হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
রাঙামাটির বাজারগুলো এখন আগাম আনারসে ভরপুর হয়ে উঠেছে। দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এই দাম আরও দু-এক মাস থাকবে বলছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাঙামাটিতে এ বছর ২ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। এখন পাহাড়ে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হানিকুইন জাতের আনারস সারা বছর পাওয়া যাবে।
রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি, বন্দুকভাঙা, পুদিখালি, মাওরুম, এদমরা ও হেরেটছড়ি এবং নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, বুড়িঘাটসহ আশপাশের পাহাড়ের বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রঙিন আনারস। আগে এসব এলাকার আনারস বাজারে আসত মে-জুলাই মাসে। কিন্তু এখন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে আগেই বাজারে আসছে।
বগাছড়ি এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম (৪৫) এ বছর ৬০ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন। প্রত্যেক চারায় ফলও এসেছে। ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে প্রতিটি আনারস ১২ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবার তাঁর আয় হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা। রফিকুল বলেন, ‘সামনে রোজা আসছে, তাই রসাল ফল হিসেবে আনারসের দাম আরও বাড়বে।’
এদিকে রাঙামাটি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনারস যাচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকায় নানিয়ারচরের বাগানেই আনারস বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকা।
তবে যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় আনারসের দাম কম পাচ্ছেন রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙা, মাওরুম, পুদিখালী, দিগলীবাগসহ আশপাশের চাষিরা।
পুদিখালীর রতন চাকমা (৪০) বলেন, ‘ব্যবসায়ী ঠিক করা ছিল না। আনারস কেটে বনরূপায় এনেছি। ব্যবসায়ীরা দাম দিতে চাচ্ছেন না। প্রতিটি আনারস ৮ টাকায় বিক্রি করেছি। কিছুদিন আগেও এই আনারস ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।’
আনারস ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া (৪৫) বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আনারস নিচ্ছি। বর্তমানে আনারসে চাহিদা বেশি। গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেড়েছে। সামনে রোজায় আরও বাড়তে পারে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আনারসের আগাম ফলনের মূল কারণ বাগানে হরমোন ব্যবহার। এটি ব্যবহারের কারণে শুধু আগাম নয়, সারা বছর কমবেশি আনারস পাওয়া যাচ্ছে। এটিকে কৃষি বিপ্লবও বলছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য আপ্রু মারমা বলেন, ‘পাহাড়ে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চাষিরা যখন চাচ্ছেন তখনই আনারস চাষ করতে পারছেন। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘হরমোন ব্যবহার অনেকে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বলে এলেও, তা ঠিক নয়। বিশ্বের অনেক দেশে হরমোন প্রয়োগ করা হয়। এটি একটি কৃষি প্রযুক্তি।’
রাঙামাটির বাজারগুলো এখন আগাম আনারসে ভরপুর হয়ে উঠেছে। দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এই দাম আরও দু-এক মাস থাকবে বলছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাঙামাটিতে এ বছর ২ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। এখন পাহাড়ে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হানিকুইন জাতের আনারস সারা বছর পাওয়া যাবে।
রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি, বন্দুকভাঙা, পুদিখালি, মাওরুম, এদমরা ও হেরেটছড়ি এবং নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, বুড়িঘাটসহ আশপাশের পাহাড়ের বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রঙিন আনারস। আগে এসব এলাকার আনারস বাজারে আসত মে-জুলাই মাসে। কিন্তু এখন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে আগেই বাজারে আসছে।
বগাছড়ি এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম (৪৫) এ বছর ৬০ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন। প্রত্যেক চারায় ফলও এসেছে। ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে প্রতিটি আনারস ১২ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবার তাঁর আয় হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা। রফিকুল বলেন, ‘সামনে রোজা আসছে, তাই রসাল ফল হিসেবে আনারসের দাম আরও বাড়বে।’
এদিকে রাঙামাটি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনারস যাচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকায় নানিয়ারচরের বাগানেই আনারস বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকা।
তবে যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় আনারসের দাম কম পাচ্ছেন রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙা, মাওরুম, পুদিখালী, দিগলীবাগসহ আশপাশের চাষিরা।
পুদিখালীর রতন চাকমা (৪০) বলেন, ‘ব্যবসায়ী ঠিক করা ছিল না। আনারস কেটে বনরূপায় এনেছি। ব্যবসায়ীরা দাম দিতে চাচ্ছেন না। প্রতিটি আনারস ৮ টাকায় বিক্রি করেছি। কিছুদিন আগেও এই আনারস ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।’
আনারস ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া (৪৫) বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আনারস নিচ্ছি। বর্তমানে আনারসে চাহিদা বেশি। গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেড়েছে। সামনে রোজায় আরও বাড়তে পারে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আনারসের আগাম ফলনের মূল কারণ বাগানে হরমোন ব্যবহার। এটি ব্যবহারের কারণে শুধু আগাম নয়, সারা বছর কমবেশি আনারস পাওয়া যাচ্ছে। এটিকে কৃষি বিপ্লবও বলছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য আপ্রু মারমা বলেন, ‘পাহাড়ে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চাষিরা যখন চাচ্ছেন তখনই আনারস চাষ করতে পারছেন। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘হরমোন ব্যবহার অনেকে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বলে এলেও, তা ঠিক নয়। বিশ্বের অনেক দেশে হরমোন প্রয়োগ করা হয়। এটি একটি কৃষি প্রযুক্তি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪