সৌরভ চৌধুরী

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়। এ কারণে এ সময় সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা থাকা খুব জরুরি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ তুলে ধরছি।
বাংলা
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্রথম অংশের বিষয়টির নাম বাংলা। পুরোনো বছরের প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করে দেখা যায়, বাংলায় তুলনামূলক সহজ প্রশ্ন করা হয়। এ অংশে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকে। ১৮টি প্রশ্ন সাহিত্যনির্ভর; মানে বাংলা প্রথম পাঠ থেকে আসে প্রশ্নগুলো। বাকি ১২টি প্রশ্ন করা হয় বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশ থেকে। বাংলা পাঠ্যবইয়ের রচনা, কবিতা, শব্দার্থ, লেখক ও কবি পরিচিতিসহ সবগুলো বিষয় আয়ত্তে রাখতে হবে নিজের। পাশাপাশি বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির টপিকগুলো মনে রাখা খুব জরুরি। উদাহরণসহ সেসব মনে রাখার জন্য অনুশীলন করতে হবে বারবার। অনুশীলনের জন্য জয়কলী প্রকাশনীর বাংলা বিচিত্রা বইটি বেশ সহায়ক ছিল আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বেলায়। তবে খেয়াল রাখা জরুরি, যেকোনো অনুশীলন বই কেবল চর্চায় সাহায্য করতে পারবে, পুরোপুরি একটি প্রস্তুতিতে নয়।
ইংরেজি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই যমের মতো ভয় পায় ইংরেজি বিষয়টি। এর কারণ হতে পারে দুটি—প্রথমটি হলো ইংরেজি ব্যাকরণে বনিয়াদি বা মৌলিকতার অভাব এবং দ্বিতীয়টি, অনুশীলন বা চর্চার অভাব। চবি ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলার মতো ইংরেজিতেও পূর্ণমান ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইংরেজি অংশের প্রশ্নে, বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারি প্রাধান্য পায়। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য ব্যাকরণের মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর স্বচ্ছ ধারণা রাখা জরুরি। প্রস্তুতির জন্য Cliff's Toeffel এবং Barron's Toeffel—বই দুটো অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দারুণ সফলতা পেয়েছিলাম। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের বছরের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিসিএস, বিজিএস ও সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও অনুশীলন করতে পারলে ভালো। এ ছাড়া English For Competitive Exam বইটি অনুসরণ করেও সুফল পেয়েছি ব্যক্তিগতভাবে।
ভোকাবুলারি: অনেকগুলো অংশ আছে ভোকাবুলারি ভাগে; মানে synonyms, antonyms, preposition, group verbs, phrases and idioms, one word substitution, analogy—টপিকগুলো। synonyms এবং antonyms-এর জন্য Saifurs Student Vocabulary বইটি সবচেয়ে সমাদৃত। Vocabulary ছাড়া বাকি অংশগুলো Competitive Exam বই থেকে পড়লে মোটামুটি ভালো একটা প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব।
সাধারণ জ্ঞান
নামে সাধারণ জ্ঞান হলেও, বিষয়টি মোটেও সাধারণ না। আয়ত্তে আনতে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে। একই বিষয় পড়া এবং ধৈর্য নিয়ে বারবার রিভিশন চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টের বলে মানছি। তবে সাধারণ জ্ঞান আয়ত্তে নিয়ে আসার উপায় কিন্তু এটিই। সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। পুরোটা শেষ করা অসম্ভব। আর শেষ তো তখনই সম্ভব, যদি না বিষয়টির কোনো সিলেবাস থাকত। সেই ঝক্কি সামলাতে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক টপিকগুলো বাছাই করতে হবে সবার আগে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমার পছন্দ ‘জুবায়ের’স GK’ এবং ‘MP3 (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক—দুই খণ্ড) নামে বই দুটো। জুবায়ের’স GK বইটি গোছাল। ছবিসহ তথ্যগুলো জানলে মাথায় গেঁথে যায় সহজেই। ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কম, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রকাশিত বইটি। সে হিসেবে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী সিলেবাস মিলিয়ে পড়ার চিন্তা রইল না। পাশাপাশি MP3 পড়লে সাধারণ জ্ঞানের আর কোনো তথ্যই বাকি থাকবে না।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর খুব জোর দিতে হবে। মাসিক ম্যাগাজিন Current Affairs পড়ার অভ্যাস থাকলে এদিকটাও ভাবনা নেই।
বিশ্লেষণী দক্ষতা
এই অংশে কিছু Basic Math, Analogy, Grammar, ধাঁধা ধরনের প্রশ্ন থাকে। শুরুতে প্রশ্নব্যাংক দেখলে অনেকটাই জটিল বলে মনে হতে পারে। আসলে তেমন কঠিন নয় বিষয়টি। পরীক্ষার আগে এক পক্ষ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় অনুশীলনের মধ্য দিয়েই পোক্ত হয়ে ওঠা যায়। এ জন্য IQ Factors নামে বই আছে একটি। বইটি ছোট এবং বেশ ভালো।
গণিত
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাইলে সাধারণ জ্ঞানের বদলে গণিত উত্তর করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রশ্নে উচ্চমাধ্যমিকের গণিত বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মতোই হয়। একটি বই নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গণিত প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শর্টকাট পদ্ধতিতে সমাধানের জন্যও প্রকাশিত হয় কিছু বই, সময় স্বল্পতার বিবেচনায় সেসব বইয়ের একটি বেছে অনুশীলন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিগত সালের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা
প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ ও সমাধান করার বেলায় প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে শিক্ষার্থীরা। বারবার পুনরাবৃত্তি হতে থাকা প্রশ্নগুলো যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানা যায় সহজেই। সে তুলনায় কম গুরুত্বের বিষয়টিও বোঝা সম্ভব। অনেক প্রশ্নব্যাংকেই ভুল উত্তর থাকে প্রশ্নের, যার জন্য প্রশ্নব্যাংক নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকা উচিত। তবে প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নের উত্তর পড়ে গেলেই চলবে না। উত্তরের সঙ্গে ব্যাখ্যা তথা বিস্তারিত তথ্যসহ পড়তে হবে অবশ্যই।
পাঠ্যবই পড়ার গুরুত্ব
ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নব্যাংকের ওপর অধিক জোর দেওয়া এবং পাঠ্যবইকে এড়িয়ে চলার একটি প্রবণতা খেয়াল করেছি শিক্ষার্থীদের মাঝে। এটি বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। জ্ঞানের মূল খুঁটি পাঠ্যবই। পাঠ্যবই থেকেই সাজানো হয় সব প্রশ্ন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংক—দুটোতেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
পত্রিকা পড়ার গুরুত্ব
বর্তমান যুগে একজন নাগরিক হিসেবে যেমন সাধারণ জ্ঞানের অভ্যাস থাকা জরুরি, তেমনি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর এই অভ্যাস থাকা আরও বেশি জরুরি। তথ্যের সবচেয়ে সহজ, সময়োপযোগী এবং বাস্তব মাধ্যম পত্রিকা। সাধারণ জ্ঞান অংশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ঘটমান সাম্প্রতিকঘটনাগুলো জানা যায় পত্রিকা পড়ার মধ্য দিয়েই।
মানসিক প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে দেখা হয় যুদ্ধের আদলে। বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এ যুদ্ধে টিকতে চাইলে চাই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম, অসীম ত্যাগ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। নষ্ট করার মতো সময় নেই। মানসিকভাবে দৃঢ় থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লড়াকু মানসিকতার শিক্ষার্থীরাই বিজয়ের খেতাব পায় দিন শেষে।
সময় ব্যবস্থাপনা
পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকার পরও সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারণে শেষ সময়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুরো উত্তর করে আসতেও পারে না তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা সময় বাছাই এবং সেই মতো একটি ছক তৈরি করা উচিত। একেকটি অংশের পূর্ণমান ও বিস্তৃতি ভিন্ন হওয়ায়, শিক্ষার্থীর তৈরি সময়ের ছকও হবে আলাদা। হতেই পারে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে নিজেকে শান্ত রেখে বাদবাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক: ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ডি ইউনিট
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ১মঅনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়। এ কারণে এ সময় সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা থাকা খুব জরুরি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ তুলে ধরছি।
বাংলা
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্রথম অংশের বিষয়টির নাম বাংলা। পুরোনো বছরের প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করে দেখা যায়, বাংলায় তুলনামূলক সহজ প্রশ্ন করা হয়। এ অংশে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকে। ১৮টি প্রশ্ন সাহিত্যনির্ভর; মানে বাংলা প্রথম পাঠ থেকে আসে প্রশ্নগুলো। বাকি ১২টি প্রশ্ন করা হয় বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশ থেকে। বাংলা পাঠ্যবইয়ের রচনা, কবিতা, শব্দার্থ, লেখক ও কবি পরিচিতিসহ সবগুলো বিষয় আয়ত্তে রাখতে হবে নিজের। পাশাপাশি বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির টপিকগুলো মনে রাখা খুব জরুরি। উদাহরণসহ সেসব মনে রাখার জন্য অনুশীলন করতে হবে বারবার। অনুশীলনের জন্য জয়কলী প্রকাশনীর বাংলা বিচিত্রা বইটি বেশ সহায়ক ছিল আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বেলায়। তবে খেয়াল রাখা জরুরি, যেকোনো অনুশীলন বই কেবল চর্চায় সাহায্য করতে পারবে, পুরোপুরি একটি প্রস্তুতিতে নয়।
ইংরেজি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই যমের মতো ভয় পায় ইংরেজি বিষয়টি। এর কারণ হতে পারে দুটি—প্রথমটি হলো ইংরেজি ব্যাকরণে বনিয়াদি বা মৌলিকতার অভাব এবং দ্বিতীয়টি, অনুশীলন বা চর্চার অভাব। চবি ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলার মতো ইংরেজিতেও পূর্ণমান ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইংরেজি অংশের প্রশ্নে, বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারি প্রাধান্য পায়। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য ব্যাকরণের মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর স্বচ্ছ ধারণা রাখা জরুরি। প্রস্তুতির জন্য Cliff's Toeffel এবং Barron's Toeffel—বই দুটো অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দারুণ সফলতা পেয়েছিলাম। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের বছরের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিসিএস, বিজিএস ও সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও অনুশীলন করতে পারলে ভালো। এ ছাড়া English For Competitive Exam বইটি অনুসরণ করেও সুফল পেয়েছি ব্যক্তিগতভাবে।
ভোকাবুলারি: অনেকগুলো অংশ আছে ভোকাবুলারি ভাগে; মানে synonyms, antonyms, preposition, group verbs, phrases and idioms, one word substitution, analogy—টপিকগুলো। synonyms এবং antonyms-এর জন্য Saifurs Student Vocabulary বইটি সবচেয়ে সমাদৃত। Vocabulary ছাড়া বাকি অংশগুলো Competitive Exam বই থেকে পড়লে মোটামুটি ভালো একটা প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব।
সাধারণ জ্ঞান
নামে সাধারণ জ্ঞান হলেও, বিষয়টি মোটেও সাধারণ না। আয়ত্তে আনতে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে। একই বিষয় পড়া এবং ধৈর্য নিয়ে বারবার রিভিশন চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টের বলে মানছি। তবে সাধারণ জ্ঞান আয়ত্তে নিয়ে আসার উপায় কিন্তু এটিই। সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। পুরোটা শেষ করা অসম্ভব। আর শেষ তো তখনই সম্ভব, যদি না বিষয়টির কোনো সিলেবাস থাকত। সেই ঝক্কি সামলাতে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক টপিকগুলো বাছাই করতে হবে সবার আগে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমার পছন্দ ‘জুবায়ের’স GK’ এবং ‘MP3 (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক—দুই খণ্ড) নামে বই দুটো। জুবায়ের’স GK বইটি গোছাল। ছবিসহ তথ্যগুলো জানলে মাথায় গেঁথে যায় সহজেই। ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কম, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রকাশিত বইটি। সে হিসেবে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী সিলেবাস মিলিয়ে পড়ার চিন্তা রইল না। পাশাপাশি MP3 পড়লে সাধারণ জ্ঞানের আর কোনো তথ্যই বাকি থাকবে না।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর খুব জোর দিতে হবে। মাসিক ম্যাগাজিন Current Affairs পড়ার অভ্যাস থাকলে এদিকটাও ভাবনা নেই।
বিশ্লেষণী দক্ষতা
এই অংশে কিছু Basic Math, Analogy, Grammar, ধাঁধা ধরনের প্রশ্ন থাকে। শুরুতে প্রশ্নব্যাংক দেখলে অনেকটাই জটিল বলে মনে হতে পারে। আসলে তেমন কঠিন নয় বিষয়টি। পরীক্ষার আগে এক পক্ষ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় অনুশীলনের মধ্য দিয়েই পোক্ত হয়ে ওঠা যায়। এ জন্য IQ Factors নামে বই আছে একটি। বইটি ছোট এবং বেশ ভালো।
গণিত
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাইলে সাধারণ জ্ঞানের বদলে গণিত উত্তর করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রশ্নে উচ্চমাধ্যমিকের গণিত বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মতোই হয়। একটি বই নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গণিত প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শর্টকাট পদ্ধতিতে সমাধানের জন্যও প্রকাশিত হয় কিছু বই, সময় স্বল্পতার বিবেচনায় সেসব বইয়ের একটি বেছে অনুশীলন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিগত সালের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা
প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ ও সমাধান করার বেলায় প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে শিক্ষার্থীরা। বারবার পুনরাবৃত্তি হতে থাকা প্রশ্নগুলো যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানা যায় সহজেই। সে তুলনায় কম গুরুত্বের বিষয়টিও বোঝা সম্ভব। অনেক প্রশ্নব্যাংকেই ভুল উত্তর থাকে প্রশ্নের, যার জন্য প্রশ্নব্যাংক নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকা উচিত। তবে প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নের উত্তর পড়ে গেলেই চলবে না। উত্তরের সঙ্গে ব্যাখ্যা তথা বিস্তারিত তথ্যসহ পড়তে হবে অবশ্যই।
পাঠ্যবই পড়ার গুরুত্ব
ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নব্যাংকের ওপর অধিক জোর দেওয়া এবং পাঠ্যবইকে এড়িয়ে চলার একটি প্রবণতা খেয়াল করেছি শিক্ষার্থীদের মাঝে। এটি বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। জ্ঞানের মূল খুঁটি পাঠ্যবই। পাঠ্যবই থেকেই সাজানো হয় সব প্রশ্ন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংক—দুটোতেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
পত্রিকা পড়ার গুরুত্ব
বর্তমান যুগে একজন নাগরিক হিসেবে যেমন সাধারণ জ্ঞানের অভ্যাস থাকা জরুরি, তেমনি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর এই অভ্যাস থাকা আরও বেশি জরুরি। তথ্যের সবচেয়ে সহজ, সময়োপযোগী এবং বাস্তব মাধ্যম পত্রিকা। সাধারণ জ্ঞান অংশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ঘটমান সাম্প্রতিকঘটনাগুলো জানা যায় পত্রিকা পড়ার মধ্য দিয়েই।
মানসিক প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে দেখা হয় যুদ্ধের আদলে। বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এ যুদ্ধে টিকতে চাইলে চাই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম, অসীম ত্যাগ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। নষ্ট করার মতো সময় নেই। মানসিকভাবে দৃঢ় থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লড়াকু মানসিকতার শিক্ষার্থীরাই বিজয়ের খেতাব পায় দিন শেষে।
সময় ব্যবস্থাপনা
পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকার পরও সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারণে শেষ সময়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুরো উত্তর করে আসতেও পারে না তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা সময় বাছাই এবং সেই মতো একটি ছক তৈরি করা উচিত। একেকটি অংশের পূর্ণমান ও বিস্তৃতি ভিন্ন হওয়ায়, শিক্ষার্থীর তৈরি সময়ের ছকও হবে আলাদা। হতেই পারে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে নিজেকে শান্ত রেখে বাদবাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক: ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ডি ইউনিট
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ১মঅনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম
সৌরভ চৌধুরী

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়। এ কারণে এ সময় সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা থাকা খুব জরুরি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ তুলে ধরছি।
বাংলা
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্রথম অংশের বিষয়টির নাম বাংলা। পুরোনো বছরের প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করে দেখা যায়, বাংলায় তুলনামূলক সহজ প্রশ্ন করা হয়। এ অংশে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকে। ১৮টি প্রশ্ন সাহিত্যনির্ভর; মানে বাংলা প্রথম পাঠ থেকে আসে প্রশ্নগুলো। বাকি ১২টি প্রশ্ন করা হয় বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশ থেকে। বাংলা পাঠ্যবইয়ের রচনা, কবিতা, শব্দার্থ, লেখক ও কবি পরিচিতিসহ সবগুলো বিষয় আয়ত্তে রাখতে হবে নিজের। পাশাপাশি বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির টপিকগুলো মনে রাখা খুব জরুরি। উদাহরণসহ সেসব মনে রাখার জন্য অনুশীলন করতে হবে বারবার। অনুশীলনের জন্য জয়কলী প্রকাশনীর বাংলা বিচিত্রা বইটি বেশ সহায়ক ছিল আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বেলায়। তবে খেয়াল রাখা জরুরি, যেকোনো অনুশীলন বই কেবল চর্চায় সাহায্য করতে পারবে, পুরোপুরি একটি প্রস্তুতিতে নয়।
ইংরেজি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই যমের মতো ভয় পায় ইংরেজি বিষয়টি। এর কারণ হতে পারে দুটি—প্রথমটি হলো ইংরেজি ব্যাকরণে বনিয়াদি বা মৌলিকতার অভাব এবং দ্বিতীয়টি, অনুশীলন বা চর্চার অভাব। চবি ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলার মতো ইংরেজিতেও পূর্ণমান ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইংরেজি অংশের প্রশ্নে, বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারি প্রাধান্য পায়। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য ব্যাকরণের মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর স্বচ্ছ ধারণা রাখা জরুরি। প্রস্তুতির জন্য Cliff's Toeffel এবং Barron's Toeffel—বই দুটো অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দারুণ সফলতা পেয়েছিলাম। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের বছরের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিসিএস, বিজিএস ও সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও অনুশীলন করতে পারলে ভালো। এ ছাড়া English For Competitive Exam বইটি অনুসরণ করেও সুফল পেয়েছি ব্যক্তিগতভাবে।
ভোকাবুলারি: অনেকগুলো অংশ আছে ভোকাবুলারি ভাগে; মানে synonyms, antonyms, preposition, group verbs, phrases and idioms, one word substitution, analogy—টপিকগুলো। synonyms এবং antonyms-এর জন্য Saifurs Student Vocabulary বইটি সবচেয়ে সমাদৃত। Vocabulary ছাড়া বাকি অংশগুলো Competitive Exam বই থেকে পড়লে মোটামুটি ভালো একটা প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব।
সাধারণ জ্ঞান
নামে সাধারণ জ্ঞান হলেও, বিষয়টি মোটেও সাধারণ না। আয়ত্তে আনতে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে। একই বিষয় পড়া এবং ধৈর্য নিয়ে বারবার রিভিশন চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টের বলে মানছি। তবে সাধারণ জ্ঞান আয়ত্তে নিয়ে আসার উপায় কিন্তু এটিই। সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। পুরোটা শেষ করা অসম্ভব। আর শেষ তো তখনই সম্ভব, যদি না বিষয়টির কোনো সিলেবাস থাকত। সেই ঝক্কি সামলাতে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক টপিকগুলো বাছাই করতে হবে সবার আগে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমার পছন্দ ‘জুবায়ের’স GK’ এবং ‘MP3 (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক—দুই খণ্ড) নামে বই দুটো। জুবায়ের’স GK বইটি গোছাল। ছবিসহ তথ্যগুলো জানলে মাথায় গেঁথে যায় সহজেই। ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কম, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রকাশিত বইটি। সে হিসেবে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী সিলেবাস মিলিয়ে পড়ার চিন্তা রইল না। পাশাপাশি MP3 পড়লে সাধারণ জ্ঞানের আর কোনো তথ্যই বাকি থাকবে না।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর খুব জোর দিতে হবে। মাসিক ম্যাগাজিন Current Affairs পড়ার অভ্যাস থাকলে এদিকটাও ভাবনা নেই।
বিশ্লেষণী দক্ষতা
এই অংশে কিছু Basic Math, Analogy, Grammar, ধাঁধা ধরনের প্রশ্ন থাকে। শুরুতে প্রশ্নব্যাংক দেখলে অনেকটাই জটিল বলে মনে হতে পারে। আসলে তেমন কঠিন নয় বিষয়টি। পরীক্ষার আগে এক পক্ষ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় অনুশীলনের মধ্য দিয়েই পোক্ত হয়ে ওঠা যায়। এ জন্য IQ Factors নামে বই আছে একটি। বইটি ছোট এবং বেশ ভালো।
গণিত
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাইলে সাধারণ জ্ঞানের বদলে গণিত উত্তর করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রশ্নে উচ্চমাধ্যমিকের গণিত বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মতোই হয়। একটি বই নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গণিত প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শর্টকাট পদ্ধতিতে সমাধানের জন্যও প্রকাশিত হয় কিছু বই, সময় স্বল্পতার বিবেচনায় সেসব বইয়ের একটি বেছে অনুশীলন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিগত সালের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা
প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ ও সমাধান করার বেলায় প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে শিক্ষার্থীরা। বারবার পুনরাবৃত্তি হতে থাকা প্রশ্নগুলো যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানা যায় সহজেই। সে তুলনায় কম গুরুত্বের বিষয়টিও বোঝা সম্ভব। অনেক প্রশ্নব্যাংকেই ভুল উত্তর থাকে প্রশ্নের, যার জন্য প্রশ্নব্যাংক নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকা উচিত। তবে প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নের উত্তর পড়ে গেলেই চলবে না। উত্তরের সঙ্গে ব্যাখ্যা তথা বিস্তারিত তথ্যসহ পড়তে হবে অবশ্যই।
পাঠ্যবই পড়ার গুরুত্ব
ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নব্যাংকের ওপর অধিক জোর দেওয়া এবং পাঠ্যবইকে এড়িয়ে চলার একটি প্রবণতা খেয়াল করেছি শিক্ষার্থীদের মাঝে। এটি বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। জ্ঞানের মূল খুঁটি পাঠ্যবই। পাঠ্যবই থেকেই সাজানো হয় সব প্রশ্ন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংক—দুটোতেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
পত্রিকা পড়ার গুরুত্ব
বর্তমান যুগে একজন নাগরিক হিসেবে যেমন সাধারণ জ্ঞানের অভ্যাস থাকা জরুরি, তেমনি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর এই অভ্যাস থাকা আরও বেশি জরুরি। তথ্যের সবচেয়ে সহজ, সময়োপযোগী এবং বাস্তব মাধ্যম পত্রিকা। সাধারণ জ্ঞান অংশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ঘটমান সাম্প্রতিকঘটনাগুলো জানা যায় পত্রিকা পড়ার মধ্য দিয়েই।
মানসিক প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে দেখা হয় যুদ্ধের আদলে। বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এ যুদ্ধে টিকতে চাইলে চাই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম, অসীম ত্যাগ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। নষ্ট করার মতো সময় নেই। মানসিকভাবে দৃঢ় থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লড়াকু মানসিকতার শিক্ষার্থীরাই বিজয়ের খেতাব পায় দিন শেষে।
সময় ব্যবস্থাপনা
পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকার পরও সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারণে শেষ সময়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুরো উত্তর করে আসতেও পারে না তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা সময় বাছাই এবং সেই মতো একটি ছক তৈরি করা উচিত। একেকটি অংশের পূর্ণমান ও বিস্তৃতি ভিন্ন হওয়ায়, শিক্ষার্থীর তৈরি সময়ের ছকও হবে আলাদা। হতেই পারে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে নিজেকে শান্ত রেখে বাদবাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক: ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ডি ইউনিট
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ১মঅনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়। এ কারণে এ সময় সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা থাকা খুব জরুরি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ তুলে ধরছি।
বাংলা
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্রথম অংশের বিষয়টির নাম বাংলা। পুরোনো বছরের প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করে দেখা যায়, বাংলায় তুলনামূলক সহজ প্রশ্ন করা হয়। এ অংশে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকে। ১৮টি প্রশ্ন সাহিত্যনির্ভর; মানে বাংলা প্রথম পাঠ থেকে আসে প্রশ্নগুলো। বাকি ১২টি প্রশ্ন করা হয় বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশ থেকে। বাংলা পাঠ্যবইয়ের রচনা, কবিতা, শব্দার্থ, লেখক ও কবি পরিচিতিসহ সবগুলো বিষয় আয়ত্তে রাখতে হবে নিজের। পাশাপাশি বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির টপিকগুলো মনে রাখা খুব জরুরি। উদাহরণসহ সেসব মনে রাখার জন্য অনুশীলন করতে হবে বারবার। অনুশীলনের জন্য জয়কলী প্রকাশনীর বাংলা বিচিত্রা বইটি বেশ সহায়ক ছিল আমার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বেলায়। তবে খেয়াল রাখা জরুরি, যেকোনো অনুশীলন বই কেবল চর্চায় সাহায্য করতে পারবে, পুরোপুরি একটি প্রস্তুতিতে নয়।
ইংরেজি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই যমের মতো ভয় পায় ইংরেজি বিষয়টি। এর কারণ হতে পারে দুটি—প্রথমটি হলো ইংরেজি ব্যাকরণে বনিয়াদি বা মৌলিকতার অভাব এবং দ্বিতীয়টি, অনুশীলন বা চর্চার অভাব। চবি ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলার মতো ইংরেজিতেও পূর্ণমান ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইংরেজি অংশের প্রশ্নে, বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারি প্রাধান্য পায়। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য ব্যাকরণের মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর স্বচ্ছ ধারণা রাখা জরুরি। প্রস্তুতির জন্য Cliff's Toeffel এবং Barron's Toeffel—বই দুটো অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দারুণ সফলতা পেয়েছিলাম। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের বছরের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিসিএস, বিজিএস ও সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও অনুশীলন করতে পারলে ভালো। এ ছাড়া English For Competitive Exam বইটি অনুসরণ করেও সুফল পেয়েছি ব্যক্তিগতভাবে।
ভোকাবুলারি: অনেকগুলো অংশ আছে ভোকাবুলারি ভাগে; মানে synonyms, antonyms, preposition, group verbs, phrases and idioms, one word substitution, analogy—টপিকগুলো। synonyms এবং antonyms-এর জন্য Saifurs Student Vocabulary বইটি সবচেয়ে সমাদৃত। Vocabulary ছাড়া বাকি অংশগুলো Competitive Exam বই থেকে পড়লে মোটামুটি ভালো একটা প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব।
সাধারণ জ্ঞান
নামে সাধারণ জ্ঞান হলেও, বিষয়টি মোটেও সাধারণ না। আয়ত্তে আনতে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে। একই বিষয় পড়া এবং ধৈর্য নিয়ে বারবার রিভিশন চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টের বলে মানছি। তবে সাধারণ জ্ঞান আয়ত্তে নিয়ে আসার উপায় কিন্তু এটিই। সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। পুরোটা শেষ করা অসম্ভব। আর শেষ তো তখনই সম্ভব, যদি না বিষয়টির কোনো সিলেবাস থাকত। সেই ঝক্কি সামলাতে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক টপিকগুলো বাছাই করতে হবে সবার আগে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমার পছন্দ ‘জুবায়ের’স GK’ এবং ‘MP3 (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক—দুই খণ্ড) নামে বই দুটো। জুবায়ের’স GK বইটি গোছাল। ছবিসহ তথ্যগুলো জানলে মাথায় গেঁথে যায় সহজেই। ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কম, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রকাশিত বইটি। সে হিসেবে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী সিলেবাস মিলিয়ে পড়ার চিন্তা রইল না। পাশাপাশি MP3 পড়লে সাধারণ জ্ঞানের আর কোনো তথ্যই বাকি থাকবে না।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর খুব জোর দিতে হবে। মাসিক ম্যাগাজিন Current Affairs পড়ার অভ্যাস থাকলে এদিকটাও ভাবনা নেই।
বিশ্লেষণী দক্ষতা
এই অংশে কিছু Basic Math, Analogy, Grammar, ধাঁধা ধরনের প্রশ্ন থাকে। শুরুতে প্রশ্নব্যাংক দেখলে অনেকটাই জটিল বলে মনে হতে পারে। আসলে তেমন কঠিন নয় বিষয়টি। পরীক্ষার আগে এক পক্ষ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় অনুশীলনের মধ্য দিয়েই পোক্ত হয়ে ওঠা যায়। এ জন্য IQ Factors নামে বই আছে একটি। বইটি ছোট এবং বেশ ভালো।
গণিত
চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাইলে সাধারণ জ্ঞানের বদলে গণিত উত্তর করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রশ্নে উচ্চমাধ্যমিকের গণিত বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মতোই হয়। একটি বই নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গণিত প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শর্টকাট পদ্ধতিতে সমাধানের জন্যও প্রকাশিত হয় কিছু বই, সময় স্বল্পতার বিবেচনায় সেসব বইয়ের একটি বেছে অনুশীলন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিগত সালের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা
প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ ও সমাধান করার বেলায় প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে শিক্ষার্থীরা। বারবার পুনরাবৃত্তি হতে থাকা প্রশ্নগুলো যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানা যায় সহজেই। সে তুলনায় কম গুরুত্বের বিষয়টিও বোঝা সম্ভব। অনেক প্রশ্নব্যাংকেই ভুল উত্তর থাকে প্রশ্নের, যার জন্য প্রশ্নব্যাংক নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকা উচিত। তবে প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নের উত্তর পড়ে গেলেই চলবে না। উত্তরের সঙ্গে ব্যাখ্যা তথা বিস্তারিত তথ্যসহ পড়তে হবে অবশ্যই।
পাঠ্যবই পড়ার গুরুত্ব
ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নব্যাংকের ওপর অধিক জোর দেওয়া এবং পাঠ্যবইকে এড়িয়ে চলার একটি প্রবণতা খেয়াল করেছি শিক্ষার্থীদের মাঝে। এটি বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। জ্ঞানের মূল খুঁটি পাঠ্যবই। পাঠ্যবই থেকেই সাজানো হয় সব প্রশ্ন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংক—দুটোতেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
পত্রিকা পড়ার গুরুত্ব
বর্তমান যুগে একজন নাগরিক হিসেবে যেমন সাধারণ জ্ঞানের অভ্যাস থাকা জরুরি, তেমনি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর এই অভ্যাস থাকা আরও বেশি জরুরি। তথ্যের সবচেয়ে সহজ, সময়োপযোগী এবং বাস্তব মাধ্যম পত্রিকা। সাধারণ জ্ঞান অংশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ঘটমান সাম্প্রতিকঘটনাগুলো জানা যায় পত্রিকা পড়ার মধ্য দিয়েই।
মানসিক প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে দেখা হয় যুদ্ধের আদলে। বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এ যুদ্ধে টিকতে চাইলে চাই নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম, অসীম ত্যাগ ও প্রবল আত্মবিশ্বাস। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। নষ্ট করার মতো সময় নেই। মানসিকভাবে দৃঢ় থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লড়াকু মানসিকতার শিক্ষার্থীরাই বিজয়ের খেতাব পায় দিন শেষে।
সময় ব্যবস্থাপনা
পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকার পরও সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারণে শেষ সময়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুরো উত্তর করে আসতেও পারে না তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজের দক্ষতা ও প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা সময় বাছাই এবং সেই মতো একটি ছক তৈরি করা উচিত। একেকটি অংশের পূর্ণমান ও বিস্তৃতি ভিন্ন হওয়ায়, শিক্ষার্থীর তৈরি সময়ের ছকও হবে আলাদা। হতেই পারে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে নিজেকে শান্ত রেখে বাদবাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক: ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ডি ইউনিট
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ১মঅনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়।
১৮ মার্চ ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়।
১৮ মার্চ ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়।
১৮ মার্চ ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম পর্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গ্রহণে হিমশিম খেয়ে যায়।
১৮ মার্চ ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২৩ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫