বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের সিম আটকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভবিষ্যতে কাজ না পাওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে ন্যূনতম মজুরির ভিত্তিতে অবকাঠামো বা রাস্তা সংস্কারে কাজ করেন শ্রমিকেরা। বিনিময়ে একজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। আগে তাঁরা দৈনিক ২০০টাকা পেতেন।
কিন্তু বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ও চিরামসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের সিম আটকে রেখে তাঁদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নিচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে আর পরবর্তীতে কাজে নেওয়া হয় না। ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পান না।
সাহতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। কাজের শুরুতেই আমার মোবাইল ফোনের সিম জমা নিয়ে নেন ইউপি সদস্য। পরবর্তীতে আমাকে ২৭ দিন কাজ করিয়ে আর কাজে নেওয়া হয়নি। অনেক দিন ঘোরানোর পর মাত্র ৮ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি জানতে পেরেছি, আমার মোবাইলে ৪০ দিনের টাকা এসেছে। তাঁরা আমাকে আর টাকা দেননি। পরে যোগাযোগ করলে বলেছেন, “তুমি কাজ করোনি। তাহলে টাকা কীভাবে দেব’’?
একই ওয়ার্ডের ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্পের আরেক কর্মী শ্রমিক বলেন, ‘আমার মোবাইলের সিমও ইউপি সদস্যের কাছে জমা ছিল। আমি ৪০ দিনের প্রকল্পে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে মাত্র ১২ হাজার টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা এখনো পাইনি। কবে পাব সেটা কেউ বলতে পারছে না।’
ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিনের কাছে মোবাইলের সিম আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি কারও সিম জোর করে রাখি না। যারা নিজেদের সিম নিয়ে নিতে চায় তাদের সিম দিয়ে দেওয়া হয়। আর যারা টাকা তুলতে পারে না তাদের সিম আমি রেখে টাকা তুলে বাড়িতে দিয়ে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাহতা ইউনিয়নের অনেক মেম্বার শ্রমিক যে দিনগুলোতে কাজে আসে না সেদিনের টাকা না দিলেও আমি ঠিকই সবাইকে টাকা দিয়েছি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা বলেছে।’
সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘৪০ দিনের কর্মসূচির সিম জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাখার কোনো নিয়ম নেই। এমন অভিযোগ কেউ করেনি, করলে ঠিকই আমার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেব।’
চিরাম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। দুই নারী শ্রমিক জানান, তাঁদের মোবাইলের সিম আটকে ৩ হাজার টাকা করে রেখে দেন আইয়ুব আলী।
তবে সিম আটকে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি পাঁচবারের প্রচেষ্টায় ইউপি সদস্য হয়েছি। তাই শ্রমিকেরাই জোর করে আমাকে এক হাজার, দুই হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।’
বারহাট্টা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিবুর রহমান জানান, এই সিমগুলো উপকারভোগীদের নামে নিবন্ধন করা। এগুলো কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের সিম আটকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভবিষ্যতে কাজ না পাওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে ন্যূনতম মজুরির ভিত্তিতে অবকাঠামো বা রাস্তা সংস্কারে কাজ করেন শ্রমিকেরা। বিনিময়ে একজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। আগে তাঁরা দৈনিক ২০০টাকা পেতেন।
কিন্তু বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ও চিরামসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের সিম আটকে রেখে তাঁদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নিচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে আর পরবর্তীতে কাজে নেওয়া হয় না। ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পান না।
সাহতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। কাজের শুরুতেই আমার মোবাইল ফোনের সিম জমা নিয়ে নেন ইউপি সদস্য। পরবর্তীতে আমাকে ২৭ দিন কাজ করিয়ে আর কাজে নেওয়া হয়নি। অনেক দিন ঘোরানোর পর মাত্র ৮ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি জানতে পেরেছি, আমার মোবাইলে ৪০ দিনের টাকা এসেছে। তাঁরা আমাকে আর টাকা দেননি। পরে যোগাযোগ করলে বলেছেন, “তুমি কাজ করোনি। তাহলে টাকা কীভাবে দেব’’?
একই ওয়ার্ডের ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্পের আরেক কর্মী শ্রমিক বলেন, ‘আমার মোবাইলের সিমও ইউপি সদস্যের কাছে জমা ছিল। আমি ৪০ দিনের প্রকল্পে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে মাত্র ১২ হাজার টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা এখনো পাইনি। কবে পাব সেটা কেউ বলতে পারছে না।’
ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিনের কাছে মোবাইলের সিম আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি কারও সিম জোর করে রাখি না। যারা নিজেদের সিম নিয়ে নিতে চায় তাদের সিম দিয়ে দেওয়া হয়। আর যারা টাকা তুলতে পারে না তাদের সিম আমি রেখে টাকা তুলে বাড়িতে দিয়ে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাহতা ইউনিয়নের অনেক মেম্বার শ্রমিক যে দিনগুলোতে কাজে আসে না সেদিনের টাকা না দিলেও আমি ঠিকই সবাইকে টাকা দিয়েছি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা বলেছে।’
সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘৪০ দিনের কর্মসূচির সিম জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাখার কোনো নিয়ম নেই। এমন অভিযোগ কেউ করেনি, করলে ঠিকই আমার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেব।’
চিরাম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। দুই নারী শ্রমিক জানান, তাঁদের মোবাইলের সিম আটকে ৩ হাজার টাকা করে রেখে দেন আইয়ুব আলী।
তবে সিম আটকে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি পাঁচবারের প্রচেষ্টায় ইউপি সদস্য হয়েছি। তাই শ্রমিকেরাই জোর করে আমাকে এক হাজার, দুই হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।’
বারহাট্টা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিবুর রহমান জানান, এই সিমগুলো উপকারভোগীদের নামে নিবন্ধন করা। এগুলো কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪