কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে একটি প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছে থেকে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্রের সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউএনওর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
নিজেদেরকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য মোবাইল ফোনে কথিত ইউএনওর নম্বরে কল করে কথা বলিয়েও দিচ্ছেন তাঁরা। সরাসরি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে বিশ্বাস করে তাঁদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন মানুষ। এভাবে গত দুই মাসে চক্রটি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তোভুগীরা জানিয়েছেন।
ঘটনা জানাজানির পর সম্প্রতি আব্দুস সাত্তার সরদার নামে এক প্রতারককে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীরা। পরে তাঁকে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আব্দুস সাত্তার কালনা গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আব্দুস সাত্তার ও তাঁর কয়েক সহযোগী মিলে সরকারি ঘরের তালিকায় নাম তোলার কথা বলে টাকা আদায় করছিলেন। তাঁরা ওপর মহলে ঘুষ দিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে কারও কাছ থেকে ৪ হাজার কারও থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাঁদের প্রতারণার কৌশল জানতে পেরে গ্রামবাসী আব্দুস সাত্তারকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য মতে গত দুই মাসে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৫০০ মানুষকে প্রলুব্ধ করে টাকা নিয়েছেন। তার অন্য সহযোগীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে প্রতারণার খবর জানাজানি হওয়ার পর শত শত মানুষ টাকা ফেরতের আশায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভিড় করছেন।
সেখানে উপস্থিত শ্রীরামপুর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমার তিন ভাইয়ের জন্য পাকা ঘরের আশায় সাত্তারের কাছে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন শুনছি সে ঘর দেওয়ার কেউ না।’
কালনা গ্রামের আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ঝড়ে মেয়ের ঘর ভেঙে যাওয়ায় নাতি-নাতিনদের নিয়ে খুব কষ্টে আছে। এ কারণে পাকা ঘর পাওয়ার আশায় ছাগল বিক্রি করে সাত্তারের কাছে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সে ইউএনও সাহেবের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিল।’
একই গ্রামের সিরাজুল মোল্লা বলেন, ‘ছেলের চাকরি পাইয়ে দিতে সাত্তারের কাছে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সে টাকা নেওয়ার সময় মোবাইলে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিল।’
কালনা বাজারের ব্যবসায়ী মহসীন মোল্লা জানান, তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় বিষয়টি সন্দেহ হয়। তখন তিনি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মোবাইলে তাঁকে (কথিত ইউএনও) ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কৌশলে ওই নম্বরটি দেখে নেন।
পরে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে পারেন সাকিব নামে এক ব্যক্তি অপর প্রান্ত থেকে কথা বলছেন। ঘটনাটি সবাইকে জানিয়ে দিলে গ্রামের লোকজন সাত্তারকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ চক্রে সাত থেকে আটজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘সাকিব নামে এক ব্যক্তি ইউএনও সেজে মোবাইল ফোনে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রের একজন আটক হওয়ায় অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আর কেউ যাতে প্রতারণার স্বীকার না হয় সে জন্য এলাকায় মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।’
খুলনার কয়রায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে একটি প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছে থেকে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্রের সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউএনওর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
নিজেদেরকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য মোবাইল ফোনে কথিত ইউএনওর নম্বরে কল করে কথা বলিয়েও দিচ্ছেন তাঁরা। সরাসরি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে বিশ্বাস করে তাঁদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন মানুষ। এভাবে গত দুই মাসে চক্রটি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তোভুগীরা জানিয়েছেন।
ঘটনা জানাজানির পর সম্প্রতি আব্দুস সাত্তার সরদার নামে এক প্রতারককে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীরা। পরে তাঁকে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আব্দুস সাত্তার কালনা গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আব্দুস সাত্তার ও তাঁর কয়েক সহযোগী মিলে সরকারি ঘরের তালিকায় নাম তোলার কথা বলে টাকা আদায় করছিলেন। তাঁরা ওপর মহলে ঘুষ দিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে কারও কাছ থেকে ৪ হাজার কারও থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাঁদের প্রতারণার কৌশল জানতে পেরে গ্রামবাসী আব্দুস সাত্তারকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য মতে গত দুই মাসে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৫০০ মানুষকে প্রলুব্ধ করে টাকা নিয়েছেন। তার অন্য সহযোগীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে প্রতারণার খবর জানাজানি হওয়ার পর শত শত মানুষ টাকা ফেরতের আশায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভিড় করছেন।
সেখানে উপস্থিত শ্রীরামপুর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমার তিন ভাইয়ের জন্য পাকা ঘরের আশায় সাত্তারের কাছে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন শুনছি সে ঘর দেওয়ার কেউ না।’
কালনা গ্রামের আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ঝড়ে মেয়ের ঘর ভেঙে যাওয়ায় নাতি-নাতিনদের নিয়ে খুব কষ্টে আছে। এ কারণে পাকা ঘর পাওয়ার আশায় ছাগল বিক্রি করে সাত্তারের কাছে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সে ইউএনও সাহেবের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিল।’
একই গ্রামের সিরাজুল মোল্লা বলেন, ‘ছেলের চাকরি পাইয়ে দিতে সাত্তারের কাছে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সে টাকা নেওয়ার সময় মোবাইলে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিল।’
কালনা বাজারের ব্যবসায়ী মহসীন মোল্লা জানান, তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় বিষয়টি সন্দেহ হয়। তখন তিনি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মোবাইলে তাঁকে (কথিত ইউএনও) ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কৌশলে ওই নম্বরটি দেখে নেন।
পরে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে পারেন সাকিব নামে এক ব্যক্তি অপর প্রান্ত থেকে কথা বলছেন। ঘটনাটি সবাইকে জানিয়ে দিলে গ্রামের লোকজন সাত্তারকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ চক্রে সাত থেকে আটজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘সাকিব নামে এক ব্যক্তি ইউএনও সেজে মোবাইল ফোনে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রের একজন আটক হওয়ায় অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আর কেউ যাতে প্রতারণার স্বীকার না হয় সে জন্য এলাকায় মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪