্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসংশ্লিষ্টসহ দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমাধানে আন্দোলন-সংগ্রাম করাটাই যেকোনো ছাত্রসংগঠনের প্রধান কাজ হওয়ার কথা। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডও সে রকম হওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ দুর্বিষহ করে তোলার কাজেই ছাত্রলীগের আগ্রহ বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের পর থেকে এ কাজটি কোনোভাবেই করতে পারছে না। বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপ থেকে চাপ আসে। সেই চাপের কাছে নত হয় প্রশাসন। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বেপরোয়া আচরণ করতে না পারলেও চট্টগ্রামে কেন ব্যতিক্রম? কথায় আছে, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’ বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অনেক ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠার সুযোগ নেয় ছাত্রলীগ।
বছরের পর বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্যা চলে আসছে। প্রকৃত শিক্ষার্থীরা হলে সিট বরাদ্দ পাচ্ছেন না। যাঁরা গরিব বা দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তাঁদের অবস্থা তো দুর্বিষহ। সবার তো বাইরে মেসে থেকে পড়াশোনা করার সামর্থ্য নেই। অথচ হলে সিট না পেয়ে অনেককেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বাইরে থেকে শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। ছাত্রলীগের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ দৃঢ় অবস্থান নিতে না পারাটা খুবই দুঃখজনক। হলের দায়িত্বে থাকেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হলের প্রাধ্যক্ষই ক্যাম্পাসে থাকেন না। এ কারণেই কি কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের ঔদ্ধত্যকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। অনেকেই মনে করেন, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তা নিয়ে যাতে হইচই না হয়, সে জন্য তিনি ছাত্রলীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। আর তাই ছাত্রলীগ হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। কিন্তু ছাত্রলীগের অপকর্মে বিব্রত ও অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সরকারকেই। সরকারের অনেক ইতিবাচক অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের কারণে। বারবার নেতিবাচক কাজে জড়িয়ে পড়ার পরও ছাত্রলীগকে সামাল দিতে না পারার দায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিও কোনোভাবে এড়াতে পারে না। সাংগঠনিক পরিচয় যা-ই হোক, অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখালে চলবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫