নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের বন থেকে ৩১ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির পথে রয়েছে আরও ৩৯০ প্রজাতির প্রাণী। বিলুপ্তির পথে থাকা প্রাণী রক্ষা এবং বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী বনে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ময়ূর দিয়ে বিলুপ্ত প্রাণী বনে ফেরাতে চায় সরকার।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ময়ূর পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সাফারি পার্কে ময়ূর অবমুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকৃতিতেও তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা কেবল বন্য প্রাণী ফিরিয়ে আনাই নয়, তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থলও নিশ্চিত করতে চাই।’
উপদেষ্টা বলেন, একটি সুসংবাদ দিতে চাই—আমাদের বন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ৩৬০টি পদের অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি আমাদের বন সংরক্ষণ ও বন্য প্রাণী সুরক্ষার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
সুন্দরবন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি ও বন্য প্রাণীর সুরক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।’
চিড়িয়াখানায় গেলে মানুষের মন খারাপ হয়ে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই চিড়িয়াখানাগুলো প্রাণীদের জন্য আরও উন্নত বাসস্থান হোক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হাতির করিডর তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী মাস থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
বন্য প্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামান। তিনি বলেন, ‘বন্য প্রাণীকে সবাই ভালোবাসলেও দেখামাত্রই মেরে ফেলা হয়।’ সামুদ্রিক কাছিম সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো জালে উঠলে ডানা বা গলা কেটে দেওয়া হয়। ব্রাজিলে বিশাল সি-বিচের স্থলে তারা ৫ শতাংশ প্রাণীদের জন্য রেখে দেয়। এতে করে সামুদ্রিক প্রাণীর জন্মহার বেড়ে যায়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) মো. খায়রুল হাসান বলেন, কেনিয়ায় হাতিদের জন্য এতিমখানা রয়েছে। সাফারি পার্কের আয় দিয়ে বন্য প্রাণীর জন্য ব্যয় করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে বন্য প্রাণী রক্ষায় একগুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও দুবাই সাফারি পার্কের সাবেক প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ডলাইফ স্পেশালিস্ট ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। তিনি বলেন, আইনের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। একটি স্বাধীন বন্য প্রাণী উইং গঠন করতে হবে। জাতীয় বন্য প্রাণী নীতি তৈরি করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজন প্রয়োজন।
আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ বি এম সারোয়ার আলম তাঁর উপস্থাপনায় জানান, গত ৫০ বছরে ৭৩ শতাংশ বন্য প্রাণী হুমকির মুখে রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ১ লাখ পাখি থাকার কথা, সেখানে পাওয়া গেছে ২২ হাজার ৫৪৭টি। বিভিন্ন চরেও পাখি কমে গেছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বন্য প্রাণীসমৃদ্ধ দেশ হলেও অর্থায়নে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছি। ভারত বাঘ সংরক্ষণে ৫০ বছর যাবৎ কাজ করছে। অথচ আমরা দুই বছর যাবৎ কাজ করছি। হাতি সংরক্ষণে এখনো কোনো অর্থায়ন করা হয়নি। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে কাজ করছেন মাত্র ১৭ জন। তাঁদের লজিস্টিক বিষয়ে মনোযোগ নেই। রাতে টহল দিতে গিয়ে একজন সম্প্রতি নিহত হয়েছেন। তাঁদের ঝুঁকি ভাতা নেই।’ এটি অচিরেই চালু করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশের বন থেকে ৩১ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির পথে রয়েছে আরও ৩৯০ প্রজাতির প্রাণী। বিলুপ্তির পথে থাকা প্রাণী রক্ষা এবং বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী বনে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ময়ূর দিয়ে বিলুপ্ত প্রাণী বনে ফেরাতে চায় সরকার।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ময়ূর পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সাফারি পার্কে ময়ূর অবমুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকৃতিতেও তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা কেবল বন্য প্রাণী ফিরিয়ে আনাই নয়, তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থলও নিশ্চিত করতে চাই।’
উপদেষ্টা বলেন, একটি সুসংবাদ দিতে চাই—আমাদের বন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ৩৬০টি পদের অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি আমাদের বন সংরক্ষণ ও বন্য প্রাণী সুরক্ষার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
সুন্দরবন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি ও বন্য প্রাণীর সুরক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।’
চিড়িয়াখানায় গেলে মানুষের মন খারাপ হয়ে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই চিড়িয়াখানাগুলো প্রাণীদের জন্য আরও উন্নত বাসস্থান হোক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হাতির করিডর তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী মাস থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
বন্য প্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামান। তিনি বলেন, ‘বন্য প্রাণীকে সবাই ভালোবাসলেও দেখামাত্রই মেরে ফেলা হয়।’ সামুদ্রিক কাছিম সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো জালে উঠলে ডানা বা গলা কেটে দেওয়া হয়। ব্রাজিলে বিশাল সি-বিচের স্থলে তারা ৫ শতাংশ প্রাণীদের জন্য রেখে দেয়। এতে করে সামুদ্রিক প্রাণীর জন্মহার বেড়ে যায়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) মো. খায়রুল হাসান বলেন, কেনিয়ায় হাতিদের জন্য এতিমখানা রয়েছে। সাফারি পার্কের আয় দিয়ে বন্য প্রাণীর জন্য ব্যয় করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে বন্য প্রাণী রক্ষায় একগুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও দুবাই সাফারি পার্কের সাবেক প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ডলাইফ স্পেশালিস্ট ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। তিনি বলেন, আইনের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। একটি স্বাধীন বন্য প্রাণী উইং গঠন করতে হবে। জাতীয় বন্য প্রাণী নীতি তৈরি করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজন প্রয়োজন।
আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ বি এম সারোয়ার আলম তাঁর উপস্থাপনায় জানান, গত ৫০ বছরে ৭৩ শতাংশ বন্য প্রাণী হুমকির মুখে রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ১ লাখ পাখি থাকার কথা, সেখানে পাওয়া গেছে ২২ হাজার ৫৪৭টি। বিভিন্ন চরেও পাখি কমে গেছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বন্য প্রাণীসমৃদ্ধ দেশ হলেও অর্থায়নে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছি। ভারত বাঘ সংরক্ষণে ৫০ বছর যাবৎ কাজ করছে। অথচ আমরা দুই বছর যাবৎ কাজ করছি। হাতি সংরক্ষণে এখনো কোনো অর্থায়ন করা হয়নি। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে কাজ করছেন মাত্র ১৭ জন। তাঁদের লজিস্টিক বিষয়ে মনোযোগ নেই। রাতে টহল দিতে গিয়ে একজন সম্প্রতি নিহত হয়েছেন। তাঁদের ঝুঁকি ভাতা নেই।’ এটি অচিরেই চালু করার দাবি জানান তিনি।
আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেঢাকার বায়ুমানে কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়েছে। সাধারণত, বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে বাতাসে দূষককণার উপস্থিতির পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। বিগত কয়েক দিনের প্রায় ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের উন্নতি হয়ে থাকতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে ঢাকার ৮৬, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক
২ দিন আগেপরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। তবে কিছু গাছ শুধু বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করেই থেমে থাকে না, তারা এই গ্যাসকে রীতিমতো পাথরে পরিণত করে! সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আফ্রিকার কেনিয়ার সামবুরু অঞ্চলে এমনই তিন প্রজাতির ত্বিন ফলের গাছ (ডুমুরজাতীয় গাছ) খুঁজে পেয়েছেন, যেগুলো তাদের কাণ্ডে...
৩ দিন আগেগতকাল ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হলেও আজ শহরটির বায়ুমান কিছুটা অবনতি হয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান সূচক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার এর তথ্যমতে, আজ (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৯৮, যা ‘সহনীয়’ সীমায় রয়েছে। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুমান সহনীয় পর্যায়ে
৩ দিন আগে