কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় গরুর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। জেলা সদর, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। অন্তত চারটি গরু মারা গেছে।
দুই বছর ধরে দেশে এলএসডি দেখা যাচ্ছে। এটি ভাইরাসজনিত রোগ বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইউনুছ আলী। তিনি বলেন, ‘এই রোগে গরুর চামড়ার উপরিভাগে সারা শরীরে গোটার সৃষ্টি হয়। মশা ও মাছির কামড়ে এক পশু থেকে আরেক পশুতে ছড়ায়। এর চিকিৎসায় এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা দেশে আসেনি। এই রোগ প্রতিরোধে আমরা গোট পক্স ভ্যাকসিন দিই।’
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় অনেক গরুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। আমি নিজেও এই এলাকায় পশু চিকিৎসা করি। অনেকে আমার কাছে আক্রান্ত গরু এনে চিকিৎসা করিয়ে নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালেও স্থানীয় মশালের চর এলাকা থেকে এক ব্যক্তি আক্রান্ত গরু নিয়ে আসেন।’
সফিকুল ইসলামের তথ্যের সূত্র ধরে রসুলপুর গ্রামের নজর আলী ও বাদশা মামুদের বাড়িতে গিয়ে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু পাওয়া গেছে।
বাদশা মামুদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক মাস ধরে দুটি গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিছে। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করিয়াও ভালো হইতেছে না। এখন আর চিকিৎসা করতেছি না। ইয়ার মধ্যে গরুর পায়ের খুরাত ঘা হইছে। হলুদ-টলুদ দিয়া রাখতেছি।’
পনেরো দিন আগে রসুলপুর গ্রামের রেজিয়া বেগমের একটি গরুর বাছুরের গায়ে গোটা বের হতে শুরু করে। পরে তিনি স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক সফিকুল ইসলামের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁর বাছুরের শরীরে গোটার পরিমাণ কমেনি; বরং বাছুরটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। রেজিয়া বলেন, ‘বাছুরের গাত গোটা উঠছে। সফি মেম্বারের কাছে ওষুধ নিয়া চিকিৎসা করাইছি। কিন্তু গোটা ভালো হয় নাই। এখন মেম্বার আর ওষুধ দেয় না। বলছে গোটা ফুটি না বেড়াইলে আর ওষুধ দেওয়া যাবার নয়। এলা বাছুরটা অমনে আছে।’
এদিকে উলিপুরের দলদলিয়া, বজরা ও মাঝবিল এলাকায় এলএসডিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত চারটি গরু মারা গেছে বলে খবর
পাওয়া গেছে।
উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুর হক বলেন, ‘তিন-চার মাসে উপজেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে।
চিকিৎসায় অনেক গরু সুস্থ হয়েছে। এখনো এই রোগে গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা খবর পেলেই সে এলাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করছি।’
নাগেশ্বরী উপজেলাও এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমার উপজেলায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই দু-একটি আক্রান্ত পশু নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসছেন। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় গরুর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। জেলা সদর, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। অন্তত চারটি গরু মারা গেছে।
দুই বছর ধরে দেশে এলএসডি দেখা যাচ্ছে। এটি ভাইরাসজনিত রোগ বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইউনুছ আলী। তিনি বলেন, ‘এই রোগে গরুর চামড়ার উপরিভাগে সারা শরীরে গোটার সৃষ্টি হয়। মশা ও মাছির কামড়ে এক পশু থেকে আরেক পশুতে ছড়ায়। এর চিকিৎসায় এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা দেশে আসেনি। এই রোগ প্রতিরোধে আমরা গোট পক্স ভ্যাকসিন দিই।’
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় অনেক গরুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। আমি নিজেও এই এলাকায় পশু চিকিৎসা করি। অনেকে আমার কাছে আক্রান্ত গরু এনে চিকিৎসা করিয়ে নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালেও স্থানীয় মশালের চর এলাকা থেকে এক ব্যক্তি আক্রান্ত গরু নিয়ে আসেন।’
সফিকুল ইসলামের তথ্যের সূত্র ধরে রসুলপুর গ্রামের নজর আলী ও বাদশা মামুদের বাড়িতে গিয়ে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু পাওয়া গেছে।
বাদশা মামুদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক মাস ধরে দুটি গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিছে। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করিয়াও ভালো হইতেছে না। এখন আর চিকিৎসা করতেছি না। ইয়ার মধ্যে গরুর পায়ের খুরাত ঘা হইছে। হলুদ-টলুদ দিয়া রাখতেছি।’
পনেরো দিন আগে রসুলপুর গ্রামের রেজিয়া বেগমের একটি গরুর বাছুরের গায়ে গোটা বের হতে শুরু করে। পরে তিনি স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক সফিকুল ইসলামের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁর বাছুরের শরীরে গোটার পরিমাণ কমেনি; বরং বাছুরটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। রেজিয়া বলেন, ‘বাছুরের গাত গোটা উঠছে। সফি মেম্বারের কাছে ওষুধ নিয়া চিকিৎসা করাইছি। কিন্তু গোটা ভালো হয় নাই। এখন মেম্বার আর ওষুধ দেয় না। বলছে গোটা ফুটি না বেড়াইলে আর ওষুধ দেওয়া যাবার নয়। এলা বাছুরটা অমনে আছে।’
এদিকে উলিপুরের দলদলিয়া, বজরা ও মাঝবিল এলাকায় এলএসডিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত চারটি গরু মারা গেছে বলে খবর
পাওয়া গেছে।
উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুর হক বলেন, ‘তিন-চার মাসে উপজেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে।
চিকিৎসায় অনেক গরু সুস্থ হয়েছে। এখনো এই রোগে গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা খবর পেলেই সে এলাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করছি।’
নাগেশ্বরী উপজেলাও এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমার উপজেলায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই দু-একটি আক্রান্ত পশু নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসছেন। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪