হোসাইন আহমদ, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বেড়েছে সুরমা নদীর পানি। এতে নতুন করে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। ইতিমধ্যে ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশসহ প্রায় ১২টি বসতবাড়ি। এমন অবস্থায় নদী পারের তিন গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীভাঙনকবলিতরা সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের সর্দারপুর-ধনপুর ও আমরিয়া গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় সুরমা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনের কবলে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ১৪ নম্বর ধনপুর সর্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড পাকা ভবনের অর্ধেক ও বিদ্যালয়ের মাঠের একটি অংশ সুরমায় বিলীন হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় আশপাশের বসতবাড়িতেও ভাঙন শুরু হয়েছে।
সুরমার ভাঙনে জয়নাল মিয়া, জসিম উদ্দিন, সাদু আলী, মহর উদ্দিন, জুনা বেগম ও দিলা হোসেনদের বসতবাড়ির অধিকাংশ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা।
তাঁরা জানান, নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই এসব গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তিন গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবারের হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।
ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মিয়া বলেন, ‘সুরমা নদীর ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে আমার বসতভিটে। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। ঘরবাড়ি রক্ষায় কোনো সরকারি উদ্যোগ নেই। সরকার ইচ্ছা করলে সব পারে। নদীতে এখন প্রবল স্রোত, যেকোনো সময় আমার বাড়ি ভেঙে যেতে পারে। আতঙ্কে এখন আর রাতে ঘুম আসে না। কবে সরকার আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে চাইবে?’
ধনপুর গ্রামের জুনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ঘর নদীগর্ভে চলে গেলে কোথায় গিয়ে থাকব। আমরা কীভাবে বাঁচব। আমাগো কান্নায় কারও কিছু আসে যায় না। সরকার যদি নদীভাঙন বন্ধে কাজ করে, তাহলে আমাদের জানমাল বেঁচে যাবে।’
ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ধনপুর-সর্দারপুর ও আমরিয়ার একটি অংশ সুরমা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। ধনপুর-সর্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে স্থানান্তরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নদীভাঙনকবলিত পরিবারের ভিটেমাটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করে নদীভাঙনের বিষয়টি জানিয়েছি।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুদ্দোহা বলেন, ‘বিষয়টি এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে সরেজমিনে শিমুলবাক ইউনিয়নের ধনপুর-আমরিয়া-সর্দারপুর গ্রামের সুরমা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বেড়েছে সুরমা নদীর পানি। এতে নতুন করে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। ইতিমধ্যে ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশসহ প্রায় ১২টি বসতবাড়ি। এমন অবস্থায় নদী পারের তিন গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীভাঙনকবলিতরা সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের সর্দারপুর-ধনপুর ও আমরিয়া গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় সুরমা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনের কবলে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ১৪ নম্বর ধনপুর সর্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড পাকা ভবনের অর্ধেক ও বিদ্যালয়ের মাঠের একটি অংশ সুরমায় বিলীন হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় আশপাশের বসতবাড়িতেও ভাঙন শুরু হয়েছে।
সুরমার ভাঙনে জয়নাল মিয়া, জসিম উদ্দিন, সাদু আলী, মহর উদ্দিন, জুনা বেগম ও দিলা হোসেনদের বসতবাড়ির অধিকাংশ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা।
তাঁরা জানান, নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই এসব গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার তিন গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবারের হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।
ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মিয়া বলেন, ‘সুরমা নদীর ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে আমার বসতভিটে। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। ঘরবাড়ি রক্ষায় কোনো সরকারি উদ্যোগ নেই। সরকার ইচ্ছা করলে সব পারে। নদীতে এখন প্রবল স্রোত, যেকোনো সময় আমার বাড়ি ভেঙে যেতে পারে। আতঙ্কে এখন আর রাতে ঘুম আসে না। কবে সরকার আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে চাইবে?’
ধনপুর গ্রামের জুনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ঘর নদীগর্ভে চলে গেলে কোথায় গিয়ে থাকব। আমরা কীভাবে বাঁচব। আমাগো কান্নায় কারও কিছু আসে যায় না। সরকার যদি নদীভাঙন বন্ধে কাজ করে, তাহলে আমাদের জানমাল বেঁচে যাবে।’
ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ধনপুর-সর্দারপুর ও আমরিয়ার একটি অংশ সুরমা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। ধনপুর-সর্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে স্থানান্তরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নদীভাঙনকবলিত পরিবারের ভিটেমাটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করে নদীভাঙনের বিষয়টি জানিয়েছি।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুদ্দোহা বলেন, ‘বিষয়টি এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে সরেজমিনে শিমুলবাক ইউনিয়নের ধনপুর-আমরিয়া-সর্দারপুর গ্রামের সুরমা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪