এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
অধস্তন আদালতে সাম্প্রতিক সময়ে নিষ্পত্তির হার বাড়লেও মামলাজটের লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত দেড় দশকের ব্যবধানে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় আড়াই গুণ। দেড় দশক আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। চলতি বছরের মার্চে এই সংখ্যা ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা মনে করেন, মামলার এই জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং বিচারকের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার অনুপাতে বিচারক বাড়াতে হবে। তবে বিচারক বাড়ানোই একমাত্র সমাধান নয়। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির দিকেও জোর দেওয়া প্রয়োজন। আপস-মীমাংসা হলে মামলা কমে যাবে। এ ছাড়া আইনজীবী ও বিচারকদের মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) থাকতে হবে। তাহলে মামলার জট কমবে।
প্রায় একই রকম অভিমত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি অবশ্য বলেন, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিচারক পেতে আইনজীবীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এতে বিচারক হওয়ার আগেই আদালতের বিষয়ে ভালোভাবে জানার সুযোগ হবে। এ ছাড়া বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, যাতে আইনজীবীরা আসতে উৎসাহিত হন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি মামলা। ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৫টিতে। ২০১০ সালে ১৭ লাখ ৩ হাজার ৬৩৫ এবং ২০১১ সালে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৬টিতে দাঁড়ায়। ২০১২ সালে ৩ লাখ বেড়ে হয় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৯। পরের বছর আরও ৩ লাখ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৯ হাজার ৬৭১টিতে। ২০১৪ সালে বেড়ে হয় ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২১। পরের তিন বছরে বৃদ্ধির হার কিছুটা কম ছিল। ২০১৮ প্রায় দুই লাখ বেড়ে মামলা দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৬টিতে। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি হয় ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩। পরের দুই বছরে মামলা বাড়ে বেশি। ফলে ২০২১ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৮টিতে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ১। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত বছর ১০২ জন এবং চলতি বছর ১০০ জন নতুন বিচারক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। শিগগির নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে তাঁর আশা।
অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, বিচারকদের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তাঁর শাস্তির পরিমাণও বাড়ানো প্রয়োজন।
অধস্তন আদালতে সাম্প্রতিক সময়ে নিষ্পত্তির হার বাড়লেও মামলাজটের লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত দেড় দশকের ব্যবধানে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় আড়াই গুণ। দেড় দশক আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। চলতি বছরের মার্চে এই সংখ্যা ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা মনে করেন, মামলার এই জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং বিচারকের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার অনুপাতে বিচারক বাড়াতে হবে। তবে বিচারক বাড়ানোই একমাত্র সমাধান নয়। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির দিকেও জোর দেওয়া প্রয়োজন। আপস-মীমাংসা হলে মামলা কমে যাবে। এ ছাড়া আইনজীবী ও বিচারকদের মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) থাকতে হবে। তাহলে মামলার জট কমবে।
প্রায় একই রকম অভিমত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি অবশ্য বলেন, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিচারক পেতে আইনজীবীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এতে বিচারক হওয়ার আগেই আদালতের বিষয়ে ভালোভাবে জানার সুযোগ হবে। এ ছাড়া বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, যাতে আইনজীবীরা আসতে উৎসাহিত হন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি মামলা। ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৫টিতে। ২০১০ সালে ১৭ লাখ ৩ হাজার ৬৩৫ এবং ২০১১ সালে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৬টিতে দাঁড়ায়। ২০১২ সালে ৩ লাখ বেড়ে হয় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৯। পরের বছর আরও ৩ লাখ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৯ হাজার ৬৭১টিতে। ২০১৪ সালে বেড়ে হয় ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২১। পরের তিন বছরে বৃদ্ধির হার কিছুটা কম ছিল। ২০১৮ প্রায় দুই লাখ বেড়ে মামলা দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৬টিতে। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি হয় ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩। পরের দুই বছরে মামলা বাড়ে বেশি। ফলে ২০২১ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৮টিতে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ১। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত বছর ১০২ জন এবং চলতি বছর ১০০ জন নতুন বিচারক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। শিগগির নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে তাঁর আশা।
অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, বিচারকদের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তাঁর শাস্তির পরিমাণও বাড়ানো প্রয়োজন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪