নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ। এত কিছুর জন্য সবচেয়ে দায়ী তো প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি মানুষের অনাচার। এই যে নিজেদের অস্তিত্বের শেকড় ধরে টান দিচ্ছে, সেটাও মানুষ জানে বহু আগে থেকে। কিন্তু এবার হাজার হাজার বিজ্ঞানীর গবেষণা মানবজাতিকে সাফ জানিয়ে দিল, যা হয়েছে অনেক। পৃথিবী নামের এই গ্রহটাকে বাঁচাতে হলে, নিজেদের বাঁচতে হলে, নষ্ট করার মতো সময় আর হাতে নেই। এখনই সজাগ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে। যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ গবেষণায় জানানো হয়েছে এমন সতর্কতা আর আহ্বান। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। দেশে করা বিজ্ঞানীদের বহু গবেষণার সারাংশ এই প্রতিবেদন। ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিকে ‘মানব জাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জলবায়ু ইস্যুতে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় আইপিসিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডল থেকে শুরু করে সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি মূলত মানুষের কারণেই হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৫০ বছরে যে হারে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে, গত দুই হাজার বছরের মধ্যে তেমনটি কখনোই ঘটেনি। আর এর ফল ইতিমধ্যে নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসী ভোগ করতে শুরু করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কীভাগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা উল্লেখ করে পরিবেশ ও পানিবিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের একটা চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। বহু এলাকায় মানুষ থাকতে পারছে না। মানুষকে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। মানুষ তার ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলছে। লবণাক্ততার জন্য ধানসহ কৃষিজাত ফসল হচ্ছে না।’
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, ১৮৫০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরম সময়। আর ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার তিন গুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ১৯৯০-এর দশক থেকে মেরু অঞ্চলে যে হারে বরফ গলছে, তার ৯০ ভাগই হচ্ছে মানবঘটিত কারণে। এসবের জন্যই নজিরবিহীনভাবে বর্তমানে গ্রিস ও তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জার্মানি আর চীনের বন্যার যে রূপ দেখা গেছে, অদূরভবিষ্যতে তেমনটি আর দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। সমুদ্র আরও গরম আর অম্লীয় হয়ে উঠবে। উপকূলীয় এলাকাগুলো খুব দ্রুতই তলিয়ে যেতে শুরু করবে।
বৈশ্বিক বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, এই শতাব্দীর শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। আর আসন্ন বছরগুলোয় যদি নিঃসরণ কমানো না হয়, তবে এই বৃদ্ধি ধারণার চেয়েও আগে হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের অনুমান অবশ্য ২০১৮ সালেই করেছিল আইপিসিসি। পৃথিবীর এমন রুগ্ণদশার জন্য মানুষকেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিকে ‘মানবজাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা যদি সব প্রচেষ্টা এক করি, তাহলে এই জলবায়ু বিপর্যয় এড়িয়ে যেতে পারি। আজকের প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমাদের আর দেরি করার সময় নেই। কোনো অজুহাত দেখানোরও উপায় নেই আর।’
জলবায়ু ইস্যুতে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলনে সফল করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। নভেম্বরের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। সম্মেলনের তিন মাসেরও কম সময় হাতে রেখে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মূলত বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতির একটি সারগর্ভ। সামনের মাসগুলোয় এ সংক্রান্ত বেশ কিছু পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ। এত কিছুর জন্য সবচেয়ে দায়ী তো প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি মানুষের অনাচার। এই যে নিজেদের অস্তিত্বের শেকড় ধরে টান দিচ্ছে, সেটাও মানুষ জানে বহু আগে থেকে। কিন্তু এবার হাজার হাজার বিজ্ঞানীর গবেষণা মানবজাতিকে সাফ জানিয়ে দিল, যা হয়েছে অনেক। পৃথিবী নামের এই গ্রহটাকে বাঁচাতে হলে, নিজেদের বাঁচতে হলে, নষ্ট করার মতো সময় আর হাতে নেই। এখনই সজাগ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে। যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ গবেষণায় জানানো হয়েছে এমন সতর্কতা আর আহ্বান। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। দেশে করা বিজ্ঞানীদের বহু গবেষণার সারাংশ এই প্রতিবেদন। ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিকে ‘মানব জাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জলবায়ু ইস্যুতে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় আইপিসিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডল থেকে শুরু করে সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি মূলত মানুষের কারণেই হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৫০ বছরে যে হারে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে, গত দুই হাজার বছরের মধ্যে তেমনটি কখনোই ঘটেনি। আর এর ফল ইতিমধ্যে নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসী ভোগ করতে শুরু করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কীভাগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা উল্লেখ করে পরিবেশ ও পানিবিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের একটা চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। বহু এলাকায় মানুষ থাকতে পারছে না। মানুষকে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। মানুষ তার ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলছে। লবণাক্ততার জন্য ধানসহ কৃষিজাত ফসল হচ্ছে না।’
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, ১৮৫০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরম সময়। আর ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার তিন গুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ১৯৯০-এর দশক থেকে মেরু অঞ্চলে যে হারে বরফ গলছে, তার ৯০ ভাগই হচ্ছে মানবঘটিত কারণে। এসবের জন্যই নজিরবিহীনভাবে বর্তমানে গ্রিস ও তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জার্মানি আর চীনের বন্যার যে রূপ দেখা গেছে, অদূরভবিষ্যতে তেমনটি আর দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। সমুদ্র আরও গরম আর অম্লীয় হয়ে উঠবে। উপকূলীয় এলাকাগুলো খুব দ্রুতই তলিয়ে যেতে শুরু করবে।
বৈশ্বিক বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, এই শতাব্দীর শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। আর আসন্ন বছরগুলোয় যদি নিঃসরণ কমানো না হয়, তবে এই বৃদ্ধি ধারণার চেয়েও আগে হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের অনুমান অবশ্য ২০১৮ সালেই করেছিল আইপিসিসি। পৃথিবীর এমন রুগ্ণদশার জন্য মানুষকেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিকে ‘মানবজাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা যদি সব প্রচেষ্টা এক করি, তাহলে এই জলবায়ু বিপর্যয় এড়িয়ে যেতে পারি। আজকের প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমাদের আর দেরি করার সময় নেই। কোনো অজুহাত দেখানোরও উপায় নেই আর।’
জলবায়ু ইস্যুতে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলনে সফল করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। নভেম্বরের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। সম্মেলনের তিন মাসেরও কম সময় হাতে রেখে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মূলত বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতির একটি সারগর্ভ। সামনের মাসগুলোয় এ সংক্রান্ত বেশ কিছু পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ। এত কিছুর জন্য সবচেয়ে দায়ী তো প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি মানুষের অনাচার। এই যে নিজেদের অস্তিত্বের শেকড় ধরে টান দিচ্ছে, সেটাও মানুষ জানে বহু আগে থেকে। কিন্তু এবার হাজার হাজার বিজ্ঞানীর গবেষণা মানবজাতিকে সাফ জানিয়ে দিল, যা হয়েছে অনেক। পৃথিবী নামের এই গ্রহটাকে বাঁচাতে হলে, নিজেদের বাঁচতে হলে, নষ্ট করার মতো সময় আর হাতে নেই। এখনই সজাগ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে। যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ গবেষণায় জানানো হয়েছে এমন সতর্কতা আর আহ্বান। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। দেশে করা বিজ্ঞানীদের বহু গবেষণার সারাংশ এই প্রতিবেদন। ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিকে ‘মানব জাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জলবায়ু ইস্যুতে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় আইপিসিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডল থেকে শুরু করে সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি মূলত মানুষের কারণেই হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৫০ বছরে যে হারে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে, গত দুই হাজার বছরের মধ্যে তেমনটি কখনোই ঘটেনি। আর এর ফল ইতিমধ্যে নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসী ভোগ করতে শুরু করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কীভাগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা উল্লেখ করে পরিবেশ ও পানিবিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের একটা চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। বহু এলাকায় মানুষ থাকতে পারছে না। মানুষকে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। মানুষ তার ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলছে। লবণাক্ততার জন্য ধানসহ কৃষিজাত ফসল হচ্ছে না।’
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, ১৮৫০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরম সময়। আর ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার তিন গুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ১৯৯০-এর দশক থেকে মেরু অঞ্চলে যে হারে বরফ গলছে, তার ৯০ ভাগই হচ্ছে মানবঘটিত কারণে। এসবের জন্যই নজিরবিহীনভাবে বর্তমানে গ্রিস ও তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জার্মানি আর চীনের বন্যার যে রূপ দেখা গেছে, অদূরভবিষ্যতে তেমনটি আর দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। সমুদ্র আরও গরম আর অম্লীয় হয়ে উঠবে। উপকূলীয় এলাকাগুলো খুব দ্রুতই তলিয়ে যেতে শুরু করবে।
বৈশ্বিক বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, এই শতাব্দীর শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। আর আসন্ন বছরগুলোয় যদি নিঃসরণ কমানো না হয়, তবে এই বৃদ্ধি ধারণার চেয়েও আগে হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের অনুমান অবশ্য ২০১৮ সালেই করেছিল আইপিসিসি। পৃথিবীর এমন রুগ্ণদশার জন্য মানুষকেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিকে ‘মানবজাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা যদি সব প্রচেষ্টা এক করি, তাহলে এই জলবায়ু বিপর্যয় এড়িয়ে যেতে পারি। আজকের প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমাদের আর দেরি করার সময় নেই। কোনো অজুহাত দেখানোরও উপায় নেই আর।’
জলবায়ু ইস্যুতে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলনে সফল করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। নভেম্বরের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। সম্মেলনের তিন মাসেরও কম সময় হাতে রেখে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মূলত বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতির একটি সারগর্ভ। সামনের মাসগুলোয় এ সংক্রান্ত বেশ কিছু পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ। এত কিছুর জন্য সবচেয়ে দায়ী তো প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি মানুষের অনাচার। এই যে নিজেদের অস্তিত্বের শেকড় ধরে টান দিচ্ছে, সেটাও মানুষ জানে বহু আগে থেকে। কিন্তু এবার হাজার হাজার বিজ্ঞানীর গবেষণা মানবজাতিকে সাফ জানিয়ে দিল, যা হয়েছে অনেক। পৃথিবী নামের এই গ্রহটাকে বাঁচাতে হলে, নিজেদের বাঁচতে হলে, নষ্ট করার মতো সময় আর হাতে নেই। এখনই সজাগ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে। যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ গবেষণায় জানানো হয়েছে এমন সতর্কতা আর আহ্বান। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। দেশে করা বিজ্ঞানীদের বহু গবেষণার সারাংশ এই প্রতিবেদন। ৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিকে ‘মানব জাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জলবায়ু ইস্যুতে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় আইপিসিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডল থেকে শুরু করে সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি মূলত মানুষের কারণেই হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৫০ বছরে যে হারে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে, গত দুই হাজার বছরের মধ্যে তেমনটি কখনোই ঘটেনি। আর এর ফল ইতিমধ্যে নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসী ভোগ করতে শুরু করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কীভাগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা উল্লেখ করে পরিবেশ ও পানিবিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের একটা চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। বহু এলাকায় মানুষ থাকতে পারছে না। মানুষকে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। মানুষ তার ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলছে। লবণাক্ততার জন্য ধানসহ কৃষিজাত ফসল হচ্ছে না।’
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, ১৮৫০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরম সময়। আর ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার তিন গুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ১৯৯০-এর দশক থেকে মেরু অঞ্চলে যে হারে বরফ গলছে, তার ৯০ ভাগই হচ্ছে মানবঘটিত কারণে। এসবের জন্যই নজিরবিহীনভাবে বর্তমানে গ্রিস ও তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জার্মানি আর চীনের বন্যার যে রূপ দেখা গেছে, অদূরভবিষ্যতে তেমনটি আর দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। সমুদ্র আরও গরম আর অম্লীয় হয়ে উঠবে। উপকূলীয় এলাকাগুলো খুব দ্রুতই তলিয়ে যেতে শুরু করবে।
বৈশ্বিক বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, এই শতাব্দীর শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। আর আসন্ন বছরগুলোয় যদি নিঃসরণ কমানো না হয়, তবে এই বৃদ্ধি ধারণার চেয়েও আগে হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের অনুমান অবশ্য ২০১৮ সালেই করেছিল আইপিসিসি। পৃথিবীর এমন রুগ্ণদশার জন্য মানুষকেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিকে ‘মানবজাতির জন্য লাল সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা যদি সব প্রচেষ্টা এক করি, তাহলে এই জলবায়ু বিপর্যয় এড়িয়ে যেতে পারি। আজকের প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমাদের আর দেরি করার সময় নেই। কোনো অজুহাত দেখানোরও উপায় নেই আর।’
জলবায়ু ইস্যুতে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলনে সফল করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। নভেম্বরের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। সম্মেলনের তিন মাসেরও কম সময় হাতে রেখে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মূলত বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতির একটি সারগর্ভ। সামনের মাসগুলোয় এ সংক্রান্ত বেশ কিছু পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ।
১০ আগস্ট ২০২১
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ।
১০ আগস্ট ২০২১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ।
১০ আগস্ট ২০২১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

বিশ্বের এ প্রান্তে খরা তো অন্য প্রান্তে বন্যা। একদিক যখন ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে, অন্য কোথাও তখন পুড়ছে দাবানলে। উষ্ণতায় গলা উত্তরের বরফের পানিতে ডুবতে বসেছে দক্ষিণের একাংশ।
১০ আগস্ট ২০২১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে