Ajker Patrika

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে চায় ইউরোপ

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩, ১৫: ২৩
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে চায় ইউরোপ

১৯৭০ সালের এক মধ্যরাতে আব্দুল জলিল মির্ধার গ্রামে আঘাত হানে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘সাইক্লোন ভোলা’। নিমেষেই বিধ্বস্ত হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি, প্রাণ হারায় কয়েক ডজন মানুষ। তখন মির্ধার বয়স ছিল ১২ বছর। তাকেসহ সব ভাইবোনকে ঘরের মধ্যে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন বাবা-মা, যাতে উজানের ঢেউ তাঁদের ভাসিয়ে নিয়ে যেতে না পারে। সেই যাত্রায় জলিল বেঁচে গেলেও দেশের কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। 

সেই ঘূর্ণিঝড় দেখেছিলেন বরিশালের মির্ধা বেগমও। আজ তাঁর বয়স ৬৫ বছর। ঘূর্ণিঝড়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘সকালে চারপাশে অনেক লাশ ভেসে উঠছিল, মানুষ কাঁদছিল। গবাদিপশু মারা গিয়েছিল। সেই কষ্ট আপনি কোনোভাবেই কল্পনা বা অনুভব করতে পারবেন না।’

সাইক্লোন ভোলা ছিল ক্যাটাগরি-৩ ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫০ মাইল পর্যন্ত। এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে মারাত্মক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটি। বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপার সাইক্লোন আরও ঘন ঘন আঘাত হানছে। ১৯৭০ সালের পর এ ধরনের ঘটনা পাঁচ গুণ বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ এমনভাবে মোকাবিলা করতে শিখেছে, যা ইউরোপসহ বিশ্বের বহু দেশ পারেনি। নিচু উপক্রান্তীয় এলাকা হওয়ার পরও বিশ্বের সবচেয়ে জোরালো প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে দুর্যোগে প্রাণহাণি ১ শতাংশের নিচে নেমেছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশীয় দেশটির অগ্রগতি ইউরোপের ঠিক উল্টো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আকস্মিক বন্যায় ১৮০ জন জার্মান মারা গেছে। ফ্রান্স, স্পেন, গ্রীসেও দাবানলে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এক ঐতিহাসিক দাবদাহে ইউরোপ মহাদেশজুড়ে ৬১ হাজারেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। 

ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষ এখনো দুর্যোগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টায় রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে। 

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ঝুঁকি ও দুর্যোগ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. বায়েস আহমেদ বলেন, ‘অনেক দেশ বাংলাদেশের সাফল্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি বিশ্বমানের উদাহরণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।’ 

১৯৭০ সালের ‘সাইক্লোন ভোলা’র প্রতক্ষ্যদর্শী ও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল জলিল মির্ধা‘ঘূর্ণিঝড় মোখা’ মোকাবিলায় বাংলাদেশ

সর্বশেষ গত ১৪ মে বাংলাদেশের উপকূলে ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা’ আঘাত হানে। এই শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ সফল হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ মাইল বাতাসের বেগে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মিয়ানমারে এটি আঘাত হানে। 

এই ঘূর্ণঝড়ে মিয়ানমারে শত শত লোক মারা গেছে। বাংলাদেশের ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ ক্যাটাগরি-৫-এর এই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। ১৩ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়। তবু কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাইক্লোন প্রিপারেডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) পরিচালক আহমেদুল হক বলেন, ‘আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে যাচ্ছে। ফলে মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।’ 

আহমেদুল হকের মতে, সরকার এপ্রিলের শেষের দিকে প্রাক্‌ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ৪ মে নাগাদ সতর্কবার্তা পেতে শুরু করে। ৯ মে উপকূল থেকে ১ হাজার মাইল দূরে নিম্নচাপটি তৈরি হওয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেয়। মোখা আঘাত হানার দুই দিন আগে ১২ মে রাতে লাল সতর্কতাসংকেত দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৭ লাখ ৫০ হাজার লোককে স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 

আহমেদুল হক বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো একটি প্রাথমিক অ্যাকশন প্রোটোকল আছে। এখানে ৭১টি পূর্বনির্ধারিত কাজ রয়েছে, যা সঠিক পূর্বাভাস, সময়মতো সতর্কতা জারি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।’ 

বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে মোখার মতো ঘূর্ণিঝড়ে লাখো মানুষ প্রাণ হারাত। বিশেষ করে দেশটির উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে। 

‘ঘূর্ণিঝড় ভোলার’ পরে ১৯৭২ সালে সরকার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় অত্যন্ত কার্যকরী আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করে। এরপর আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রযুক্তি, দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও গণ প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করে। 

বাংলাদেশে এই সফলতা এসেছিল চারটি মৌলিক স্তম্ভ ব্যবহার করে। এগুলো ছিল- প্রস্তুতি, প্রশমন, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার। 

ঢাকায় অবস্থিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হক। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ এই জলবায়ু বিজ্ঞানী বলেন, ‘এই কয়েক বছর ধরে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা এবং উচ্ছেদ ব্যবস্থা তৈরি করেছি।’ 

আগে বাংলাদেশে মাত্র তিনটি উপকূলীয় রাডার ছিল, যা উপকূল থেকে ২০০ মাইল দূরে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান চিহ্নিত করতে পারত। এখন সেখানে ২৫৬টি স্থানীয় আবহাওয়া স্টেশন রয়েছে। এগুলো বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের ডেটাসহ আগত ঝড় শনাক্ত ও নিরীক্ষণে সহায়তা করে। 

প্রয়োজনে টিভি ও রেডিওতে সম্প্রচার, এসএমএস বিজ্ঞপ্তি এবং ২৪ ঘন্টা হেল্পলাইনের মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়। সবচেয়ে প্রত্যন্ত এবং অরক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ৭৬ হাজারেরও বেশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি বাহিনী মেগাফোন এবং সাইরেনসহ উপকূলীয় গ্রামে যায়। তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কীকরণ পতাকা তোলে এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাড়িগুলোর দ্বারে দ্বারে গিয়ে সতর্কবার্তা দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের ১৫ হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে যা মাত্র ৪৪টি ছিল। 

বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল।১৯৭৬ সালে মিরধা বেগমের বয়স হয় ১৮ বছর। তখন তিনি স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ওঠেন। এখন তিনি বরিশালে ইউনিট টিম লিডারের পাশাপাশি একজন কৃষক। মিরধা বেগম বলেন, ‘সাইক্লোন ভোলায় অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল, কারণ আমরা প্রস্তুতি বা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। তাই মানুষকে বাঁচাতে আমি স্বেচ্ছাসেবকের কাজ শুরু করেছি।’ 

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের কাজগুলো হলো- প্রাথমিক সতর্কবার্তা প্রচার করা, গ্রামবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়া, উদ্ধার করা, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানসহ ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং পরে শুকনো খাবার বিতরণ করা। 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পশ্চিমা বিশ্বকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিতে পারে। ইমারজেন্সি ইভেন্ট ডেটাবেজ অনুসারে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৩৮৭টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিপর্যয় আঘাত হেনেছে। এতে ৩০ হাজার ৭০৪ জন মারা গেছে এবং ১৮৫ মিলিয়ন মানুষ এসব দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘হারিকেন ইয়ান’ এর আঘাতে ১৩০ জনকে মারা গেছেন, পাকিস্তানে বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন মারা গেছেন, আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১ হাজার ৩৬ জন নিহত হয়েছেন এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ‘মেগি’র আঘাতে ফিলিপাইনে ৩৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৫৬০টি মাঝারি বা বড় আকারের বিপর্যয় ঘটবে। 

অধ্যাপক আহমেদুল হক বলেছেন, ‘এটি বড় চ্যালেঞ্জ, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশগুলোর জন্যও। যখন আপনি হারিকেন ক্যাটরিনার মতো বিপর্যয়ের কথা ভাবেন। আমরা জানি কীভাবে জীবন রক্ষা করতে হয়। আমাদের এই শেখা জ্ঞান বিশ্বের অন্যান্য জাতি-দেশের সঙ্গে বিনিময় করতে ইচ্ছুক।’ 

২০২২ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে ২০২৭ সালের মধ্যে ‘পৃথিবীর সবাইকে’ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশেই কোনো আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষক সংস্থা গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন এক প্রতিবেদনে বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ধরনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ৮০ কোটি ডলার খরচ করলে বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ক্ষতি এড়ানো যাবে। 

তবুও ইতালির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। স্পেনের লা পালমার ক্যানারি দ্বীপে একটি দাবানলের সঙ্গে লড়ছে, যা ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি পুড়িয়ে দিয়েছে। দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে ইউরোপ। বিষয়টি নিয়ে মহাদেশটিতে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মহাদেশটির জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। ঠিক যেমন বাংলাদেশ ছিল ১৯৭০ এর দশকে। 

এই পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ পরিণতি হবে আরও মারাত্মক এবং ব্যয়বহুল। বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের গত সপ্তাহে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, কার্যকরী অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি গ্রীষ্মে প্রায় ৬৮ হাজার ইউরোপীয় প্রচণ্ড গরমে মারা যাবে। ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, বিপর্যয়ের কারণে ১৯৮০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১৩ বিলিয়ন ইউরো মূল্যমানের ক্ষতি হয়েছে, এই অঙ্ক সামনে আরও বাড়বে। 

জাতিসংঘের অধীন থাকা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব পেটেরি তালাস বলেছেন, ‘এই প্রধান জলবায়ু ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলির প্রারম্ভিক সতর্কতা এবং পূর্বাভাসমূলক পদক্ষেপ জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য অত্যাবশ্যক।’ 

সৌভাগ্যক্রমে মহাদেশটির দুর্যোগ পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এপ্রিলে যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো চরম আবহাওয়া সম্পর্কে জরুরি বার্তা সম্প্রচারের জন্য একটি সিস্টেম পরীক্ষা করে। মে মাসে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নতুন ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ করা হয়েছে। প্যারিস, মিলান এবং রটারডামের মতো অন্য শহরগুলো ‘এক্সট্রিম হিট’ অ্যাপ চালু করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, জলবায়ু সম্পর্কিত বিপর্যয় মোকাবিলায় ইউরোপকে প্রস্তুতি আরও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রাকটিক্যাল অ্যাকশনের ‘বন্যা প্রতিরোধী’ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামান্না রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্প, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড এবং আকস্মিক বন্যা মোকাবিলা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে কাজ করছে। এটি স্মার্ট, অত্যাধুনিক সতর্কতা ব্যবস্থা ক্ষয়ক্ষতি কতটা কমিয়ে আনতে পারে তা দেখিয়েছে। 

তামান্না রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের মডেল দুর্যোগকালে জীবন বাঁচাতে সফল হয়েছে। এখন আমাদের এটিতে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে এবং আরও এগিয়ে নিতে হবে।’ 

যুক্তরাজ্যের ‘দ্য টেলিগ্রাফে’ প্রকাশিত পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক পিটার ইয়ংয়ের প্রতিবেদন অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহ-সম্পাদক মুহম্মদ আবদুল বাছেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।

বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।

‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র‌্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র‌্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র‌্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।

দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।

শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’

ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, দিল্লির অবস্থা বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৫.৫

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত