হাসনাত রনী
‘না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে/তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে/ওরে ভোঁদড় ফিরে চা/খোকার নাচন দেখে যা।’ ছোটবেলায় পড়া সেই ছড়ার কথা হয়তো মধ্যবয়সীরা ভুলে যাননি। কিন্তু আজকের যুগের শিশুরা কি ছড়ার সেই প্রাণীটিকে চেনে? কিশোর-যুবারাও হয়তো ভ্রুকুঁচকে বলবেন ভোঁদড় আবার কী?
এই বাংলাদেশে দুই দশক আগেও যাঁরা গ্রামে বড় হয়েছেন, তাঁরা ভোঁদড় দেখেছেন। গ্রামের পুকুর থেকে মাছ ধরে খেতে আসত ভোঁদড়। মাছ এদের খুবই প্রিয় খাদ্য। গ্রামাঞ্চলে ভোঁদড়কে বলা হতো ‘উদবিলাই’ বা ‘উদবিড়াল’।
এরপর অনেক বছর ভোঁদড়ের দেখা নেই। ২০১৪ সালে রাজশাহী শহরসংলগ্ন পদ্মার চরে এক জোড়া ভোঁদড়ের দেখা মেলে। তবে প্রথম ছবি তুলতে পারি ২০১৬ সালে। এরপর প্রায় প্রতিবছরই এক-দুইবার পদ্মার কিছু জায়গায় দেখতে পাই কৌতূহলী এই সুন্দর প্রাণীটাকে। রাজশাহীর পদ্মার চরে মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়ায় এক জোড়া সুন্দর ভোঁদড়।
ভোঁদড় নামের এই প্রাণীটি আধা জলচর ও স্তন্যপায়ী মৎস্যভুক। শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উদবিড়াল নখযুক্ত ও নখহীন—দুই রকমের হয়ে থাকে। পৃথিবীতে মোট সাত প্রজাতির ভোঁদড় পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে বিপন্ন অবস্থায় মোট তিন প্রজাতি টিকে আছে বলে জানা যায়। এদের শরীর কালচে বাদামি, পানি প্রতিরোধক ঘন লোমে ঢাকা। মাথা ও শরীরের মাপ ৬৫-৭৫ সেন্টিমিটার। গলার দিকে একটু সাদা। লেজ ৪০-৪৫ সেন্টিমিটার চ্যাপ্টা, ফলে সাঁতারে বেশ সুবিধা। কান ছোট, পায়ের পাতা হাঁসের পায়ের মতো চ্যাপ্টা। ভোঁদড় ওজনে ৭-১১ কেজি হয়।
পানিতে বাস করার কারণে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরিবর্তনও হয়। লম্বা শরীর, তেলতেলে চামড়া, মাংসল লেজ, হাঁসের পায়ের মতো পায়ের পাতা, ছোট কান, চওড়া মাথা—সবই পানিতে বিচরণের উপযোগী। বরফাবৃত মেরু অঞ্চলের সিল মাছের মতো দেখতে ভোঁদড় খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। এরা এক ডুব দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ধারালো দাঁত দিয়ে মাছ শিকার করতে এদের জুড়ি নেই।
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী বিশেষ করে সুন্দরবনের আশপাশের লোকালয়ে এবং নড়াইল জেলার কিছু মানুষ ভোঁদড়কে পোষ মানিয়ে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে। এসব এলাকায় ভোঁদড়কে ধাড়িয়া বা ধেড়েও বলে।
ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার কাজটিও বেশ মজার। মাছ শিকারের জন্য জেলেরা বাড়িতে ভোঁদড় লালন-পালন করে। মাছ ধরার সময় প্রতিটি জেলেনৌকার এক প্রান্তে ভোঁদড়ের জন্য আলাদা করে খাঁচা বানানো থাকে। মাছ ধরার সময় খাঁচার ডালা খুলে দেওয়া হয়। জেলেরা নৌকায় বাঁধা জাল নদীতে ফেলে ভোঁদড় ছেড়ে দেন। এ সময় লাঠির সঙ্গে এদের শরীর এমনভাবে বাঁধা থাকে, যাতে ছুটে যেতে না পারে। নৌকা নদীর তীরে আসতে থাকে আর ভোঁদড়ের তাড়া খেয়ে মাছগুলো জেলেদের জালে এসে ধরা পড়ে। প্রতিটি ভোঁদড় বছরে সাত থেকে আটবার বাচ্চা দেয়। অন্তত ১০ বছর পর্যন্ত এরা বেঁচে থাকে। পূর্ণবয়স্ক একেকটি ভোঁদড় ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রিও হয়। তবে জলাভূমি ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে এই সুন্দর প্রাণীটিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এদের সংরক্ষণে এখনই উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি।
‘না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে/তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে/ওরে ভোঁদড় ফিরে চা/খোকার নাচন দেখে যা।’ ছোটবেলায় পড়া সেই ছড়ার কথা হয়তো মধ্যবয়সীরা ভুলে যাননি। কিন্তু আজকের যুগের শিশুরা কি ছড়ার সেই প্রাণীটিকে চেনে? কিশোর-যুবারাও হয়তো ভ্রুকুঁচকে বলবেন ভোঁদড় আবার কী?
এই বাংলাদেশে দুই দশক আগেও যাঁরা গ্রামে বড় হয়েছেন, তাঁরা ভোঁদড় দেখেছেন। গ্রামের পুকুর থেকে মাছ ধরে খেতে আসত ভোঁদড়। মাছ এদের খুবই প্রিয় খাদ্য। গ্রামাঞ্চলে ভোঁদড়কে বলা হতো ‘উদবিলাই’ বা ‘উদবিড়াল’।
এরপর অনেক বছর ভোঁদড়ের দেখা নেই। ২০১৪ সালে রাজশাহী শহরসংলগ্ন পদ্মার চরে এক জোড়া ভোঁদড়ের দেখা মেলে। তবে প্রথম ছবি তুলতে পারি ২০১৬ সালে। এরপর প্রায় প্রতিবছরই এক-দুইবার পদ্মার কিছু জায়গায় দেখতে পাই কৌতূহলী এই সুন্দর প্রাণীটাকে। রাজশাহীর পদ্মার চরে মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়ায় এক জোড়া সুন্দর ভোঁদড়।
ভোঁদড় নামের এই প্রাণীটি আধা জলচর ও স্তন্যপায়ী মৎস্যভুক। শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উদবিড়াল নখযুক্ত ও নখহীন—দুই রকমের হয়ে থাকে। পৃথিবীতে মোট সাত প্রজাতির ভোঁদড় পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে বিপন্ন অবস্থায় মোট তিন প্রজাতি টিকে আছে বলে জানা যায়। এদের শরীর কালচে বাদামি, পানি প্রতিরোধক ঘন লোমে ঢাকা। মাথা ও শরীরের মাপ ৬৫-৭৫ সেন্টিমিটার। গলার দিকে একটু সাদা। লেজ ৪০-৪৫ সেন্টিমিটার চ্যাপ্টা, ফলে সাঁতারে বেশ সুবিধা। কান ছোট, পায়ের পাতা হাঁসের পায়ের মতো চ্যাপ্টা। ভোঁদড় ওজনে ৭-১১ কেজি হয়।
পানিতে বাস করার কারণে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরিবর্তনও হয়। লম্বা শরীর, তেলতেলে চামড়া, মাংসল লেজ, হাঁসের পায়ের মতো পায়ের পাতা, ছোট কান, চওড়া মাথা—সবই পানিতে বিচরণের উপযোগী। বরফাবৃত মেরু অঞ্চলের সিল মাছের মতো দেখতে ভোঁদড় খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। এরা এক ডুব দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ধারালো দাঁত দিয়ে মাছ শিকার করতে এদের জুড়ি নেই।
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী বিশেষ করে সুন্দরবনের আশপাশের লোকালয়ে এবং নড়াইল জেলার কিছু মানুষ ভোঁদড়কে পোষ মানিয়ে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে। এসব এলাকায় ভোঁদড়কে ধাড়িয়া বা ধেড়েও বলে।
ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার কাজটিও বেশ মজার। মাছ শিকারের জন্য জেলেরা বাড়িতে ভোঁদড় লালন-পালন করে। মাছ ধরার সময় প্রতিটি জেলেনৌকার এক প্রান্তে ভোঁদড়ের জন্য আলাদা করে খাঁচা বানানো থাকে। মাছ ধরার সময় খাঁচার ডালা খুলে দেওয়া হয়। জেলেরা নৌকায় বাঁধা জাল নদীতে ফেলে ভোঁদড় ছেড়ে দেন। এ সময় লাঠির সঙ্গে এদের শরীর এমনভাবে বাঁধা থাকে, যাতে ছুটে যেতে না পারে। নৌকা নদীর তীরে আসতে থাকে আর ভোঁদড়ের তাড়া খেয়ে মাছগুলো জেলেদের জালে এসে ধরা পড়ে। প্রতিটি ভোঁদড় বছরে সাত থেকে আটবার বাচ্চা দেয়। অন্তত ১০ বছর পর্যন্ত এরা বেঁচে থাকে। পূর্ণবয়স্ক একেকটি ভোঁদড় ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রিও হয়। তবে জলাভূমি ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে এই সুন্দর প্রাণীটিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এদের সংরক্ষণে এখনই উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি।
আজ বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজ দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ব
১৬ ঘণ্টা আগেসকাল ৯টায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ৯৯, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক। অন্যদিকে গতকাল ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৭৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর ও আরও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আন্দামান সাগরে বর্ষা মৌসুম পৌঁছে গেছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে, আন্দামান সাগরে অবস্থিত ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ আন্দামান-নিকোবরে গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে এমন খবরই দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
১ দিন আগেবৃষ্টি হলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকবে। তবে, সামান্য বাড়তে পারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দিনের তাপমাত্রা। কিন্তু গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
১ দিন আগে