ইশতিয়াক হাসান

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরে প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল দ্য মেগ, যেখানে অ্যাকশন তারকা জেসন স্ট্যাথামকে একটি বিশাল প্রাগৈতিহাসিক হাঙরের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল। পাঁচ বছর পর মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চে আবারও স্ট্যাথাম বিশালাকার হাঙরের মুখোমুখি হয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বেন হুইটলি।
এখন চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকদের অনুভূতি যা-ই হোক না কেন, এতে সন্দেহ নেই যে পর্দার প্রাণীটি একসময় সত্যি ছিল। আর আজ আমরা সেই মেগালোডনদের গল্পই বলব।
মেগালোডন হাঙর সাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আজ থেকে দুই কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত। তবে ওই সময়কাল মানুষের মুখোমুখি হওয়ার তুলনায় অনেক আগে। এরা ছিল এযাবৎকালের বৃহত্তম হাঙর এবং সাগরে বিচরণ করা সবচেয়ে বড় প্রাণীদের একটি। তবে তারা কতটা বড় ছিল তা গত কয়েক বছরে স্পষ্ট হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে আরও অনেক নতুন নতুন তথ্য দিয়েছে আমাদের।
বিশাল দাঁত
মেগালোডনেরা মোটামুটি ১৮৪০ সাল থেকে বিজ্ঞানের কাছে পরিচিত, এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে এদের বিশাল ত্রিভুজাকার দাঁত। জীবাশ্মে পরিণত হওয়া এদের দাঁতের অনেক নমুনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় ‘মেগালোডন’ অর্থও বড় দাঁত। আর মোটেই মজা করে এমন নাম দেওয়া হয়নি এদের, এই হাঙরদের কোনো কোনো দাঁতের নমুনা ১৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ৬ দশমিক ৬ ইঞ্চি লম্বা। তুলনা করলে এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের দাঁত সাড়ে সাত সেন্টিমিটার বা ৩ ইঞ্চি লম্বা।
মেগালোডনের দাঁতের সংখ্যা শুনলেও চমক উঠবেন, একেকটি এ প্রজাতির হাঙরের ২৭৬টি দাঁত ছিল এদের মাংস ছিঁড়ে ফেলার নিখুঁত হাতিয়ার। এই হাঙরদেরও কামড় ছিল খুব শক্তিশালী। অনুমান করা হয়, প্রতি বর্গইঞ্চিতে এদের দেওয়া কামড়ের শক্তি আনুমানিক ৪০ হাজার পাউন্ড।
এদের দাঁতের সংখ্যা, আকার আর শক্তি দেখা এটা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে মেগালোডন বিশালাকায় একধরনের বড় হাঙর ছিল, কিন্তু কত বড়?
যদি আপনার কাছে একটি সম্পূর্ণ কঙ্কাল থাকে, তবে উত্তরটা খুব সহজেই আপনি বের করে ফেলতে পারার কথা। কিন্তু এখানেই ঝামেলাটা বাধে। মেগালোডনদের কঙ্কাল শক্ত হাড়ের বদলে নরম তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি। আর এ তরুণাস্থি ভালোভাবে জীবাশ্মে রূপ নেয় না। কাজেই মেগালোডনদের ফসিল রেকর্ড বলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দাঁত এবং কিছু কশেরুকাকে পাই।
মেগালোডনের দাঁতের রসায়ন নিয়ে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোজিওকেমিস্ট সোরা কিম বলেন, ‘হাঙরটি আসলে দেখতে কেমন ছিল সে সম্পর্কে আমাদের কাছে বড় কোনো প্রমাণ নেই।
‘এর মানে মেগালোডনের প্রকৃত আকার ও আকৃতি নিয়ে একটি ধাঁধায়ই পড়ে গেলাম আমরা। এ ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসেন জীবাশ্মবিদরা। তাঁরা মেগালোডনের দাঁতের মাপ পরিমাপ করেন, শরীরের আকার সম্পর্কে জানা আছে এমন অন্যান্য হাঙরদের দাঁতের সঙ্গে তুলনা করে একটি অনুমান দাঁড় করিয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ হয়েছে। তবে অনেক গবেষণা মিলিয়ে ধারণা করা হয় মেগালোডন ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) থেকে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে দৈর্ঘ্যে।’
অর্থাৎ মেগালোডনের তুলনায় আধুনিক যেকোনো হাঙরকে বামনই বলতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় শিকারি হাঙর হলো গ্রেট হোয়াইট শার্ক। যেগুলৌ মোটামুটি ৫ মিটার বা ১৬ ফুটের মতো হয় লম্বায়। এদিকে এখনো সাগরে বিচরণ করা হোয়েইল শার্করা আকারে মেগালোডনদের কাছাকাছি হলেও এরা শিকারি প্রাণী নয়, আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটনের ঝাঁকে খেয়েই বেঁচে থাকে।
ভয়ানক শিকারি প্রাণী
মেগালোডনদের দাঁত নিশ্চিত করছে এরা তুখোড় এক শিকারি প্রাণী ছিল। কিন্তু এরা খেত কী? এর উত্তর দেওয়ার জন্য, গবেষকেরা দাঁতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের শরণাপন্ন হয়েছেন। একটি প্রাণীর শরীরের সমস্ত নাইট্রোজেন তার খাদ্যের প্রোটিন থেকে আসে। নাইট্রোজেন দুটি ‘আইসোটোপে’, একটি নাইট্রোজেন-১৪ এবং অপরটি নাইট্রোজেন-১৫।
২০২২ সালের একটি গবেষণায়, কিমসহ অন্য গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে মেগালোডন দাঁতে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন-১৫ ছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় এটি বড় ধরনের প্রাণী শিকার করে খেতে অভ্যস্ত ছিল। যা হোক, কিম ও শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ কেনশু শিমাদা ২০২২ সালের আরেকটি গবেষণায় জিংকের দিকে মনোযোগ দেন। এটা অনুসারে মেগালোডনদের এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের সঙ্গে কিছু মিল যাওয়া যায় শিকারের দিক থেকে। কিম এটাও জানান, সব মেগালোডন একই খাবার খায় না।
ইউনিভার্সিটি অব জুরিখের জীবাশ্মবিদ পিমিয়েন্টো যেমন বলেছেন, শিশু-কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খাবারের পার্থক্য হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রজাতি থেকে আমরা জানি যে হাঙররা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাদ্য পরিবর্তন করে।’
তবে তাদের সময়ে মেগালোডন ছিল খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষ শিকারি। ধারণা করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টনের এই প্রাণীটির দৈনিক আড়াই হাজার পাউন্ড খাবার খেতে হয়। তিমি এবং ডলফিনের মতো বিভিন্ন বড় সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল এদের খাদ্যতালিকায়। এটি অন্যান্য হাঙরও শিকার করে খেত বলে অনুমান করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, শিশু ও কম বয়স্ক মেগালোডন সম্ভবত তাদের মা-বাবার থেকে বেশ ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন করেছিল। ২০১০ সালে পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা পানামার একটি অঞ্চল থেকে মেগালোডনের যে দাঁতগুলো আবিষ্কার করেন, সেগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকম ছোট। অর্থাৎ এগুলো কম বয়স্ক হাঙর ছিল। কিন্তু এক জায়গায় একসঙ্গে এত শিশু বা বাচ্চা হাঙর থাকার রহস্য কী? গবেষকেরা উপসংহারে পৌঁছান অগভীর সমুদ্রের ওই অঞ্চলটি শিশু হাঙরদের একটি নার্সারি হিসেবে কাজ করেছিল। তরুণ মেগালোডনগুলো তুলনামূলক নিরাপদে সেখানে খেতে পারত, কারণ বড় শিকারি প্রাণীদের জন্য এ ধরনের অগভীর জলে প্রবেশ করাটা ছিল কঠিন।
শিমাদা এবং তাঁর সহকর্মীদের ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের হাঙর জন্মের সময় ৬ দশমিক ৬ ফুটের মতো হতো দৈর্ঘ্যে। তবে এই হাঙরদের সম্পর্কে গবেষণায় বের হয়ে আসা পিলে চমকানো তথ্য হলো, বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য, মেগালোডন হাঙরের বাচ্চারা তাদের নিজের ভাই-বোনদের খেয়ে ফেলত। যেহেতু প্রতিটি ভ্রূণ বড় হয়ে বড় দখল করবে, সেগুলি খাওয়ার ফলে বেঁচে থাকা হাঙরটি বড় আকার নিয়ে জন্ম নেয়। আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই প্রজাতির হাঙরদের বেলায় ডিমে পাড়ার পরিবর্তে মায়ের গর্ভেই বাচ্চা ফুটার ঘটনা ঘটত।
উষ্ণ রক্তের প্রাণী
২০২২ সালে, পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা মেগালোডনের একটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি প্রকাশ করেন। তারপরে তাঁরা অন্যান্য হাঙরের তথ্যের সঙ্গে এটি মেলানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা উপসংহারে পৌঁছেছে যে মেগালোডন তুখোড় সাঁতারু ছিল। তবে কম বয়স্ক হাঙরদের সাঁতারের গতি ছিল বেশি। পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান এরা নিয়মিতভাবে এক মহাসাগর থেকে অন্য মহাসাগরে সাঁতারে বেড়াত খাবারের খোঁজে।
এই সক্রিয় জীবনধারা অন্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা আরেকটি বিষয় ওঠে আসে তা হলো এরা ছিল মূলত উষ্ণ রক্তের প্রাণী। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশে মেগালোডনের দাঁত পাওয়া গেছে। আর এরা নিজস্ব তাপ উৎপন্ন করে নিজেদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় মেগালোডন তার শরীরের অংশগুলি আশপাশের জলের চেয়ে উষ্ণ রাখত। তারপরে ২০২৩ সালের জুনে, শিমাদা, কিমসহ গবেষকদের একটি দল জীবাশ্ম দাঁতের খনিজ থেকে অনুমান করেন মেগালোডন আংশিকভাবে উষ্ণ রক্তযুক্ত এক প্রাণী।
‘মেগালোডন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো উষ্ণ প্রাণী নয়,’ কিম বলেছেন। এটা হতে পারে যে এটি তার শরীরের মূল অংশে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে। অথবা এটি হতে পারে যে এর নিছক আকারের কারণে এটিকে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। যেভাবেই হোক, এর শরীরের ভেতরটা উষ্ণ ছিল।
কীভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল
তবে ঘটনা হলো, বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন, মেগালোডনের আকার এবং উষ্ণ-রক্তের ব্যাপারটাই এর পতন ঢেকে আনে। ‘সমুদ্রের পানির স্তর নেমে যাওয়ার পরে মেগালোডন বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ এ সময় এদের জন্য পর্যাপ্ত শিকার ছিল না।’ পিমিয়েন্টো বলেন। ২০১৭ সালে তিনি এবং তার সহকর্মীরা মহাসাগরে একটি ব্যাপক বিলুপ্তি শনাক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল মেগালোডন এবং অন্যান্য অনেক বড় সামুদ্রিক প্রাণী।
‘মেগালোডনের মতো একটি বড় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন হয়।’ কিম বলেন।
একবার শিকার দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে, মেগালোডনের মতো উষ্ণ রক্তের জীবনধারা বড় মূল্য দিতে হয়। প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ বছর আগে, যখন সাগর শীতল হচ্ছিল এবং শুকিয়ে যাচ্ছিল এবং মেগালোডনগুলি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এ সময় সমুদ্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং সমুদ্র বরফে পরিণত হতে শুরু করে, মেগালোডনদের আবাসস্থলও ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকতে পারে। এদিকে এদের শিকারের একটি বড় অংশ মারা পড়ে বা অন্য কোনো দিকে সরে পড়ে।
এই বিলুপ্তি লাখ লাখ বছর আগে ঘটেছিল। পিমিয়েন্টো এবং সহকর্মীদের ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় ২৬ লাখ বছর আগের কথা বলা হয়, কিন্তু অন্য একটি দলের গবেষণায় সময়টা ৩৫ লাখ বছর আগে বলা হয়েছে।
সঠিক তারিখ নিয়ে তর্ক থাকলেও মেগালোডন আর নেই যে তাতে সন্দেহ নেই। বিশাল এলাকাজুড়ে শিকার করা এই প্রাণীটি যদি সাগরে কোনোভাবে থাকত একে খেয়াল না করার সুযোগ নেই। যদিও চলচ্চিত্রগুলোতে দেখানো হয় এখনো প্রজাতিটি কোনোভাবে বেঁচে আছে। তেমনি অতিরিক্ত আশাবাদী কেউ কেউ দাবি করেন সাগরের কোনো গুপ্ত এলাকায় এখনো বিচরণ করে বেড়াচ্ছে এই তুখোড় শিকারি। তবে গবেষকেরা বলছেন এটা কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। রহস্যময় সাগরের অনেক কিছু এখনো মানুষের অগোচরে থেকে গেলেও এত বিশাল, ভয়ানক একটি প্রাণীর পক্ষে লুকিয়ে থাকা মুশকিলই, কি বলেন!
সূত্র: বিবিসি, লাইভ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরে প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল দ্য মেগ, যেখানে অ্যাকশন তারকা জেসন স্ট্যাথামকে একটি বিশাল প্রাগৈতিহাসিক হাঙরের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল। পাঁচ বছর পর মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চে আবারও স্ট্যাথাম বিশালাকার হাঙরের মুখোমুখি হয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বেন হুইটলি।
এখন চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকদের অনুভূতি যা-ই হোক না কেন, এতে সন্দেহ নেই যে পর্দার প্রাণীটি একসময় সত্যি ছিল। আর আজ আমরা সেই মেগালোডনদের গল্পই বলব।
মেগালোডন হাঙর সাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আজ থেকে দুই কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত। তবে ওই সময়কাল মানুষের মুখোমুখি হওয়ার তুলনায় অনেক আগে। এরা ছিল এযাবৎকালের বৃহত্তম হাঙর এবং সাগরে বিচরণ করা সবচেয়ে বড় প্রাণীদের একটি। তবে তারা কতটা বড় ছিল তা গত কয়েক বছরে স্পষ্ট হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে আরও অনেক নতুন নতুন তথ্য দিয়েছে আমাদের।
বিশাল দাঁত
মেগালোডনেরা মোটামুটি ১৮৪০ সাল থেকে বিজ্ঞানের কাছে পরিচিত, এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে এদের বিশাল ত্রিভুজাকার দাঁত। জীবাশ্মে পরিণত হওয়া এদের দাঁতের অনেক নমুনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় ‘মেগালোডন’ অর্থও বড় দাঁত। আর মোটেই মজা করে এমন নাম দেওয়া হয়নি এদের, এই হাঙরদের কোনো কোনো দাঁতের নমুনা ১৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ৬ দশমিক ৬ ইঞ্চি লম্বা। তুলনা করলে এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের দাঁত সাড়ে সাত সেন্টিমিটার বা ৩ ইঞ্চি লম্বা।
মেগালোডনের দাঁতের সংখ্যা শুনলেও চমক উঠবেন, একেকটি এ প্রজাতির হাঙরের ২৭৬টি দাঁত ছিল এদের মাংস ছিঁড়ে ফেলার নিখুঁত হাতিয়ার। এই হাঙরদেরও কামড় ছিল খুব শক্তিশালী। অনুমান করা হয়, প্রতি বর্গইঞ্চিতে এদের দেওয়া কামড়ের শক্তি আনুমানিক ৪০ হাজার পাউন্ড।
এদের দাঁতের সংখ্যা, আকার আর শক্তি দেখা এটা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে মেগালোডন বিশালাকায় একধরনের বড় হাঙর ছিল, কিন্তু কত বড়?
যদি আপনার কাছে একটি সম্পূর্ণ কঙ্কাল থাকে, তবে উত্তরটা খুব সহজেই আপনি বের করে ফেলতে পারার কথা। কিন্তু এখানেই ঝামেলাটা বাধে। মেগালোডনদের কঙ্কাল শক্ত হাড়ের বদলে নরম তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি। আর এ তরুণাস্থি ভালোভাবে জীবাশ্মে রূপ নেয় না। কাজেই মেগালোডনদের ফসিল রেকর্ড বলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দাঁত এবং কিছু কশেরুকাকে পাই।
মেগালোডনের দাঁতের রসায়ন নিয়ে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোজিওকেমিস্ট সোরা কিম বলেন, ‘হাঙরটি আসলে দেখতে কেমন ছিল সে সম্পর্কে আমাদের কাছে বড় কোনো প্রমাণ নেই।
‘এর মানে মেগালোডনের প্রকৃত আকার ও আকৃতি নিয়ে একটি ধাঁধায়ই পড়ে গেলাম আমরা। এ ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসেন জীবাশ্মবিদরা। তাঁরা মেগালোডনের দাঁতের মাপ পরিমাপ করেন, শরীরের আকার সম্পর্কে জানা আছে এমন অন্যান্য হাঙরদের দাঁতের সঙ্গে তুলনা করে একটি অনুমান দাঁড় করিয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ হয়েছে। তবে অনেক গবেষণা মিলিয়ে ধারণা করা হয় মেগালোডন ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) থেকে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে দৈর্ঘ্যে।’
অর্থাৎ মেগালোডনের তুলনায় আধুনিক যেকোনো হাঙরকে বামনই বলতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় শিকারি হাঙর হলো গ্রেট হোয়াইট শার্ক। যেগুলৌ মোটামুটি ৫ মিটার বা ১৬ ফুটের মতো হয় লম্বায়। এদিকে এখনো সাগরে বিচরণ করা হোয়েইল শার্করা আকারে মেগালোডনদের কাছাকাছি হলেও এরা শিকারি প্রাণী নয়, আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটনের ঝাঁকে খেয়েই বেঁচে থাকে।
ভয়ানক শিকারি প্রাণী
মেগালোডনদের দাঁত নিশ্চিত করছে এরা তুখোড় এক শিকারি প্রাণী ছিল। কিন্তু এরা খেত কী? এর উত্তর দেওয়ার জন্য, গবেষকেরা দাঁতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের শরণাপন্ন হয়েছেন। একটি প্রাণীর শরীরের সমস্ত নাইট্রোজেন তার খাদ্যের প্রোটিন থেকে আসে। নাইট্রোজেন দুটি ‘আইসোটোপে’, একটি নাইট্রোজেন-১৪ এবং অপরটি নাইট্রোজেন-১৫।
২০২২ সালের একটি গবেষণায়, কিমসহ অন্য গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে মেগালোডন দাঁতে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন-১৫ ছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় এটি বড় ধরনের প্রাণী শিকার করে খেতে অভ্যস্ত ছিল। যা হোক, কিম ও শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ কেনশু শিমাদা ২০২২ সালের আরেকটি গবেষণায় জিংকের দিকে মনোযোগ দেন। এটা অনুসারে মেগালোডনদের এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের সঙ্গে কিছু মিল যাওয়া যায় শিকারের দিক থেকে। কিম এটাও জানান, সব মেগালোডন একই খাবার খায় না।
ইউনিভার্সিটি অব জুরিখের জীবাশ্মবিদ পিমিয়েন্টো যেমন বলেছেন, শিশু-কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খাবারের পার্থক্য হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রজাতি থেকে আমরা জানি যে হাঙররা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাদ্য পরিবর্তন করে।’
তবে তাদের সময়ে মেগালোডন ছিল খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষ শিকারি। ধারণা করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টনের এই প্রাণীটির দৈনিক আড়াই হাজার পাউন্ড খাবার খেতে হয়। তিমি এবং ডলফিনের মতো বিভিন্ন বড় সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল এদের খাদ্যতালিকায়। এটি অন্যান্য হাঙরও শিকার করে খেত বলে অনুমান করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, শিশু ও কম বয়স্ক মেগালোডন সম্ভবত তাদের মা-বাবার থেকে বেশ ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন করেছিল। ২০১০ সালে পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা পানামার একটি অঞ্চল থেকে মেগালোডনের যে দাঁতগুলো আবিষ্কার করেন, সেগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকম ছোট। অর্থাৎ এগুলো কম বয়স্ক হাঙর ছিল। কিন্তু এক জায়গায় একসঙ্গে এত শিশু বা বাচ্চা হাঙর থাকার রহস্য কী? গবেষকেরা উপসংহারে পৌঁছান অগভীর সমুদ্রের ওই অঞ্চলটি শিশু হাঙরদের একটি নার্সারি হিসেবে কাজ করেছিল। তরুণ মেগালোডনগুলো তুলনামূলক নিরাপদে সেখানে খেতে পারত, কারণ বড় শিকারি প্রাণীদের জন্য এ ধরনের অগভীর জলে প্রবেশ করাটা ছিল কঠিন।
শিমাদা এবং তাঁর সহকর্মীদের ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের হাঙর জন্মের সময় ৬ দশমিক ৬ ফুটের মতো হতো দৈর্ঘ্যে। তবে এই হাঙরদের সম্পর্কে গবেষণায় বের হয়ে আসা পিলে চমকানো তথ্য হলো, বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য, মেগালোডন হাঙরের বাচ্চারা তাদের নিজের ভাই-বোনদের খেয়ে ফেলত। যেহেতু প্রতিটি ভ্রূণ বড় হয়ে বড় দখল করবে, সেগুলি খাওয়ার ফলে বেঁচে থাকা হাঙরটি বড় আকার নিয়ে জন্ম নেয়। আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই প্রজাতির হাঙরদের বেলায় ডিমে পাড়ার পরিবর্তে মায়ের গর্ভেই বাচ্চা ফুটার ঘটনা ঘটত।
উষ্ণ রক্তের প্রাণী
২০২২ সালে, পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা মেগালোডনের একটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি প্রকাশ করেন। তারপরে তাঁরা অন্যান্য হাঙরের তথ্যের সঙ্গে এটি মেলানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা উপসংহারে পৌঁছেছে যে মেগালোডন তুখোড় সাঁতারু ছিল। তবে কম বয়স্ক হাঙরদের সাঁতারের গতি ছিল বেশি। পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান এরা নিয়মিতভাবে এক মহাসাগর থেকে অন্য মহাসাগরে সাঁতারে বেড়াত খাবারের খোঁজে।
এই সক্রিয় জীবনধারা অন্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা আরেকটি বিষয় ওঠে আসে তা হলো এরা ছিল মূলত উষ্ণ রক্তের প্রাণী। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশে মেগালোডনের দাঁত পাওয়া গেছে। আর এরা নিজস্ব তাপ উৎপন্ন করে নিজেদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় মেগালোডন তার শরীরের অংশগুলি আশপাশের জলের চেয়ে উষ্ণ রাখত। তারপরে ২০২৩ সালের জুনে, শিমাদা, কিমসহ গবেষকদের একটি দল জীবাশ্ম দাঁতের খনিজ থেকে অনুমান করেন মেগালোডন আংশিকভাবে উষ্ণ রক্তযুক্ত এক প্রাণী।
‘মেগালোডন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো উষ্ণ প্রাণী নয়,’ কিম বলেছেন। এটা হতে পারে যে এটি তার শরীরের মূল অংশে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে। অথবা এটি হতে পারে যে এর নিছক আকারের কারণে এটিকে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। যেভাবেই হোক, এর শরীরের ভেতরটা উষ্ণ ছিল।
কীভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল
তবে ঘটনা হলো, বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন, মেগালোডনের আকার এবং উষ্ণ-রক্তের ব্যাপারটাই এর পতন ঢেকে আনে। ‘সমুদ্রের পানির স্তর নেমে যাওয়ার পরে মেগালোডন বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ এ সময় এদের জন্য পর্যাপ্ত শিকার ছিল না।’ পিমিয়েন্টো বলেন। ২০১৭ সালে তিনি এবং তার সহকর্মীরা মহাসাগরে একটি ব্যাপক বিলুপ্তি শনাক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল মেগালোডন এবং অন্যান্য অনেক বড় সামুদ্রিক প্রাণী।
‘মেগালোডনের মতো একটি বড় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন হয়।’ কিম বলেন।
একবার শিকার দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে, মেগালোডনের মতো উষ্ণ রক্তের জীবনধারা বড় মূল্য দিতে হয়। প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ বছর আগে, যখন সাগর শীতল হচ্ছিল এবং শুকিয়ে যাচ্ছিল এবং মেগালোডনগুলি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এ সময় সমুদ্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং সমুদ্র বরফে পরিণত হতে শুরু করে, মেগালোডনদের আবাসস্থলও ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকতে পারে। এদিকে এদের শিকারের একটি বড় অংশ মারা পড়ে বা অন্য কোনো দিকে সরে পড়ে।
এই বিলুপ্তি লাখ লাখ বছর আগে ঘটেছিল। পিমিয়েন্টো এবং সহকর্মীদের ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় ২৬ লাখ বছর আগের কথা বলা হয়, কিন্তু অন্য একটি দলের গবেষণায় সময়টা ৩৫ লাখ বছর আগে বলা হয়েছে।
সঠিক তারিখ নিয়ে তর্ক থাকলেও মেগালোডন আর নেই যে তাতে সন্দেহ নেই। বিশাল এলাকাজুড়ে শিকার করা এই প্রাণীটি যদি সাগরে কোনোভাবে থাকত একে খেয়াল না করার সুযোগ নেই। যদিও চলচ্চিত্রগুলোতে দেখানো হয় এখনো প্রজাতিটি কোনোভাবে বেঁচে আছে। তেমনি অতিরিক্ত আশাবাদী কেউ কেউ দাবি করেন সাগরের কোনো গুপ্ত এলাকায় এখনো বিচরণ করে বেড়াচ্ছে এই তুখোড় শিকারি। তবে গবেষকেরা বলছেন এটা কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। রহস্যময় সাগরের অনেক কিছু এখনো মানুষের অগোচরে থেকে গেলেও এত বিশাল, ভয়ানক একটি প্রাণীর পক্ষে লুকিয়ে থাকা মুশকিলই, কি বলেন!
সূত্র: বিবিসি, লাইভ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস
ইশতিয়াক হাসান

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরে প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল দ্য মেগ, যেখানে অ্যাকশন তারকা জেসন স্ট্যাথামকে একটি বিশাল প্রাগৈতিহাসিক হাঙরের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল। পাঁচ বছর পর মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চে আবারও স্ট্যাথাম বিশালাকার হাঙরের মুখোমুখি হয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বেন হুইটলি।
এখন চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকদের অনুভূতি যা-ই হোক না কেন, এতে সন্দেহ নেই যে পর্দার প্রাণীটি একসময় সত্যি ছিল। আর আজ আমরা সেই মেগালোডনদের গল্পই বলব।
মেগালোডন হাঙর সাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আজ থেকে দুই কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত। তবে ওই সময়কাল মানুষের মুখোমুখি হওয়ার তুলনায় অনেক আগে। এরা ছিল এযাবৎকালের বৃহত্তম হাঙর এবং সাগরে বিচরণ করা সবচেয়ে বড় প্রাণীদের একটি। তবে তারা কতটা বড় ছিল তা গত কয়েক বছরে স্পষ্ট হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে আরও অনেক নতুন নতুন তথ্য দিয়েছে আমাদের।
বিশাল দাঁত
মেগালোডনেরা মোটামুটি ১৮৪০ সাল থেকে বিজ্ঞানের কাছে পরিচিত, এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে এদের বিশাল ত্রিভুজাকার দাঁত। জীবাশ্মে পরিণত হওয়া এদের দাঁতের অনেক নমুনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় ‘মেগালোডন’ অর্থও বড় দাঁত। আর মোটেই মজা করে এমন নাম দেওয়া হয়নি এদের, এই হাঙরদের কোনো কোনো দাঁতের নমুনা ১৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ৬ দশমিক ৬ ইঞ্চি লম্বা। তুলনা করলে এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের দাঁত সাড়ে সাত সেন্টিমিটার বা ৩ ইঞ্চি লম্বা।
মেগালোডনের দাঁতের সংখ্যা শুনলেও চমক উঠবেন, একেকটি এ প্রজাতির হাঙরের ২৭৬টি দাঁত ছিল এদের মাংস ছিঁড়ে ফেলার নিখুঁত হাতিয়ার। এই হাঙরদেরও কামড় ছিল খুব শক্তিশালী। অনুমান করা হয়, প্রতি বর্গইঞ্চিতে এদের দেওয়া কামড়ের শক্তি আনুমানিক ৪০ হাজার পাউন্ড।
এদের দাঁতের সংখ্যা, আকার আর শক্তি দেখা এটা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে মেগালোডন বিশালাকায় একধরনের বড় হাঙর ছিল, কিন্তু কত বড়?
যদি আপনার কাছে একটি সম্পূর্ণ কঙ্কাল থাকে, তবে উত্তরটা খুব সহজেই আপনি বের করে ফেলতে পারার কথা। কিন্তু এখানেই ঝামেলাটা বাধে। মেগালোডনদের কঙ্কাল শক্ত হাড়ের বদলে নরম তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি। আর এ তরুণাস্থি ভালোভাবে জীবাশ্মে রূপ নেয় না। কাজেই মেগালোডনদের ফসিল রেকর্ড বলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দাঁত এবং কিছু কশেরুকাকে পাই।
মেগালোডনের দাঁতের রসায়ন নিয়ে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোজিওকেমিস্ট সোরা কিম বলেন, ‘হাঙরটি আসলে দেখতে কেমন ছিল সে সম্পর্কে আমাদের কাছে বড় কোনো প্রমাণ নেই।
‘এর মানে মেগালোডনের প্রকৃত আকার ও আকৃতি নিয়ে একটি ধাঁধায়ই পড়ে গেলাম আমরা। এ ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসেন জীবাশ্মবিদরা। তাঁরা মেগালোডনের দাঁতের মাপ পরিমাপ করেন, শরীরের আকার সম্পর্কে জানা আছে এমন অন্যান্য হাঙরদের দাঁতের সঙ্গে তুলনা করে একটি অনুমান দাঁড় করিয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ হয়েছে। তবে অনেক গবেষণা মিলিয়ে ধারণা করা হয় মেগালোডন ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) থেকে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে দৈর্ঘ্যে।’
অর্থাৎ মেগালোডনের তুলনায় আধুনিক যেকোনো হাঙরকে বামনই বলতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় শিকারি হাঙর হলো গ্রেট হোয়াইট শার্ক। যেগুলৌ মোটামুটি ৫ মিটার বা ১৬ ফুটের মতো হয় লম্বায়। এদিকে এখনো সাগরে বিচরণ করা হোয়েইল শার্করা আকারে মেগালোডনদের কাছাকাছি হলেও এরা শিকারি প্রাণী নয়, আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটনের ঝাঁকে খেয়েই বেঁচে থাকে।
ভয়ানক শিকারি প্রাণী
মেগালোডনদের দাঁত নিশ্চিত করছে এরা তুখোড় এক শিকারি প্রাণী ছিল। কিন্তু এরা খেত কী? এর উত্তর দেওয়ার জন্য, গবেষকেরা দাঁতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের শরণাপন্ন হয়েছেন। একটি প্রাণীর শরীরের সমস্ত নাইট্রোজেন তার খাদ্যের প্রোটিন থেকে আসে। নাইট্রোজেন দুটি ‘আইসোটোপে’, একটি নাইট্রোজেন-১৪ এবং অপরটি নাইট্রোজেন-১৫।
২০২২ সালের একটি গবেষণায়, কিমসহ অন্য গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে মেগালোডন দাঁতে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন-১৫ ছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় এটি বড় ধরনের প্রাণী শিকার করে খেতে অভ্যস্ত ছিল। যা হোক, কিম ও শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ কেনশু শিমাদা ২০২২ সালের আরেকটি গবেষণায় জিংকের দিকে মনোযোগ দেন। এটা অনুসারে মেগালোডনদের এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের সঙ্গে কিছু মিল যাওয়া যায় শিকারের দিক থেকে। কিম এটাও জানান, সব মেগালোডন একই খাবার খায় না।
ইউনিভার্সিটি অব জুরিখের জীবাশ্মবিদ পিমিয়েন্টো যেমন বলেছেন, শিশু-কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খাবারের পার্থক্য হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রজাতি থেকে আমরা জানি যে হাঙররা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাদ্য পরিবর্তন করে।’
তবে তাদের সময়ে মেগালোডন ছিল খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষ শিকারি। ধারণা করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টনের এই প্রাণীটির দৈনিক আড়াই হাজার পাউন্ড খাবার খেতে হয়। তিমি এবং ডলফিনের মতো বিভিন্ন বড় সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল এদের খাদ্যতালিকায়। এটি অন্যান্য হাঙরও শিকার করে খেত বলে অনুমান করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, শিশু ও কম বয়স্ক মেগালোডন সম্ভবত তাদের মা-বাবার থেকে বেশ ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন করেছিল। ২০১০ সালে পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা পানামার একটি অঞ্চল থেকে মেগালোডনের যে দাঁতগুলো আবিষ্কার করেন, সেগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকম ছোট। অর্থাৎ এগুলো কম বয়স্ক হাঙর ছিল। কিন্তু এক জায়গায় একসঙ্গে এত শিশু বা বাচ্চা হাঙর থাকার রহস্য কী? গবেষকেরা উপসংহারে পৌঁছান অগভীর সমুদ্রের ওই অঞ্চলটি শিশু হাঙরদের একটি নার্সারি হিসেবে কাজ করেছিল। তরুণ মেগালোডনগুলো তুলনামূলক নিরাপদে সেখানে খেতে পারত, কারণ বড় শিকারি প্রাণীদের জন্য এ ধরনের অগভীর জলে প্রবেশ করাটা ছিল কঠিন।
শিমাদা এবং তাঁর সহকর্মীদের ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের হাঙর জন্মের সময় ৬ দশমিক ৬ ফুটের মতো হতো দৈর্ঘ্যে। তবে এই হাঙরদের সম্পর্কে গবেষণায় বের হয়ে আসা পিলে চমকানো তথ্য হলো, বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য, মেগালোডন হাঙরের বাচ্চারা তাদের নিজের ভাই-বোনদের খেয়ে ফেলত। যেহেতু প্রতিটি ভ্রূণ বড় হয়ে বড় দখল করবে, সেগুলি খাওয়ার ফলে বেঁচে থাকা হাঙরটি বড় আকার নিয়ে জন্ম নেয়। আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই প্রজাতির হাঙরদের বেলায় ডিমে পাড়ার পরিবর্তে মায়ের গর্ভেই বাচ্চা ফুটার ঘটনা ঘটত।
উষ্ণ রক্তের প্রাণী
২০২২ সালে, পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা মেগালোডনের একটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি প্রকাশ করেন। তারপরে তাঁরা অন্যান্য হাঙরের তথ্যের সঙ্গে এটি মেলানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা উপসংহারে পৌঁছেছে যে মেগালোডন তুখোড় সাঁতারু ছিল। তবে কম বয়স্ক হাঙরদের সাঁতারের গতি ছিল বেশি। পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান এরা নিয়মিতভাবে এক মহাসাগর থেকে অন্য মহাসাগরে সাঁতারে বেড়াত খাবারের খোঁজে।
এই সক্রিয় জীবনধারা অন্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা আরেকটি বিষয় ওঠে আসে তা হলো এরা ছিল মূলত উষ্ণ রক্তের প্রাণী। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশে মেগালোডনের দাঁত পাওয়া গেছে। আর এরা নিজস্ব তাপ উৎপন্ন করে নিজেদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় মেগালোডন তার শরীরের অংশগুলি আশপাশের জলের চেয়ে উষ্ণ রাখত। তারপরে ২০২৩ সালের জুনে, শিমাদা, কিমসহ গবেষকদের একটি দল জীবাশ্ম দাঁতের খনিজ থেকে অনুমান করেন মেগালোডন আংশিকভাবে উষ্ণ রক্তযুক্ত এক প্রাণী।
‘মেগালোডন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো উষ্ণ প্রাণী নয়,’ কিম বলেছেন। এটা হতে পারে যে এটি তার শরীরের মূল অংশে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে। অথবা এটি হতে পারে যে এর নিছক আকারের কারণে এটিকে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। যেভাবেই হোক, এর শরীরের ভেতরটা উষ্ণ ছিল।
কীভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল
তবে ঘটনা হলো, বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন, মেগালোডনের আকার এবং উষ্ণ-রক্তের ব্যাপারটাই এর পতন ঢেকে আনে। ‘সমুদ্রের পানির স্তর নেমে যাওয়ার পরে মেগালোডন বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ এ সময় এদের জন্য পর্যাপ্ত শিকার ছিল না।’ পিমিয়েন্টো বলেন। ২০১৭ সালে তিনি এবং তার সহকর্মীরা মহাসাগরে একটি ব্যাপক বিলুপ্তি শনাক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল মেগালোডন এবং অন্যান্য অনেক বড় সামুদ্রিক প্রাণী।
‘মেগালোডনের মতো একটি বড় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন হয়।’ কিম বলেন।
একবার শিকার দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে, মেগালোডনের মতো উষ্ণ রক্তের জীবনধারা বড় মূল্য দিতে হয়। প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ বছর আগে, যখন সাগর শীতল হচ্ছিল এবং শুকিয়ে যাচ্ছিল এবং মেগালোডনগুলি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এ সময় সমুদ্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং সমুদ্র বরফে পরিণত হতে শুরু করে, মেগালোডনদের আবাসস্থলও ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকতে পারে। এদিকে এদের শিকারের একটি বড় অংশ মারা পড়ে বা অন্য কোনো দিকে সরে পড়ে।
এই বিলুপ্তি লাখ লাখ বছর আগে ঘটেছিল। পিমিয়েন্টো এবং সহকর্মীদের ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় ২৬ লাখ বছর আগের কথা বলা হয়, কিন্তু অন্য একটি দলের গবেষণায় সময়টা ৩৫ লাখ বছর আগে বলা হয়েছে।
সঠিক তারিখ নিয়ে তর্ক থাকলেও মেগালোডন আর নেই যে তাতে সন্দেহ নেই। বিশাল এলাকাজুড়ে শিকার করা এই প্রাণীটি যদি সাগরে কোনোভাবে থাকত একে খেয়াল না করার সুযোগ নেই। যদিও চলচ্চিত্রগুলোতে দেখানো হয় এখনো প্রজাতিটি কোনোভাবে বেঁচে আছে। তেমনি অতিরিক্ত আশাবাদী কেউ কেউ দাবি করেন সাগরের কোনো গুপ্ত এলাকায় এখনো বিচরণ করে বেড়াচ্ছে এই তুখোড় শিকারি। তবে গবেষকেরা বলছেন এটা কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। রহস্যময় সাগরের অনেক কিছু এখনো মানুষের অগোচরে থেকে গেলেও এত বিশাল, ভয়ানক একটি প্রাণীর পক্ষে লুকিয়ে থাকা মুশকিলই, কি বলেন!
সূত্র: বিবিসি, লাইভ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরে প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল দ্য মেগ, যেখানে অ্যাকশন তারকা জেসন স্ট্যাথামকে একটি বিশাল প্রাগৈতিহাসিক হাঙরের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল। পাঁচ বছর পর মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চে আবারও স্ট্যাথাম বিশালাকার হাঙরের মুখোমুখি হয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বেন হুইটলি।
এখন চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকদের অনুভূতি যা-ই হোক না কেন, এতে সন্দেহ নেই যে পর্দার প্রাণীটি একসময় সত্যি ছিল। আর আজ আমরা সেই মেগালোডনদের গল্পই বলব।
মেগালোডন হাঙর সাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আজ থেকে দুই কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত। তবে ওই সময়কাল মানুষের মুখোমুখি হওয়ার তুলনায় অনেক আগে। এরা ছিল এযাবৎকালের বৃহত্তম হাঙর এবং সাগরে বিচরণ করা সবচেয়ে বড় প্রাণীদের একটি। তবে তারা কতটা বড় ছিল তা গত কয়েক বছরে স্পষ্ট হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে আরও অনেক নতুন নতুন তথ্য দিয়েছে আমাদের।
বিশাল দাঁত
মেগালোডনেরা মোটামুটি ১৮৪০ সাল থেকে বিজ্ঞানের কাছে পরিচিত, এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে এদের বিশাল ত্রিভুজাকার দাঁত। জীবাশ্মে পরিণত হওয়া এদের দাঁতের অনেক নমুনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় ‘মেগালোডন’ অর্থও বড় দাঁত। আর মোটেই মজা করে এমন নাম দেওয়া হয়নি এদের, এই হাঙরদের কোনো কোনো দাঁতের নমুনা ১৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ৬ দশমিক ৬ ইঞ্চি লম্বা। তুলনা করলে এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের দাঁত সাড়ে সাত সেন্টিমিটার বা ৩ ইঞ্চি লম্বা।
মেগালোডনের দাঁতের সংখ্যা শুনলেও চমক উঠবেন, একেকটি এ প্রজাতির হাঙরের ২৭৬টি দাঁত ছিল এদের মাংস ছিঁড়ে ফেলার নিখুঁত হাতিয়ার। এই হাঙরদেরও কামড় ছিল খুব শক্তিশালী। অনুমান করা হয়, প্রতি বর্গইঞ্চিতে এদের দেওয়া কামড়ের শক্তি আনুমানিক ৪০ হাজার পাউন্ড।
এদের দাঁতের সংখ্যা, আকার আর শক্তি দেখা এটা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে মেগালোডন বিশালাকায় একধরনের বড় হাঙর ছিল, কিন্তু কত বড়?
যদি আপনার কাছে একটি সম্পূর্ণ কঙ্কাল থাকে, তবে উত্তরটা খুব সহজেই আপনি বের করে ফেলতে পারার কথা। কিন্তু এখানেই ঝামেলাটা বাধে। মেগালোডনদের কঙ্কাল শক্ত হাড়ের বদলে নরম তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি। আর এ তরুণাস্থি ভালোভাবে জীবাশ্মে রূপ নেয় না। কাজেই মেগালোডনদের ফসিল রেকর্ড বলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দাঁত এবং কিছু কশেরুকাকে পাই।
মেগালোডনের দাঁতের রসায়ন নিয়ে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোজিওকেমিস্ট সোরা কিম বলেন, ‘হাঙরটি আসলে দেখতে কেমন ছিল সে সম্পর্কে আমাদের কাছে বড় কোনো প্রমাণ নেই।
‘এর মানে মেগালোডনের প্রকৃত আকার ও আকৃতি নিয়ে একটি ধাঁধায়ই পড়ে গেলাম আমরা। এ ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসেন জীবাশ্মবিদরা। তাঁরা মেগালোডনের দাঁতের মাপ পরিমাপ করেন, শরীরের আকার সম্পর্কে জানা আছে এমন অন্যান্য হাঙরদের দাঁতের সঙ্গে তুলনা করে একটি অনুমান দাঁড় করিয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ হয়েছে। তবে অনেক গবেষণা মিলিয়ে ধারণা করা হয় মেগালোডন ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) থেকে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে দৈর্ঘ্যে।’
অর্থাৎ মেগালোডনের তুলনায় আধুনিক যেকোনো হাঙরকে বামনই বলতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় শিকারি হাঙর হলো গ্রেট হোয়াইট শার্ক। যেগুলৌ মোটামুটি ৫ মিটার বা ১৬ ফুটের মতো হয় লম্বায়। এদিকে এখনো সাগরে বিচরণ করা হোয়েইল শার্করা আকারে মেগালোডনদের কাছাকাছি হলেও এরা শিকারি প্রাণী নয়, আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটনের ঝাঁকে খেয়েই বেঁচে থাকে।
ভয়ানক শিকারি প্রাণী
মেগালোডনদের দাঁত নিশ্চিত করছে এরা তুখোড় এক শিকারি প্রাণী ছিল। কিন্তু এরা খেত কী? এর উত্তর দেওয়ার জন্য, গবেষকেরা দাঁতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের শরণাপন্ন হয়েছেন। একটি প্রাণীর শরীরের সমস্ত নাইট্রোজেন তার খাদ্যের প্রোটিন থেকে আসে। নাইট্রোজেন দুটি ‘আইসোটোপে’, একটি নাইট্রোজেন-১৪ এবং অপরটি নাইট্রোজেন-১৫।
২০২২ সালের একটি গবেষণায়, কিমসহ অন্য গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে মেগালোডন দাঁতে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন-১৫ ছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় এটি বড় ধরনের প্রাণী শিকার করে খেতে অভ্যস্ত ছিল। যা হোক, কিম ও শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ কেনশু শিমাদা ২০২২ সালের আরেকটি গবেষণায় জিংকের দিকে মনোযোগ দেন। এটা অনুসারে মেগালোডনদের এখনকার গ্রেট হোয়াইট হাঙরদের সঙ্গে কিছু মিল যাওয়া যায় শিকারের দিক থেকে। কিম এটাও জানান, সব মেগালোডন একই খাবার খায় না।
ইউনিভার্সিটি অব জুরিখের জীবাশ্মবিদ পিমিয়েন্টো যেমন বলেছেন, শিশু-কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খাবারের পার্থক্য হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রজাতি থেকে আমরা জানি যে হাঙররা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাদ্য পরিবর্তন করে।’
তবে তাদের সময়ে মেগালোডন ছিল খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষ শিকারি। ধারণা করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টনের এই প্রাণীটির দৈনিক আড়াই হাজার পাউন্ড খাবার খেতে হয়। তিমি এবং ডলফিনের মতো বিভিন্ন বড় সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল এদের খাদ্যতালিকায়। এটি অন্যান্য হাঙরও শিকার করে খেত বলে অনুমান করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, শিশু ও কম বয়স্ক মেগালোডন সম্ভবত তাদের মা-বাবার থেকে বেশ ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন করেছিল। ২০১০ সালে পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা পানামার একটি অঞ্চল থেকে মেগালোডনের যে দাঁতগুলো আবিষ্কার করেন, সেগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকম ছোট। অর্থাৎ এগুলো কম বয়স্ক হাঙর ছিল। কিন্তু এক জায়গায় একসঙ্গে এত শিশু বা বাচ্চা হাঙর থাকার রহস্য কী? গবেষকেরা উপসংহারে পৌঁছান অগভীর সমুদ্রের ওই অঞ্চলটি শিশু হাঙরদের একটি নার্সারি হিসেবে কাজ করেছিল। তরুণ মেগালোডনগুলো তুলনামূলক নিরাপদে সেখানে খেতে পারত, কারণ বড় শিকারি প্রাণীদের জন্য এ ধরনের অগভীর জলে প্রবেশ করাটা ছিল কঠিন।
শিমাদা এবং তাঁর সহকর্মীদের ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের হাঙর জন্মের সময় ৬ দশমিক ৬ ফুটের মতো হতো দৈর্ঘ্যে। তবে এই হাঙরদের সম্পর্কে গবেষণায় বের হয়ে আসা পিলে চমকানো তথ্য হলো, বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য, মেগালোডন হাঙরের বাচ্চারা তাদের নিজের ভাই-বোনদের খেয়ে ফেলত। যেহেতু প্রতিটি ভ্রূণ বড় হয়ে বড় দখল করবে, সেগুলি খাওয়ার ফলে বেঁচে থাকা হাঙরটি বড় আকার নিয়ে জন্ম নেয়। আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই প্রজাতির হাঙরদের বেলায় ডিমে পাড়ার পরিবর্তে মায়ের গর্ভেই বাচ্চা ফুটার ঘটনা ঘটত।
উষ্ণ রক্তের প্রাণী
২০২২ সালে, পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা মেগালোডনের একটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি প্রকাশ করেন। তারপরে তাঁরা অন্যান্য হাঙরের তথ্যের সঙ্গে এটি মেলানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা উপসংহারে পৌঁছেছে যে মেগালোডন তুখোড় সাঁতারু ছিল। তবে কম বয়স্ক হাঙরদের সাঁতারের গতি ছিল বেশি। পিমিয়েন্টো এবং তাঁর সহকর্মীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান এরা নিয়মিতভাবে এক মহাসাগর থেকে অন্য মহাসাগরে সাঁতারে বেড়াত খাবারের খোঁজে।
এই সক্রিয় জীবনধারা অন্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা আরেকটি বিষয় ওঠে আসে তা হলো এরা ছিল মূলত উষ্ণ রক্তের প্রাণী। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশে মেগালোডনের দাঁত পাওয়া গেছে। আর এরা নিজস্ব তাপ উৎপন্ন করে নিজেদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় মেগালোডন তার শরীরের অংশগুলি আশপাশের জলের চেয়ে উষ্ণ রাখত। তারপরে ২০২৩ সালের জুনে, শিমাদা, কিমসহ গবেষকদের একটি দল জীবাশ্ম দাঁতের খনিজ থেকে অনুমান করেন মেগালোডন আংশিকভাবে উষ্ণ রক্তযুক্ত এক প্রাণী।
‘মেগালোডন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো উষ্ণ প্রাণী নয়,’ কিম বলেছেন। এটা হতে পারে যে এটি তার শরীরের মূল অংশে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে। অথবা এটি হতে পারে যে এর নিছক আকারের কারণে এটিকে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। যেভাবেই হোক, এর শরীরের ভেতরটা উষ্ণ ছিল।
কীভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল
তবে ঘটনা হলো, বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন, মেগালোডনের আকার এবং উষ্ণ-রক্তের ব্যাপারটাই এর পতন ঢেকে আনে। ‘সমুদ্রের পানির স্তর নেমে যাওয়ার পরে মেগালোডন বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ এ সময় এদের জন্য পর্যাপ্ত শিকার ছিল না।’ পিমিয়েন্টো বলেন। ২০১৭ সালে তিনি এবং তার সহকর্মীরা মহাসাগরে একটি ব্যাপক বিলুপ্তি শনাক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল মেগালোডন এবং অন্যান্য অনেক বড় সামুদ্রিক প্রাণী।
‘মেগালোডনের মতো একটি বড় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন হয়।’ কিম বলেন।
একবার শিকার দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে, মেগালোডনের মতো উষ্ণ রক্তের জীবনধারা বড় মূল্য দিতে হয়। প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ বছর আগে, যখন সাগর শীতল হচ্ছিল এবং শুকিয়ে যাচ্ছিল এবং মেগালোডনগুলি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এ সময় সমুদ্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং সমুদ্র বরফে পরিণত হতে শুরু করে, মেগালোডনদের আবাসস্থলও ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকতে পারে। এদিকে এদের শিকারের একটি বড় অংশ মারা পড়ে বা অন্য কোনো দিকে সরে পড়ে।
এই বিলুপ্তি লাখ লাখ বছর আগে ঘটেছিল। পিমিয়েন্টো এবং সহকর্মীদের ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় ২৬ লাখ বছর আগের কথা বলা হয়, কিন্তু অন্য একটি দলের গবেষণায় সময়টা ৩৫ লাখ বছর আগে বলা হয়েছে।
সঠিক তারিখ নিয়ে তর্ক থাকলেও মেগালোডন আর নেই যে তাতে সন্দেহ নেই। বিশাল এলাকাজুড়ে শিকার করা এই প্রাণীটি যদি সাগরে কোনোভাবে থাকত একে খেয়াল না করার সুযোগ নেই। যদিও চলচ্চিত্রগুলোতে দেখানো হয় এখনো প্রজাতিটি কোনোভাবে বেঁচে আছে। তেমনি অতিরিক্ত আশাবাদী কেউ কেউ দাবি করেন সাগরের কোনো গুপ্ত এলাকায় এখনো বিচরণ করে বেড়াচ্ছে এই তুখোড় শিকারি। তবে গবেষকেরা বলছেন এটা কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। রহস্যময় সাগরের অনেক কিছু এখনো মানুষের অগোচরে থেকে গেলেও এত বিশাল, ভয়ানক একটি প্রাণীর পক্ষে লুকিয়ে থাকা মুশকিলই, কি বলেন!
সূত্র: বিবিসি, লাইভ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরের প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা মেগালোডনদের গল্পই বলব।
১৪ আগস্ট ২০২৩
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরের প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা মেগালোডনদের গল্পই বলব।
১৪ আগস্ট ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরের প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা মেগালোডনদের গল্পই বলব।
১৪ আগস্ট ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১২ ঘণ্টা আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

মেগালোডন ছিল তাদের সময়ে সাগরের প্রধান শিকারি প্রাণী। অনেকের ধারণা, হলিউডি ছবির কল্পনার জগতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল এ জাতের হাঙরেরা। পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত দৈত্যকার এই হাঙর আবার ফিরে এসেছে, তবে বাস্তবে নয় সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা মেগালোডনদের গল্পই বলব।
১৪ আগস্ট ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে