Ajker Patrika

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কাজ, ধসে পড়ার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কাজ, ধসে পড়ার শঙ্কা

বৃষ্টি হলেই ছাদ ও দেয়ালের সংযোগস্থলের ফাটল দিয়ে কক্ষের ভেতরে পানি ঢোকে। শৌচাগারের ফাটা পাইপ দিয়ে ছড়ায় দুর্গন্ধ। ধসে পড়ার ভয়ে আতঙ্কে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই অবস্থা মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তছরুপের জন্য পুরোনো ভবনের দ্বিতীয়তলার ছাদে পাঁচটি ছোট কক্ষ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে অথচ ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ করার কোনো ভিত ছিল না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৬ সালে অর্থ বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বরাদ্দ পেয়েও ভবন নির্মাণ না করে পরিষদের একটি পুরোনো ও জরাজীর্ণ ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে পাঁচটি কক্ষ নির্মাণ করে দেয় তখনকার উপজেলা প্রশাসন। ওইসব কক্ষেই শিক্ষা কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল।

এদিকে ভবন নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই শৌচাগারটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছাদ ও দেয়ায়ের মাঝে ফাটল দেখা দেয়।এখন ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি কক্ষে ঢুকে জরুরি কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শৌচাগারের ফাটা পাইপ দিয়ে ছড়ানো দুর্গন্ধের কারণে নিজ কক্ষে বসে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

পুরোনো ভবনের ছাদে কক্ষ নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য পরিষদ চত্বরে পাঁচ কাঠা জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শৌচাগার দুটি নোংরা অবস্থায় দেখা যায়, যা প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজের জন্য নির্মিত কক্ষগুলো আকারে বেশ ছোট। যেখানে বসে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে পারছিলেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার আর ইমারত নির্মাণের নীতিমালা অনুসরণ না করায় কক্ষগুলো কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কার মধ্যেই ওইসব কক্ষে বসে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে জানমালে ক্ষতি হতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সার্বিক বিষয় জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে ভবনের জন্য জমিও পাওয়া গেছে। শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অধিদপ্তর থেকে অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত