নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
স্বামী মারা যাওয়ার পর ছোট্ট একটা মুদিদোকান করে সংসার চালান জৈগন বেগম। সংসারে তাঁর স্বামীহারা মেয়ে মহরমী খাতুন। মহরমীরও আছে দুটি সন্তান। তাদের নিয়ে জৈগন বেগমের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। মেয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি উপহারের ঘর চেয়েছিলেন। এ জন্য টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় জৈগন বেগম ঘর পাননি।
জৈগন বেগমের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের লোকজনের কাছে টাকা দিয়েও ঘর পাননি তিনি। এ রকম চারজন সম্প্রতি জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, পাঁচন্দর ইউনিয়নে টাকা ছাড়া কেউ মুজিববর্ষের ঘর পাননি। যাঁদের ঘর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সবার কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে। আর চাহিদামতো টাকা দিতে পারেননি বলে তাঁদের ঘর দেওয়া হয়নি।
জৈগন বেগম বলেন, দুই মাস আগে তাহেরা বেগম ও আবদুর রশিদ নামের দুজন ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে যান। তাঁকে জানানো হয়, ইউপি চেয়ারম্যান তাহেরার বাড়িতে আছেন। ৫০ হাজার টাকা দিলে তাঁর মেয়েকে ঘর দেবেন। ২০ হাজার টাকা আছে বলায় সেটিই দিতে বলা হয় তাঁকে। তিনি টাকা দিয়ে চলে আসেন। বাড়িতে ওঠার আগে বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে বলা হয় তাঁকে।
জৈগন আরও বলেন, বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে না পারার কারণে বাড়ি দেওয়া হয়নি তাঁর মেয়েকে। তাঁর কাছ থেকে নেওয়া ২০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এখন মোবাইল ফোনে কল করলে চেয়ারম্যান ফোন ধরেন না।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুর রশিদ এলাকার গভীর নলকূপ অপারেটর। তিনি সব সময় চেয়ারম্যান মতিনের সঙ্গেই থাকেন। পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক তিনি। আর চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। লিখিত অভিযোগ দেওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই রশিদকে বিবাদী করেছেন। আবার তিনজন অভিযোগপত্রে এক নম্বর বিবাদী হিসেবে চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের নাম লিখেছেন।
ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ইউপি সদস্য সাদেকুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সাদেকুলকে তিনি ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর বাড়ি অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে। বেশি টাকা নিয়ে বাড়ি অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বাড়ির জন্য দেওয়া ৩৫ হাজার টাকাও ফেরত পাননি ময়েজ।
চাঁদপুরের সিমা বেগম একজন প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই তাঁর কবজি থেকে এক হাত নেই। এই নারীর কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। সিমা বলেন, চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের সামনে তিনি রশিদের হাতে ১০ হাজার টাকা দেন। রশিদ তাঁকে বলেছিলেন, বাড়ির জন্য ইট এলে আরও ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। সিমা সেই টাকা দিতে পারেননি। তাই তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়নি। সিমা এখনো খাসজমিতে বাস করেন।
সিমা আরও বলেন, ৪০ হাজার টাকার জন্য তাঁকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তিনি টাকা দিতে পারেননি। তাই তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়নি। তাঁর ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। টাকা চাইলে এখন তাঁকে সরকারি জায়গা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে লিখেছেন সিমা। চেয়ারম্যানের সহযোগী আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবিনা বেগম নামের আরেক নারী। তিনি লিখেছেন, তিন মাস আগে রশিদ বাড়ি দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। রশিদ বলেছিলেন, চেয়ারম্যান এলে তাঁকে বাকি টাকা দিতে হবে। কিন্তু তিনি দিতে পারেননি বলে বাড়ি দেওয়া হয়নি।
টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। কেউ বলতে পারবে না। যাঁরা বলছেন, তাঁরা গায়ের জোরেই বলছেন। রাজনৈতিক কারণে এ অভিযোগ সাজানো হচ্ছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনও। তিনি বলেন, ‘কারও কাছ থেকে আমি একটি পয়সাও নিইনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন না।’ রাজনৈতিক কারণে এ অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। ইউপি সদস্য সাদেকুল ইসলামের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার দেবনাথ বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আজই (বৃহস্পতিবার) অভিযোগগুলো আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখব। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বামী মারা যাওয়ার পর ছোট্ট একটা মুদিদোকান করে সংসার চালান জৈগন বেগম। সংসারে তাঁর স্বামীহারা মেয়ে মহরমী খাতুন। মহরমীরও আছে দুটি সন্তান। তাদের নিয়ে জৈগন বেগমের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। মেয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি উপহারের ঘর চেয়েছিলেন। এ জন্য টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় জৈগন বেগম ঘর পাননি।
জৈগন বেগমের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের লোকজনের কাছে টাকা দিয়েও ঘর পাননি তিনি। এ রকম চারজন সম্প্রতি জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, পাঁচন্দর ইউনিয়নে টাকা ছাড়া কেউ মুজিববর্ষের ঘর পাননি। যাঁদের ঘর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সবার কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে। আর চাহিদামতো টাকা দিতে পারেননি বলে তাঁদের ঘর দেওয়া হয়নি।
জৈগন বেগম বলেন, দুই মাস আগে তাহেরা বেগম ও আবদুর রশিদ নামের দুজন ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে যান। তাঁকে জানানো হয়, ইউপি চেয়ারম্যান তাহেরার বাড়িতে আছেন। ৫০ হাজার টাকা দিলে তাঁর মেয়েকে ঘর দেবেন। ২০ হাজার টাকা আছে বলায় সেটিই দিতে বলা হয় তাঁকে। তিনি টাকা দিয়ে চলে আসেন। বাড়িতে ওঠার আগে বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে বলা হয় তাঁকে।
জৈগন আরও বলেন, বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে না পারার কারণে বাড়ি দেওয়া হয়নি তাঁর মেয়েকে। তাঁর কাছ থেকে নেওয়া ২০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এখন মোবাইল ফোনে কল করলে চেয়ারম্যান ফোন ধরেন না।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুর রশিদ এলাকার গভীর নলকূপ অপারেটর। তিনি সব সময় চেয়ারম্যান মতিনের সঙ্গেই থাকেন। পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক তিনি। আর চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। লিখিত অভিযোগ দেওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই রশিদকে বিবাদী করেছেন। আবার তিনজন অভিযোগপত্রে এক নম্বর বিবাদী হিসেবে চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের নাম লিখেছেন।
ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ইউপি সদস্য সাদেকুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সাদেকুলকে তিনি ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর বাড়ি অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে। বেশি টাকা নিয়ে বাড়ি অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বাড়ির জন্য দেওয়া ৩৫ হাজার টাকাও ফেরত পাননি ময়েজ।
চাঁদপুরের সিমা বেগম একজন প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই তাঁর কবজি থেকে এক হাত নেই। এই নারীর কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। সিমা বলেন, চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের সামনে তিনি রশিদের হাতে ১০ হাজার টাকা দেন। রশিদ তাঁকে বলেছিলেন, বাড়ির জন্য ইট এলে আরও ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। সিমা সেই টাকা দিতে পারেননি। তাই তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়নি। সিমা এখনো খাসজমিতে বাস করেন।
সিমা আরও বলেন, ৪০ হাজার টাকার জন্য তাঁকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তিনি টাকা দিতে পারেননি। তাই তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়নি। তাঁর ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। টাকা চাইলে এখন তাঁকে সরকারি জায়গা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে লিখেছেন সিমা। চেয়ারম্যানের সহযোগী আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবিনা বেগম নামের আরেক নারী। তিনি লিখেছেন, তিন মাস আগে রশিদ বাড়ি দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। রশিদ বলেছিলেন, চেয়ারম্যান এলে তাঁকে বাকি টাকা দিতে হবে। কিন্তু তিনি দিতে পারেননি বলে বাড়ি দেওয়া হয়নি।
টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। কেউ বলতে পারবে না। যাঁরা বলছেন, তাঁরা গায়ের জোরেই বলছেন। রাজনৈতিক কারণে এ অভিযোগ সাজানো হচ্ছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনও। তিনি বলেন, ‘কারও কাছ থেকে আমি একটি পয়সাও নিইনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন না।’ রাজনৈতিক কারণে এ অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। ইউপি সদস্য সাদেকুল ইসলামের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার দেবনাথ বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আজই (বৃহস্পতিবার) অভিযোগগুলো আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখব। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪