খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গা দখল করে পার্ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বিরুদ্ধে। সড়কের একাংশে পার্ক নির্মাণের ঘটনায় মামলাসহ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার মাঝে গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। পরে বিসিসি তাদের পার্ক নির্মাণকাজের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছে। তবে বিসিসির সেই চিঠিতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
তাদের দাবি—সেতুমন্ত্রীকে পাঠানো বিসিসির ওই চিঠিতে সওজের অধিগৃহীত জমির ওপর জাতীয় মহাসড়ক দখল করে যে পার্ক নির্মাণ হচ্ছে সেই তথ্য গোপন করা হয়েছে। যে কারণে সওজ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জরুরি বৈঠক করে সার্বিক বিষয় তাদের প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে। সিটি করপোরেশন অবশ্য এই পার্ক নির্মাণ নিয়ে এখন লুকোচুরি করছে। গত ৭ নভেম্বর মহাসড়ক দখল করে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মায়ের নামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম’ পার্ক করার উদ্যোগ নেয় বিসিসি।
এদিকে গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্ক নির্মাণ স্থানে শ্রমিক নেই। মাটি তোলার ভেকু মেশিনটি পড়ে আছে। গত ৭ জানুয়ারি পার্কের কাজ উদ্বোধনের পর শ্রমিকেরা প্রতিদিন সেখানে কাজ করত। গত বুধবার থেকে সেখানে কোনো কাজ চলছে না। পার্ক নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।
পার্কের নির্মাণকাজ বন্ধের বিষয়ে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বরাবর বিসিসির দেওয়া চিঠিতে পার্ক নির্মাণের নির্ধারিত জমির মালিক সওজ হলেও তা উল্লেখ না করা প্রসঙ্গে সিইও বলেন, মন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে কি-না তা আমি জানি না।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট (কার্য পরিদর্শক) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিটি করপোরেশন সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পার্ক করার বিষয়টি অবহিত করেছে। এর জবাবে ৩১ জানুয়ারি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বৈঠক করে। ওই বৈঠকে মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—পার্কটি যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে মহাসড়ক দখল করে করা হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি জানান, এর জবাবে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
পার্ক নির্মাণের তদারকিতে থাকা বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশারের কাছে জানতে চাইলে পার্ক নির্মাণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম খান বলেন, ‘বিসিসি পার্কটি নির্মাণের বিষয় জানিয়ে সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সড়ক ও জনপথকেও পাঠানো হয়। কিন্তু তারা যে সওজের জমিতে পার্ক নির্মাণ করছে তা মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেনি। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ৩১ জানুয়ারি সওজের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সওজের প্রধান প্রকৌশলীকে সার্বিক বিষয় জানানো হলে তিনি জানান, মহাসড়কের জায়গা দখল করে সিটি করপোরেশনকে পার্ক করার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ ব্যাপারে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পরিকল্পনাবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দখল করে পার্ক হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। এটি মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূত।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি থেকে নগরের হাতেম আলী কলেজের লেকের উত্তর পাড় থেকে কাজীপাড়া সড়কের মুখ পর্যন্ত মহাসড়ক দখল করে ডিভাইডার ভেঙে পার্ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় মনোয়ার হোসেন হাওলাদার গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গা দখল করে পার্ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বিরুদ্ধে। সড়কের একাংশে পার্ক নির্মাণের ঘটনায় মামলাসহ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার মাঝে গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। পরে বিসিসি তাদের পার্ক নির্মাণকাজের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছে। তবে বিসিসির সেই চিঠিতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
তাদের দাবি—সেতুমন্ত্রীকে পাঠানো বিসিসির ওই চিঠিতে সওজের অধিগৃহীত জমির ওপর জাতীয় মহাসড়ক দখল করে যে পার্ক নির্মাণ হচ্ছে সেই তথ্য গোপন করা হয়েছে। যে কারণে সওজ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জরুরি বৈঠক করে সার্বিক বিষয় তাদের প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে। সিটি করপোরেশন অবশ্য এই পার্ক নির্মাণ নিয়ে এখন লুকোচুরি করছে। গত ৭ নভেম্বর মহাসড়ক দখল করে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মায়ের নামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম’ পার্ক করার উদ্যোগ নেয় বিসিসি।
এদিকে গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্ক নির্মাণ স্থানে শ্রমিক নেই। মাটি তোলার ভেকু মেশিনটি পড়ে আছে। গত ৭ জানুয়ারি পার্কের কাজ উদ্বোধনের পর শ্রমিকেরা প্রতিদিন সেখানে কাজ করত। গত বুধবার থেকে সেখানে কোনো কাজ চলছে না। পার্ক নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।
পার্কের নির্মাণকাজ বন্ধের বিষয়ে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বরাবর বিসিসির দেওয়া চিঠিতে পার্ক নির্মাণের নির্ধারিত জমির মালিক সওজ হলেও তা উল্লেখ না করা প্রসঙ্গে সিইও বলেন, মন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে কি-না তা আমি জানি না।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট (কার্য পরিদর্শক) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিটি করপোরেশন সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পার্ক করার বিষয়টি অবহিত করেছে। এর জবাবে ৩১ জানুয়ারি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বৈঠক করে। ওই বৈঠকে মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—পার্কটি যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে মহাসড়ক দখল করে করা হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি জানান, এর জবাবে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
পার্ক নির্মাণের তদারকিতে থাকা বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশারের কাছে জানতে চাইলে পার্ক নির্মাণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম খান বলেন, ‘বিসিসি পার্কটি নির্মাণের বিষয় জানিয়ে সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সড়ক ও জনপথকেও পাঠানো হয়। কিন্তু তারা যে সওজের জমিতে পার্ক নির্মাণ করছে তা মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেনি। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ৩১ জানুয়ারি সওজের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সওজের প্রধান প্রকৌশলীকে সার্বিক বিষয় জানানো হলে তিনি জানান, মহাসড়কের জায়গা দখল করে সিটি করপোরেশনকে পার্ক করার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ ব্যাপারে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পরিকল্পনাবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দখল করে পার্ক হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। এটি মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূত।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি থেকে নগরের হাতেম আলী কলেজের লেকের উত্তর পাড় থেকে কাজীপাড়া সড়কের মুখ পর্যন্ত মহাসড়ক দখল করে ডিভাইডার ভেঙে পার্ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় মনোয়ার হোসেন হাওলাদার গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪