প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে আশায় উন্মুখ হয়েছে বিশ্ববাসী। সবার আশা, বরাবরের মতো শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ না থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এবার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটবেন বিশ্ব নেতারা।
গতকাল রোববার থেকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হয়েছে কপ-২৬ সম্মেলন। চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। কার্বন নিঃস্বরণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনা আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি আদায়ের বড় প্রত্যাশা নিয়েই চলছে এই সম্মেলন। কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশগুলো কী করছে, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশসহ অন্য চারটি দেশ বিশ্বের বেশির ভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী। যদিও কার্বন নিঃস্বরণ কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল এসব দেশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর থেকে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো।
কার্বনের বৃহত্তম উৎপাদক চীন, যারা বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী। মূলত কয়লার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে দেশটির কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা এখনো বাড়ছে। গত মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বিদেশে নতুন করে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দেন। তবে ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটাতে নিজ দেশে কয়লার উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০২৬ সাল থেকে কয়লার ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং।
নবায়নযোগ্য শক্তিতে অগ্রগতি করেছে চীন। দেশটি এখন বিশ্বব্যাপী সৌর শক্তির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনে বিশ্বের বৃহত্তম। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির মতে, চীনকে তার জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০৬০ সালের মধ্যে কয়লার চাহিদা ৮০ শতাংশের বেশি কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে চীনের নীতি ‘অপর্যাপ্ত’ এবং অন্য দেশগুলো একই পথ অনুসরণ করলে দ্রুতগতিতেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশেরও বেশি শক্তি আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে, যদিও দেশটির নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বাড়ছে। গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রাও কমছে। কিন্তু ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার বলছে, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ এবং নীতি ‘অপর্যাপ্ত’ এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণের জন্য তাদের ‘আরও উন্নতির’ প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো হলো জার্মানি, ইতালি এবং পোল্যান্ড। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার বলছে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য ইইউর নীতি এবং পদক্ষেপগুলো ‘প্রায় যথেষ্ট’ এবং ২০১৮ সাল থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা কমছে।
গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে ভারতের বার্ষিক কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা। তবে দেশটির যুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বিশ্বের ধনী এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর বহন করা উচিত। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য তাদের দায় আরও বেশি। তবে বায়ু, সৌর এবং জলবিদ্যুতের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং কার্বন নিঃসরণ উভয়ই সংকুচিত হয়। তবে দেশটি এখনো কার্বন শোষণের জন্য তাদের বিস্তৃত বনাঞ্চল এবং জলাভূমির ওপর নির্ভরশীল। সেখানকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০ শতাংশের বেশি অবদান রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির।
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে আশায় উন্মুখ হয়েছে বিশ্ববাসী। সবার আশা, বরাবরের মতো শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ না থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এবার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটবেন বিশ্ব নেতারা।
গতকাল রোববার থেকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হয়েছে কপ-২৬ সম্মেলন। চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। কার্বন নিঃস্বরণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনা আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি আদায়ের বড় প্রত্যাশা নিয়েই চলছে এই সম্মেলন। কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশগুলো কী করছে, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশসহ অন্য চারটি দেশ বিশ্বের বেশির ভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী। যদিও কার্বন নিঃস্বরণ কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল এসব দেশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর থেকে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো।
কার্বনের বৃহত্তম উৎপাদক চীন, যারা বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী। মূলত কয়লার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে দেশটির কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা এখনো বাড়ছে। গত মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বিদেশে নতুন করে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দেন। তবে ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটাতে নিজ দেশে কয়লার উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০২৬ সাল থেকে কয়লার ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং।
নবায়নযোগ্য শক্তিতে অগ্রগতি করেছে চীন। দেশটি এখন বিশ্বব্যাপী সৌর শক্তির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনে বিশ্বের বৃহত্তম। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির মতে, চীনকে তার জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০৬০ সালের মধ্যে কয়লার চাহিদা ৮০ শতাংশের বেশি কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে চীনের নীতি ‘অপর্যাপ্ত’ এবং অন্য দেশগুলো একই পথ অনুসরণ করলে দ্রুতগতিতেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশেরও বেশি শক্তি আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে, যদিও দেশটির নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বাড়ছে। গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রাও কমছে। কিন্তু ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার বলছে, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ এবং নীতি ‘অপর্যাপ্ত’ এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণের জন্য তাদের ‘আরও উন্নতির’ প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো হলো জার্মানি, ইতালি এবং পোল্যান্ড। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার বলছে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য ইইউর নীতি এবং পদক্ষেপগুলো ‘প্রায় যথেষ্ট’ এবং ২০১৮ সাল থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা কমছে।
গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে ভারতের বার্ষিক কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা। তবে দেশটির যুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বিশ্বের ধনী এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর বহন করা উচিত। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য তাদের দায় আরও বেশি। তবে বায়ু, সৌর এবং জলবিদ্যুতের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং কার্বন নিঃসরণ উভয়ই সংকুচিত হয়। তবে দেশটি এখনো কার্বন শোষণের জন্য তাদের বিস্তৃত বনাঞ্চল এবং জলাভূমির ওপর নির্ভরশীল। সেখানকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০ শতাংশের বেশি অবদান রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির।
আজ বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজ দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ব
৩ ঘণ্টা আগেসকাল ৯টায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ৯৯, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক। অন্যদিকে গতকাল ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৭৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর ও আরও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আন্দামান সাগরে বর্ষা মৌসুম পৌঁছে গেছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে, আন্দামান সাগরে অবস্থিত ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ আন্দামান-নিকোবরে গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে এমন খবরই দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
১৮ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি হলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকবে। তবে, সামান্য বাড়তে পারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দিনের তাপমাত্রা। কিন্তু গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে