মাত্র অর্ধশতক আগেও পৃথিবীর মানুষ তুলনামূলক সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি এসে মানুষের সেই ধারণাকে অনেকটাই ভেঙে দিয়েছে। এরই মধ্যে আরও আশঙ্কার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাবে।
বার্তা সংস্থা এপির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়েই রোগ-জীবাণু বহনকারী প্রাণীগুলো আগের চেয়ে বেশি দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে। মূলত এগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে তাদের বর্তমান আবাসস্থল পরিবর্তন করে নতুন জায়গার খোঁজ করছে, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারে। কেবল প্রাণীই নয়, আঁটুলি, মশা, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল এমনকি ছত্রাকের বিভিন্ন প্রজাতিও তাদের আদি বাসস্থান থেকে অন্যদিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের হার অনেক বেশি দ্রুত এবং অস্বাভাবিক।
এমনকি এসব পরিবর্তন-স্থানান্তর ঘটছে না। এর পেছনে রয়েছে ব্যাপক হারে বনাঞ্চল নির্মূলকরণ, খনি, কৃষি এবং শহরের ব্যাপক সম্প্রসারণ ইত্যাদি। এসব কারণে প্রতিনিয়তই বন্য এলাকা ধ্বংস হচ্ছে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। এই পরিবর্তন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ঘটছে। এর ফলে প্রাণী ও কীট-পতঙ্গের বাসস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে। আর তাই তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই মানুষের লোকালয়ে হানা দিচ্ছে এবং এতে করে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জীবাণু ও সংক্রামক রোগ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও একটি বড় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর তা হলো বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো মৌলিক সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, প্রতিবছর অন্তত ২ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। আর এসব লোকের চিকিৎসা, খাদ্য এবং বাসস্থান উপযোগী না হওয়ায় তারা বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন এবং সেগুলোর বাহক হয়ে উঠছেন।
গবেষকেরা বলছেন, উল্লিখিত বিষয়গুলোর কারণে মানুষের রোগবালাই বাড়ছে। পুরোনো এবং নতুন রোগগুলো আরও প্রবল হয়ে উঠছে। এমনকি কিছু কিছু রোগ এমন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি সেখানে। গবেষকেরা বলছেন, এসব বিষয় আমাদের নির্দেশ করে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করেছে এবং জলবায়ুসংশ্লিষ্ট রোগগুলোকে আরও ভয়ংকর করে তুলছে।
এ বিষয়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনালের চিকিৎসক নিল ভোরা বলেন, ‘এটি (রোগ-বালাইয়ের বিস্তার) কেবল ভবিষ্যতের জন্য নির্ধারিত নয়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে এবং মানুষ এখন কষ্ট পাচ্ছে, মারা যাচ্ছে।’
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন কয়েকটি প্রধান উপায়ে রোগের বিস্তারকে প্রভাবিত করে। যেমন—রোগের বাহক প্রাণী বা কীট-পতঙ্গগুলো তাদের স্থানীয় আবাসস্থলে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে উচ্চ তাপমাত্রা থেকে শীতল তাপমাত্রার এলাকায় যেতে শুরু করেছে এবং যাওয়ার সময় তারা রোগও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি নতুন সেই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের জন্য হুমকির সৃষ্টি করে এবং এটি নতুন প্রাণী এবং বিদ্যমান প্রজাতির মধ্যে বিপজ্জনক মিথস্ক্রিয়া দিকে পরিচালিত করে যার ফলে বাস্তুতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মাত্র অর্ধশতক আগেও পৃথিবীর মানুষ তুলনামূলক সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি এসে মানুষের সেই ধারণাকে অনেকটাই ভেঙে দিয়েছে। এরই মধ্যে আরও আশঙ্কার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাবে।
বার্তা সংস্থা এপির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়েই রোগ-জীবাণু বহনকারী প্রাণীগুলো আগের চেয়ে বেশি দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে। মূলত এগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে তাদের বর্তমান আবাসস্থল পরিবর্তন করে নতুন জায়গার খোঁজ করছে, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারে। কেবল প্রাণীই নয়, আঁটুলি, মশা, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল এমনকি ছত্রাকের বিভিন্ন প্রজাতিও তাদের আদি বাসস্থান থেকে অন্যদিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের হার অনেক বেশি দ্রুত এবং অস্বাভাবিক।
এমনকি এসব পরিবর্তন-স্থানান্তর ঘটছে না। এর পেছনে রয়েছে ব্যাপক হারে বনাঞ্চল নির্মূলকরণ, খনি, কৃষি এবং শহরের ব্যাপক সম্প্রসারণ ইত্যাদি। এসব কারণে প্রতিনিয়তই বন্য এলাকা ধ্বংস হচ্ছে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। এই পরিবর্তন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ঘটছে। এর ফলে প্রাণী ও কীট-পতঙ্গের বাসস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে। আর তাই তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই মানুষের লোকালয়ে হানা দিচ্ছে এবং এতে করে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জীবাণু ও সংক্রামক রোগ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও একটি বড় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর তা হলো বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো মৌলিক সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, প্রতিবছর অন্তত ২ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। আর এসব লোকের চিকিৎসা, খাদ্য এবং বাসস্থান উপযোগী না হওয়ায় তারা বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন এবং সেগুলোর বাহক হয়ে উঠছেন।
গবেষকেরা বলছেন, উল্লিখিত বিষয়গুলোর কারণে মানুষের রোগবালাই বাড়ছে। পুরোনো এবং নতুন রোগগুলো আরও প্রবল হয়ে উঠছে। এমনকি কিছু কিছু রোগ এমন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি সেখানে। গবেষকেরা বলছেন, এসব বিষয় আমাদের নির্দেশ করে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করেছে এবং জলবায়ুসংশ্লিষ্ট রোগগুলোকে আরও ভয়ংকর করে তুলছে।
এ বিষয়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনালের চিকিৎসক নিল ভোরা বলেন, ‘এটি (রোগ-বালাইয়ের বিস্তার) কেবল ভবিষ্যতের জন্য নির্ধারিত নয়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে এবং মানুষ এখন কষ্ট পাচ্ছে, মারা যাচ্ছে।’
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন কয়েকটি প্রধান উপায়ে রোগের বিস্তারকে প্রভাবিত করে। যেমন—রোগের বাহক প্রাণী বা কীট-পতঙ্গগুলো তাদের স্থানীয় আবাসস্থলে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে উচ্চ তাপমাত্রা থেকে শীতল তাপমাত্রার এলাকায় যেতে শুরু করেছে এবং যাওয়ার সময় তারা রোগও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি নতুন সেই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের জন্য হুমকির সৃষ্টি করে এবং এটি নতুন প্রাণী এবং বিদ্যমান প্রজাতির মধ্যে বিপজ্জনক মিথস্ক্রিয়া দিকে পরিচালিত করে যার ফলে বাস্তুতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাসিজা, ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। প্রতিদিন সকালে তাঁর ঘুম ভাঙে সমুদ্রের শব্দে। বিষয়টি শুনতে রোমান্টিক মনে হলেও, পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। সমুদ্র উপকূলে রেজোসারী সেনিক নামের এই ছোট গ্রামে তাঁর বাড়িটিই এখন একমাত্র টিকে থাকা ঘর। জাভার উত্তর উপকূলে একসময় গ্রামটি শুষ্ক ভূমিতে..
২১ ঘণ্টা আগেঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে ব্যস্ত শহুরে জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে ঢাকা আবারও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানেই থাকছে। আজ শনিবারও ঢাকা আছে তালিকার শীর্ষে।
১ দিন আগেসবচেয়ে বিস্তৃতভাবে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম ধাতু, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি।
২ দিন আগেসাধারণত বৃষ্টি হলে কমে আসে দূষণ। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টির পরও বায়ুমানে তেমন উন্নতি নেই। আজ শুক্রবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ এর রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৬১ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক...
২ দিন আগে