Ajker Patrika

বিলপাড়ার সুস্বাদু চমচম

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ২৪
বিলপাড়ার সুস্বাদু চমচম

পোড়াবাড়ির চমচমের গুণে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে টাঙ্গাইল। আর এখন টাঙ্গাইলের বাসাইলকে পরিচিত করে তুলেছে বিলপাড়ার বিখ্যাত নেওয়াজ আলীর তৈরি চমচম। বিলপাড়ার চমচম স্বাদে ও গন্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাসাইলের কাঞ্চনপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ বিলপাড়ার চমচম নিয়ে কথাগুলো বলেন গর্ব করে।

কাউলজানীর সুন্যা গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, অতুলনীয় স্বাদ, মোহনীয় গন্ধ, পুষ্টিগুণ থাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে বিলপাড়ার চমচমের। আর এসব স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের কারণে পোড়াবাড়ির চমচম থেকে বিলপাড়ার চমচমের রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। সারা দেশে ও দেশের বাইরেও মিষ্টির জগতে এ মিষ্টি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

একেবারে মাত্রামতো মিষ্টি, ঘন রস আর টাটকা ছানার গন্ধমাখা বিলপাড়ার এই মিষ্টি। কেউ কেউ তাই মজা করে বলেন, এটি এমন জিনিস, যে না খাবে সে পস্তাবে! বিদেশ যাওয়ার সময় টাঙ্গাইলের প্রবাসীদের অনেকে বিলপাড়ার নেওয়াজ আলীর তৈরি মিষ্টি সঙ্গে নিয়ে যান।

বিলপাড়ার চমচম তৈরির অভিজ্ঞ কারিগরদের মতে, চমচমের গুণগত মান আর স্বাদ মূলত পানি এবং দুধের ওপরই নির্ভরশীল। এখানে এ দুটি শর্ত পূরণ হয় বলেই এ মিষ্টি স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। তা ছাড়া এ চমচমের ভেতরটা অন্য সব মিষ্টির মতো ভরাট নয়। আর চমচমের গায়ে জড়ানো মাওয়া হতে হবে একদম খাঁটি। এসবে কোনোটাতে ছাড় দিলেই স্বাদ হয়ে যাবে ভিন্ন।

সরেজমিনে কথা হয় বেশ কয়েকজন নিয়মিত মিষ্টি ক্রেতার সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার ক্রেতা তো আছেনই। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ভোজনবিলাসী ক্রেতারা আসছেন বিলপাড়ার চমচম কিনতে।

এ ব্যাপারে কারিগর নেওয়াজ আলী বলেন, ‘আমি প্রায় ২২ বছর যাবৎ মিষ্টির দোকান করে আসছি। দিন দিন অর্ডার বেড়েই চলছে। আমার তৈরি চমচম এখন বিদেশেও যাচ্ছে। এ জনপ্রিয়তা ধরে রেখে কাজ করে যেতে চাই। মিষ্টির গুণগত মান ঠিক রেখে বাসাইলের ঐতিহ্যকে দেশ তথা দেশের বাইরেও আরও ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত