Ajker Patrika

প্রধান শিক্ষকের আর্থিক ‘অনিয়ম’ তদন্তে মাউশি

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৩
প্রধান শিক্ষকের আর্থিক ‘অনিয়ম’ তদন্তে মাউশি

কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশি অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক এএসএম আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযোগ নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তদন্তের পর রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের অভিভাবক জাহিদ হোসেন এবং উপজেলার গণমাধ্যমকর্মী অশোক দে এই মাউশিতে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন এএসএম আব্দুল খালেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা তসলিমা খাতুন, কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রতন মিয়া। প্রথমে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। এরপর কথা বলেন দুজন অভিযোগকারীর সঙ্গে। যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কোটচাঁদপুরের জেষ্ঠ্য গণমাধ্যমকর্মী অশোক দে, অন্যজন ওই বিদ্যালয়ের আগের পরিচালানা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য ও বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন বলেন, উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির মান ক্ষুণ্ন হতে শুরু করে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আয়ের উৎস থেকে টাকা ‘ছয়–নয়’ করেছেন। যার হিসাব দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্থানীয়রা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এ কারণে বিদ্যালয়ের স্বার্থে ও তাঁর অনিয়মের স্বরূপ উন্মোচন করতে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে এ সব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে।’

উল্লেখ্য এর আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের সভাপতির কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। পরে শিক্ষকেরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে ওই সময় আজকের পত্রিকা জানান ইউএনও।

তদন্তের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, ‘সরকারি হয়ে গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের দায়িত্ব কমে যায়। আর যেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। সেখানে আমার আর কি বলার আছে।’

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে মাউশির খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক এএসএম আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এসেছিলাম। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তদন্ত করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে। এরপর সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত