আনসার উদ্দিন খান পাঠান
পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। নদীর বুকের চর এখনো না-জাগলেও দুই তীরে ধূসর বালি মাথা জাগাচ্ছে। সেই সঙ্গে আসতে শুরু করেছে নানান প্রজাতির শীতের পাখি। পরিযায়ী পাখির ঝাঁক এখনো আসেনি, আসছে কাদাজল খুঁচিয়ে খাবার সংগ্রহে দিনমান ব্যস্ত থাকা কয়েকটি প্রজাতি। তারই একটি নদীটিটি। পানির কিনারে ঘেঁষে দল বেঁধে থাকে।
আমাদের নৌকা নদীর পাড়ে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাঁই করে দিল উড়াল। লতাগুল্মের আড়ালে ক্যামেরা তাক করে বসে আছি। খানিক পরেই আবারও এসে বসল একই জায়গায়। সকালের রোদ্দুরে চকচকে বালি উড়িয়ে এসে নামল ওরা। পাশেই জমে থাকা খানিক জল, সেটিই তাদের লক্ষ্য। ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়ে ওরা, পাশাপাশি বসেও।
লম্বা পা বাদ দিলে দেহের আকার খানিকটা কবুতরের মতো। ধূসর পিঠ, বুক আর পেট ধবধবে সাদা। চোখ, চাঁদি, ঘাড়, চোখ আর গলার নিচ অংশ কালো। মাথায় ঢেউ খেলানো কালো টুপির মতো, পেছনের দিকে একটুখানি ঝুঁটি। বুকে বাদামি একটা ব্যান্ড। লেজের শেষ প্রান্ত কালো। পা দেহের তুলনায় বেশ লম্বা, রং কুচকুচে কালো। জলের মধ্যে চঞ্চু আর গলা ডুবিয়ে কাদার মধ্য থেকে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে। তার-ই ফাঁকে চুপচাপ জিরিয়ে নেয়। জলের কিনার ধরে পাশাপাশি ঝিম ধরে বসে থাকে একটুখানি। তারপর আবার নেমে পড়ে খাবার সংগ্রহে। শব্দ পেলে বা ভয় পেলে একযোগে কান খাড়া করে পা লম্বা করে দাঁড়িয়ে যায় একসঙ্গে, তারপর একসঙ্গে একদিকে উড়াল দেয়। ঝাঁকের উড়ালটাও বেশ সুন্দর। ওড়ার সময় পাখার তিন রং—ধূসর, সাদা আর কালো স্পষ্ট হয়। নীল আকাশ বা চকচকে জলের ব্যাকগ্রাউন্ডে নদীটিটি ঝাঁকের স্পষ্ট তিনরঙা পাখার এক সঙ্গে ওঠানামা দেখে চোখ জুড়ায়। আকাশে উড়ালের গতিপথও ঝাঁকের এক সঙ্গে। শরীর আর পাখনার দূরত্ব এক রেখে ওপর-নিচ, ডান-বাম করে উড়ে যায়। সাঁই করে ওপর থেকে মাটিতে এসে বসেও এক সঙ্গে।
নদীটিটি আমাদের দেশীয় পাখি হলেও খুব বেশি দেখা মেলে না। বড় বড় নদীতে মাঝে মাঝে উদয় হয়। শীতজুড়েই হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে। এর ইংরেজি নাম River Lapwing, আর বৈজ্ঞানিক নাম Vanellus duvaucelil. জল, তার ওপরের আকাশ আর জেগে-ওঠা চর এদের জন্য নিরাপদ হোক। নদীর বুক এসব সুন্দর পাখপাখালির কলকাকলিতে ভরে থাকুক। বেঁচে থাকুক প্রকৃতির এই দৃষ্টিনন্দন বৈচিত্র্য।
লেখক: পুলিশ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহী
পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। নদীর বুকের চর এখনো না-জাগলেও দুই তীরে ধূসর বালি মাথা জাগাচ্ছে। সেই সঙ্গে আসতে শুরু করেছে নানান প্রজাতির শীতের পাখি। পরিযায়ী পাখির ঝাঁক এখনো আসেনি, আসছে কাদাজল খুঁচিয়ে খাবার সংগ্রহে দিনমান ব্যস্ত থাকা কয়েকটি প্রজাতি। তারই একটি নদীটিটি। পানির কিনারে ঘেঁষে দল বেঁধে থাকে।
আমাদের নৌকা নদীর পাড়ে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাঁই করে দিল উড়াল। লতাগুল্মের আড়ালে ক্যামেরা তাক করে বসে আছি। খানিক পরেই আবারও এসে বসল একই জায়গায়। সকালের রোদ্দুরে চকচকে বালি উড়িয়ে এসে নামল ওরা। পাশেই জমে থাকা খানিক জল, সেটিই তাদের লক্ষ্য। ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়ে ওরা, পাশাপাশি বসেও।
লম্বা পা বাদ দিলে দেহের আকার খানিকটা কবুতরের মতো। ধূসর পিঠ, বুক আর পেট ধবধবে সাদা। চোখ, চাঁদি, ঘাড়, চোখ আর গলার নিচ অংশ কালো। মাথায় ঢেউ খেলানো কালো টুপির মতো, পেছনের দিকে একটুখানি ঝুঁটি। বুকে বাদামি একটা ব্যান্ড। লেজের শেষ প্রান্ত কালো। পা দেহের তুলনায় বেশ লম্বা, রং কুচকুচে কালো। জলের মধ্যে চঞ্চু আর গলা ডুবিয়ে কাদার মধ্য থেকে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে। তার-ই ফাঁকে চুপচাপ জিরিয়ে নেয়। জলের কিনার ধরে পাশাপাশি ঝিম ধরে বসে থাকে একটুখানি। তারপর আবার নেমে পড়ে খাবার সংগ্রহে। শব্দ পেলে বা ভয় পেলে একযোগে কান খাড়া করে পা লম্বা করে দাঁড়িয়ে যায় একসঙ্গে, তারপর একসঙ্গে একদিকে উড়াল দেয়। ঝাঁকের উড়ালটাও বেশ সুন্দর। ওড়ার সময় পাখার তিন রং—ধূসর, সাদা আর কালো স্পষ্ট হয়। নীল আকাশ বা চকচকে জলের ব্যাকগ্রাউন্ডে নদীটিটি ঝাঁকের স্পষ্ট তিনরঙা পাখার এক সঙ্গে ওঠানামা দেখে চোখ জুড়ায়। আকাশে উড়ালের গতিপথও ঝাঁকের এক সঙ্গে। শরীর আর পাখনার দূরত্ব এক রেখে ওপর-নিচ, ডান-বাম করে উড়ে যায়। সাঁই করে ওপর থেকে মাটিতে এসে বসেও এক সঙ্গে।
নদীটিটি আমাদের দেশীয় পাখি হলেও খুব বেশি দেখা মেলে না। বড় বড় নদীতে মাঝে মাঝে উদয় হয়। শীতজুড়েই হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে। এর ইংরেজি নাম River Lapwing, আর বৈজ্ঞানিক নাম Vanellus duvaucelil. জল, তার ওপরের আকাশ আর জেগে-ওঠা চর এদের জন্য নিরাপদ হোক। নদীর বুক এসব সুন্দর পাখপাখালির কলকাকলিতে ভরে থাকুক। বেঁচে থাকুক প্রকৃতির এই দৃষ্টিনন্দন বৈচিত্র্য।
লেখক: পুলিশ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহী
বর্ষার শুরু থেকে ঢাকার বাতাসে দূষণ সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও আজ মঙ্গলবার দূষণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। রাজধানী শহরের বায়ুমান আজ ১২৯, যা সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর।
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের আলেম-উলামাগণের সহায়তা প্রয়োজন। তারা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা জমা দিবেন বলে সরকারের প্রত্যাশা।
১ দিন আগেগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঢাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবারও সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারাদিনই অব্যাহত থাকতে পারে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। আজ সোমবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে