Ajker Patrika

ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ‘পাওয়ার ফ্যাক্টর’ বিল

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ১৬
ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ‘পাওয়ার ফ্যাক্টর’ বিল

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিদ্যুতের মূল বিলের সঙ্গে পাওয়ার ফ্যাক্টর নামের বিল যোগ করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। ঝিনাইদহ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি, কোটচাঁদপুর জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ীই এই বিল নেওয়া হচ্ছে দাবি ওই সমিতির জিএম ইসাহক আলী।

ভুক্তভোগী স্বপন ঘোষ বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আমি ৩টি পানি তোলার ছোট মোটর, ১ টি বড় মোটর চালিয়ে আসছি। এ ছাড়া গত ৪ বছর ধরে চাল কল চালাচ্ছি। একপর্যায়ে আমার নজরে আসে যে, আমি প্রতি মাসেই অতিরিক্ত বিল দিচ্ছি। চলতি বছরের গত মাসে আমি বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে যাই। পাওয়ার ফ্যাক্টর বিল নিয়ে কথা বললে তাঁরা আমাকে ভুল-ভালো বুঝ দেন। এরপর আমি বিলটি পরিশোধ করি।

স্বপন ঘোষ আরও বলেন, ‘পরে ওই কার্যালয় থেকে আমাকে পাওয়ার ফ্যাক্টরের একটি নোটিশ দেওয়া হয়। যা বিলে যোগ করার আগেই আমাকে দেওয়ার কথা ছিল। এভাবে দিনের পর দিন এ অফিস গ্রাহকদের কাছ থেকে এই বিল আদায় করে আসছে। যা দেখার কেউ নাই। এ ছাড়া এ সব নিয়ে কথা বলায় সাবদারপুর অফিসের মনিরুল ইসলাম আমাকে দালালসহ বিভিন্ন গালি-গালাজ করেছেন।’

এ বিলের কবলে পড়েছেন সাবদারপুর ইউনিয়নের চাল কল মালিক সাইদুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের। তাঁরা জানান, এর আগে তাঁরা এ বিল কেন যোগ হচ্ছে জানতেন না। তবে গত মাসে বিষয়টি তাঁদের চোখে পড়ে। এর আগেও এ ধরনের বিল দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এজিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিল আগে থেকেই চালু ছিল। তবে আমার আগে যিনি এজিএম ছিলেন তিনি হয়তো এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। এতে সরকারের অনেক লোকসানও হয়েছে। আমি ৫ মাস আগে এখানকার দায়িত্বে আসি। এরপর থেকে এ বিল নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে ১৮ জনকে এ বিল পরিশোধ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসাহক আলী বলেন, ‘যা করা হয়েছে তা সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ীই করা হয়েছে। এ নিয়ে কারওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোনো সুযোগ নাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত