Ajker Patrika

গৃহবধূকে হত্যার দায় স্বীকার স্বামী-শাশুড়ির

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৪
গৃহবধূকে হত্যার দায় স্বীকার স্বামী-শাশুড়ির

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় জিজ্ঞাসাবাদে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমি আক্তার পারভীনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী ও শাশুড়ি। যৌতুকের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার স্বামী মনির মণ্ডল ও শাশুড়ি মাছুরা বেগমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

গত সোমবার উপজেলার ব্রহ্মপুর সরকারপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা সুমি আক্তার পারভীনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। তবে এই হত্যাকে প্রথমে স্বামীর পরিবারের লোকেরা আত্মহত্যা বলে দাবি করেন। এ ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই রাতেই স্বামী মনরি মণ্ডল ও শাশুড়ি মাছুরা বেগমকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী ও শাশুড়ি হত্যার কথা স্বীকার করেন। গতকাল বুধবার তাঁদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার রাতে সুমির বাবা শহিদুল ইসলাম যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

নলডাঙ্গা থানা-পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মনিরের সঙ্গে ১৫ মাস আগে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর থেকে এক ভরি সোনার গয়নার জন্য চাপ দেন স্বামীর বাড়ির লোকেরা। এ সময় তাঁর ওপর নির্যাতনও চালানো হয়। গত সোমবার স্বামী মনির মণ্ডল ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। বাড়ি এসে তিনি আবারও গয়নার জন্য নির্যাতন করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে পুলিশ।

শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। গয়না দিতে না পারায় আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’

নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত