Ajker Patrika

দুর্গাপূজায় বাড়তি আয়ের চেষ্টা

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে দেবীপক্ষের। আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন মালাকার সম্প্রদায়ের মানুষ। পূজার সাজসজ্জায় ব্যবহৃত শোলার কদমফুল তৈরিতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। এই পূজার সময়েই তাঁদের বাড়তি আয় হয়।

গতকাল সোমবার উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের ভুইদহ শিবমন্দির এলাকায় দেখা গেছে কদমফুল তৈরি করছেন নরোত্তম মালি, সবিতা রানি, কমল চন্দ্র মালি, চাম্পা রানি, কাকলি রানিসহ বেশ কিছু কিশোর-কিশোরী।

এ সময় গৃহবধূ চম্পা রানি বলেন, ‘শ্বশুর ও শাশুড়ির কাছ থেকে এ কাজ শিখেছি। এখন নিজেই শোলার মালা, কদমফুল তৈরি করতে পারি। পাশাপাশি স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িও এ কাজ করেন। এখন পূজার মৌসুমে আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বাড়তি আয় হয়।’

৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এ কাজ করছেন কমল চন্দ্র মালি। তিনি বলেন, ‘পূজাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সাজসজ্জায় ব্যবহারের জন্য ফুল তৈরি করি। এতে সামান্য আয় হয়। পূজার মৌসুমে কিছু বাড়তি আয় হয়। এরপর সারা বছর কোনোমতে সংসার চালাই। সরকারি কোনো সহায়তা পেলে আমাদের খুব উপকার হতো।’

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, মালাকার সম্প্রদায়ের লোকেরা শোলা দিয়ে যে কদমফুল তৈরি করেন, তা শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন এই ফুল দিয়ে দেবতাকে আহ্বান করা যায় এবং ঘরবাড়ি, মন্দিরসহ নানা স্থানে এই ফুল রাখলে কোনো অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। সারা বছর এই ফুলের প্রয়োজন হলেও বিভিন্ন পূজার সময় বিক্রি বেশি হয়। বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময় এই ফুলের চাহিদা বেশি থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ সোম জানান, মালাকার সম্প্রদায়ের লোকেরা পূজার উৎসবের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে থাকেন। ধর্মীয় কাজে তাঁদের অবদান রয়েছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তাঁদের সরকারি সহায়তায় দেওয়ার বিষয়টি দেখা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত