নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরির প্রতি জোর দিয়েছেন সাবেক সচিব সত্যব্রত সাহা। ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং নিমকো এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সত্যব্রত সাহা বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। দুর্যোগ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অনেকগুলো অনুষঙ্গের ফলাফল। বিভিন্ন কারণে দুর্যোগের পুনঃপৌনিকতা বেড়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ফলে আমাদের দেশের সাংবাদিকদের দায়িত্বও বেশি।’
এ সময়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, খরা-বন্যা ও বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরগুলো আমরা সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত করছি ও দেখছি। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।’
সত্যব্রত সাহা আরও বলেন, ‘এখন যেভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমাদের কার্বন বাজেট শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে ১০ বছরেরও কম সময় আছে। তার মানে, বিশ্বজুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য, আগামী ১০ বছরের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদসহ পুরো সমাজকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্ধারিত হবে আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে। আমাদের হাতে সময় নেই। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাহলে এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা বলেন, আগে গ্রামের কৃষকেরা বাংলা সনের তারিখ দেখে ফসল বুনত, এখন ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেছে, কৃষকেরা এখন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে চাষাবাদ করে না।
তিনি এ সময় ডেলটা প্ল্যান নিয়ে সাংবাদিকদের স্টাডি করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুফী জাকির হোসেন। ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরির প্রতি জোর দিয়েছেন সাবেক সচিব সত্যব্রত সাহা। ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং নিমকো এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সত্যব্রত সাহা বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। দুর্যোগ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অনেকগুলো অনুষঙ্গের ফলাফল। বিভিন্ন কারণে দুর্যোগের পুনঃপৌনিকতা বেড়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ফলে আমাদের দেশের সাংবাদিকদের দায়িত্বও বেশি।’
এ সময়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, খরা-বন্যা ও বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরগুলো আমরা সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত করছি ও দেখছি। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।’
সত্যব্রত সাহা আরও বলেন, ‘এখন যেভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমাদের কার্বন বাজেট শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে ১০ বছরেরও কম সময় আছে। তার মানে, বিশ্বজুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য, আগামী ১০ বছরের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদসহ পুরো সমাজকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্ধারিত হবে আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে। আমাদের হাতে সময় নেই। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাহলে এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা বলেন, আগে গ্রামের কৃষকেরা বাংলা সনের তারিখ দেখে ফসল বুনত, এখন ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেছে, কৃষকেরা এখন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে চাষাবাদ করে না।
তিনি এ সময় ডেলটা প্ল্যান নিয়ে সাংবাদিকদের স্টাডি করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুফী জাকির হোসেন। ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
৪৪ বছরে অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ, পরিকল্পনার অভাব ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয়কে অনিবার্য করে তুলেছে। এই সময়ে হারিয়ে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাধার। ঢাকার জলাধার এখন আয়তনের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তাপমাত্রা কমাতে জলাভূমি পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
১ ঘণ্টা আগেআজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে বাহরাইনের মানামা। শহরটির বায়ুমান ১৭৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, মিশরের কায়রো ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে...
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের অধিকাংশ এলাকাতেই আজ শনিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৌসুমি বায়ু এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমারও সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১ দিন আগে