দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’
দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ উন্মুক্ত স্থানে কেউ বর্জ্য পোড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্জ্য পোড়ানোর ঘটনায় দায়ী সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ ঘণ্টা আগেআজ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির বায়ুমান ৬৭৪। যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক। এ ছাড়া বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে— ভারতের দিল্লি (২১০), পাকিস্তানের লাহোর (১৭১), চীনের বেইজিং (১৭০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৬৫)।
১৮ ঘণ্টা আগেচলতি বছর বর্ষাকালে ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও বৃষ্টিপাতের সময় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ফলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া দপ্তর।
১ দিন আগেআজ মঙ্গলবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে আছে বাহরাইনের মানামা। আজ বেলা ৮টা ৪০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী শহরটির বায়ুমান ২ হাজার ১৯৬। আর ঢাকার অবস্থান ২০তম। ঢাকার বায়ুমান ১১৫।
২ দিন আগে