অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং তাই আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আসন্ন কপ ২৯-এর সংবাদ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত মেন্টরিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) আয়োজনে এবং অন্যান্য ২৪টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
দূষণ রোধে সকলে মিলে কাজ করতে হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নয়নের মডেলগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং দূষণ রোধে সকলে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আমাদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামারুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘উন্নত শহরগুলো যারা বর্তমানে পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশ দূষণগুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে সাধারণত পাঁচটি পৃথক সেশন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিটি সেশনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কপের ইভেন্টগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে সবার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘COP, CMP, CMA, SBSTA—এই সকল সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা সেই সহযোগিতা যথাযথভাবে প্রদান করেনি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে আমাদের রেসপন্স মেকানিজমকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি ও পরোক্ষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত এজেন্ডাগুলোর ওপর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং একটি কার্যকর লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।’
অ্যাকশন এইডের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ তার মূলপ্রবন্ধে বলেন, ‘আমরা চাইলেই শতভাগ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে পারি। বায়ো এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে এনার্জি ট্রানজিশন মডেল তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা সফলতার সহিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সক্ষম হব। আমাদের নতুন করে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের উত্থাপন করে উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ সংগ্রহ করতে হবে। পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবেই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মেন্টর হিসেবে ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. হাবিবুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, এটিএন বাংলার কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর এবং সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, একাত্তর টিভির সুশান্ত কে সিনহা, ইউএনবির সাংবাদিক মাসুদুল হক, এখন টিভির অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক ইনচার্জ মো. মাহমুদ রাকিব, টিবিএসের ব্যুরো চিফ সামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরামের (বিসিজেএফ) সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং তাই আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আসন্ন কপ ২৯-এর সংবাদ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত মেন্টরিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) আয়োজনে এবং অন্যান্য ২৪টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
দূষণ রোধে সকলে মিলে কাজ করতে হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নয়নের মডেলগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং দূষণ রোধে সকলে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আমাদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামারুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘উন্নত শহরগুলো যারা বর্তমানে পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশ দূষণগুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে সাধারণত পাঁচটি পৃথক সেশন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিটি সেশনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কপের ইভেন্টগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে সবার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘COP, CMP, CMA, SBSTA—এই সকল সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা সেই সহযোগিতা যথাযথভাবে প্রদান করেনি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে আমাদের রেসপন্স মেকানিজমকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি ও পরোক্ষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত এজেন্ডাগুলোর ওপর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং একটি কার্যকর লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।’
অ্যাকশন এইডের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ তার মূলপ্রবন্ধে বলেন, ‘আমরা চাইলেই শতভাগ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে পারি। বায়ো এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে এনার্জি ট্রানজিশন মডেল তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা সফলতার সহিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সক্ষম হব। আমাদের নতুন করে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের উত্থাপন করে উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ সংগ্রহ করতে হবে। পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবেই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মেন্টর হিসেবে ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. হাবিবুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, এটিএন বাংলার কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর এবং সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, একাত্তর টিভির সুশান্ত কে সিনহা, ইউএনবির সাংবাদিক মাসুদুল হক, এখন টিভির অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক ইনচার্জ মো. মাহমুদ রাকিব, টিবিএসের ব্যুরো চিফ সামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরামের (বিসিজেএফ) সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন।
৪৪ বছরে অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ, পরিকল্পনার অভাব ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয়কে অনিবার্য করে তুলেছে। এই সময়ে হারিয়ে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাধার। ঢাকার জলাধার এখন আয়তনের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তাপমাত্রা কমাতে জলাভূমি পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
২১ মিনিট আগেআজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে বাহরাইনের মানামা। শহরটির বায়ুমান ১৭৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, মিশরের কায়রো ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে...
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের অধিকাংশ এলাকাতেই আজ শনিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৌসুমি বায়ু এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমারও সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১ দিন আগে