Ajker Patrika

সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙন, দুর্ঘটনার শঙ্কা

মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, (সুনামগঞ্জ) জামালগঞ্জ
আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, ১৩: ১৮
Thumbnail image

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে চাঁনপুর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এই ভাঙা স্থান দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের দুই লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হোক।

স্থানীরা জানান, পাশের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দাদের জেলা শহরে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। তা ছাড়া ফেনারবাঁক ইউনিয়নের একাংশ ও জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, লালপুর, কালাগুজা, কাশিপুর, মান্নানঘাট বাজার, ইউসুফনগর, সেলিমগঞ্জ বাজার, রামপুর, শরীফপুর, ভুতিয়ারপুর, গজারিয়া বাজার, গোলকপুর বাজার, বাবুপুর, আলীপুরসহ শতাধিক গ্রাম এবং একাধিক বাজারের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়কটি।

এমন অবস্থায় সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষ।

পথচারী মো. সাইফ আলম আরিফ বলেন, ‘সেতুটির উভয় অংশের সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে। এতে যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। তা না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে পথচারীরা।’

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে মান্নাঘাট বাজার যাওয়ার সড়কের চাঁনপুরে সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ ভেঙে গেছে। ভাঙা অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় মেরামত করা হচ্ছে না। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নজরদারি নেই বললেই চলে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম অংশে প্রথমে ভাঙন কম দেখা দিলেও বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

অটোরিকশাচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গাড়ি চালাতে গিয়ে এই ভাঙা অংশে একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছি। আমরা চাই দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হোক।’

পিকআপের চালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই আমি কাঁচামাল নিতে আসি। বেশ কয়েক দিন হয়েছে চাঁনপুরের সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।’

জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়কটি ভাঙার খবর পেয়েছি। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার খবর শুনেছি। শিগগিরই সংস্কার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত