Ajker Patrika

আবার তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৩
Thumbnail image

মৌলভীবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া কর্মকর্তা আনিছুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমবে, সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কুয়াশায় মোড়ানো সকাল দেখতে অনেকটা রাতের মতো। সারা দিন নেই রোদের দেখা। গাছের পাতা ও টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।

শহরাঞ্চলের বিভিন্ন চায়ের দোকানে দেখা যায়, হাড় কাঁপানো শীত থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য ধোয়া ওঠা গরম চায়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন মানুষেরা।

কুয়াশার সঙ্গে হালকা বাতাস থাকায় শীতের তীব্রতাও বেশি। কুয়াশার ঘন অন্ধকার ভেদ করে শ্রমজীবী মানুষজন ছুটছেন জীবিকার তাগিদে। চলার পথে ছোট ছোট চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে গরম চা পান করে শরীর উষ্ণ করছেন তাঁরা।

‘কাজে যাচ্ছি, খুব শীত লেগেছে। তাই চা খেতে এলাম এখানে। বলেন দিনমজুর রহমান মিয়া।

শহরের কর্মচারী রাজু নাইডু বলেন, ‘সারা দিন গরম কাপড় পরতে হয়। রোদের দেখা নেই ফলে দোকানের ভেতর ঠান্ডা লাগে। শীত বাড়ায় চা বিক্রি একটু বেশি হচ্ছে।’

চা-বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, কুয়াশা পড়লেই চা বিক্রি বেড়ে যায়। শীতে এক কাপ গরম চা খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। সাময়িক শরীরের ঠান্ডা ভাব কাটে।

টানা কয়েক দিন থেকে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে মৌলভীবাজারে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল বেলা অতিরিক্ত ঠান্ডায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয় না।

শীতের তীব্রতায় বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায়। পাশাপাশি ছিন্নমূল ও দিনমজুরেরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে হাওরপাড় ও চা-বাগান এলাকার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত