
গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন ভয়াবহ তাপের হাত থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিল।
মজিদ লাব্বাফ খানেইকি মুষ্টিমেয় সেই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম যারা ৩ হাজার বছরের পুরোনো কানাত নামের ভূগর্ভস্থ পানির প্রযুক্তিকে আধুনিক বিশ্বে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন।
শুরুর দিকে কানাত নামের এই টানেল তৈরি হতো কুড়াল ও বেলচা দিয়ে। চীন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানে এ ধরনের টানেল তৈরি হতো। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে পারস্যে তৈরি হয়েছিল প্রথম কানাত এবং তারপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে শুষ্ক অঞ্চলে।
প্রাচীন এই ব্যবস্থাটি মরুভূমি পৃষ্ঠের ২০ থেকে ২০০ মিটার নিচে ভূগর্ভস্থ বেশ কয়েকটি খালের একটি নেটওয়ার্ক দিয়ে গঠিত—যা উঁচু থেকে নিচে পানি পরিবহন করে। সামান্য ঢালে নির্মিত খালগুলো থেকে পানি পরিবহনের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করা হয়। ওপর থেকে পুরো ব্যবস্থাটিকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে ঘুরতে থাকা হাজার হাজার সারিবদ্ধ পিঁপড়ের ঢিবির মতো দেখায়।
ওমানের নিজওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওহাইড্রোলজির ৪৯ বছর বয়সী অধ্যাপক খানেইকি তার পুরো কর্মজীবন শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক পরিবেশের ভূগর্ভস্থ পানি বহনকারী প্রাচীন টানেলগুলো নিয়ে গবেষণা করতে ব্যয় করেছেন। তিনি জানান, প্রাচীন কানাত ব্যবস্থা মরুভূমির পরিবেশে সেচ এবং কৃষির বিকাশকে সম্ভব করে তোলে। এই ব্যবস্থাকে ইরানে বিকেন্দ্রীকৃত পানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তি এবং আধুনিক পাম্পিং ও বাঁধের আরও টেকসই সমাধান হিসেবে দেখা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে, এমনকি চীন থেকেও দূরে, বিজ্ঞানী হোসে সানচেজ রামোস এবং সার্ভান্দো আলভারেজ স্পেনের সেভিয়া শহরে ব্যবহার করেছেন কানাতের এই ধারণা।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার হাত থেকে শহরকে বাঁচানোর অংশ হিসেবে টেকসই উপায় খুঁজে বের করতে রামোস এবং আলভারেজকে শক্তি-ঘনিষ্ঠ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে বাইরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরীক্ষা করার জন্য একটি স্থান বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে একটি জায়গা ছিল শহরের কেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকা লা ইসলা দে লা কার্তুজা। ঝোপঝাড়ে পূর্ণ পরিত্যক্ত এই জরাজীর্ণ মনোরেল স্টেশন এবং অ্যাম্ফিথিয়েটারকেই গবেষণা ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সের জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয় যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ হাজার কর্মীকে। এটিই হয়ে ওঠে রামোস এবং আলভারেজের কাজের কেন্দ্র।
কার্তুজাকানাত নামের এই প্রকল্পটি ফারসি কানাত সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। লা ইসলা দে লা কার্তুজার মধ্যে দুটি ফুটবল মাঠের আকারের একটি স্থানের স্থল তাপমাত্রাকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোর লক্ষ্যে শুরু হয় কাজ।
আংশিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরবান ইনোভেটিভ অ্যাকশনের (ইউআইএ) অর্থায়নে এই ৫০ লাখ ইউরোর প্রকল্পটিতে পানি বহনের জন্য ২০ মিটার গভীর একটি ভূগর্ভস্থ খাল তৈরি করা হয়েছে। তবে খালটির কাজ পানি পরিবহন নয়। রামোস বলেন, খাল বরাবর লম্বালম্বি বেশ কয়েকটি জানালা রাখা হয়েছে যেগুলো পানির শীতলতাকে ওপরের দিকে পাঠাবে। এতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর চাবিকাঠি হল দিন-রাতের চক্র।
রাতের বেলায় স্বাভাবিকভাবে কম তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ প্রায় ১৪০ কিউবিক মিটার পানি (৩৬ হাজার ৯৮৪ কিউবিক গ্যালন) ঠান্ডা হয়ে যায়। কিছু পানি পাম্প করে অ্যাম্ফিথিয়েটারের ছাদে পাঠানো হয়। ছাদটি আবৃত সোলার প্যানেলে। নজল ফ্যান দিয়ে প্যানেলের ওপরের পানি বের করা হয়। পানির গভীরতা কমিয়ে এবং ভেতরের কম তাপমাত্রায় পানিকে দ্রুত শীতল করে এই প্রক্রিয়া।
দিনের বেলা সৌর-চালিত পাম্পগুলো ঠান্ডা পানিকে মাটির ওপরে ঠেলে দেয় যেখানে ছোট ছোট পাইপগুলো ফানেলের মতো কাজ করে। এতে ঠান্ডা পানিকে ফ্যানের সামনে ঠেলে দেওয়া হয় আর সেই ফ্যান অ্যাম্ফিথিয়েটারের নিচতলায় শীতল বাতাস ছড়িয়ে দেয়। বাইরে জলাধারে থাকে পৃথক এক সেট পাইপ—যা বাতাসে স্প্রে করে ঠান্ডা বাষ্প।
অন্যান্য আরও কয়েকটি উপাদান তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। ভেতরের দেয়ালে লাগানো গাছপালা বাষ্পের মাধ্যমে শীতল হয়, গাছগুলো বাইরে ছায়া দেয়। এ ছাড়া, ছাদকে সাদা রং করা হয় যাতে তা তাপ প্রতিফলিত করতে পারে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন ভয়াবহ তাপের হাত থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিল।
মজিদ লাব্বাফ খানেইকি মুষ্টিমেয় সেই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম যারা ৩ হাজার বছরের পুরোনো কানাত নামের ভূগর্ভস্থ পানির প্রযুক্তিকে আধুনিক বিশ্বে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন।
শুরুর দিকে কানাত নামের এই টানেল তৈরি হতো কুড়াল ও বেলচা দিয়ে। চীন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানে এ ধরনের টানেল তৈরি হতো। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে পারস্যে তৈরি হয়েছিল প্রথম কানাত এবং তারপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে শুষ্ক অঞ্চলে।
প্রাচীন এই ব্যবস্থাটি মরুভূমি পৃষ্ঠের ২০ থেকে ২০০ মিটার নিচে ভূগর্ভস্থ বেশ কয়েকটি খালের একটি নেটওয়ার্ক দিয়ে গঠিত—যা উঁচু থেকে নিচে পানি পরিবহন করে। সামান্য ঢালে নির্মিত খালগুলো থেকে পানি পরিবহনের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করা হয়। ওপর থেকে পুরো ব্যবস্থাটিকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে ঘুরতে থাকা হাজার হাজার সারিবদ্ধ পিঁপড়ের ঢিবির মতো দেখায়।
ওমানের নিজওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওহাইড্রোলজির ৪৯ বছর বয়সী অধ্যাপক খানেইকি তার পুরো কর্মজীবন শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক পরিবেশের ভূগর্ভস্থ পানি বহনকারী প্রাচীন টানেলগুলো নিয়ে গবেষণা করতে ব্যয় করেছেন। তিনি জানান, প্রাচীন কানাত ব্যবস্থা মরুভূমির পরিবেশে সেচ এবং কৃষির বিকাশকে সম্ভব করে তোলে। এই ব্যবস্থাকে ইরানে বিকেন্দ্রীকৃত পানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তি এবং আধুনিক পাম্পিং ও বাঁধের আরও টেকসই সমাধান হিসেবে দেখা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে, এমনকি চীন থেকেও দূরে, বিজ্ঞানী হোসে সানচেজ রামোস এবং সার্ভান্দো আলভারেজ স্পেনের সেভিয়া শহরে ব্যবহার করেছেন কানাতের এই ধারণা।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার হাত থেকে শহরকে বাঁচানোর অংশ হিসেবে টেকসই উপায় খুঁজে বের করতে রামোস এবং আলভারেজকে শক্তি-ঘনিষ্ঠ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে বাইরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরীক্ষা করার জন্য একটি স্থান বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে একটি জায়গা ছিল শহরের কেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকা লা ইসলা দে লা কার্তুজা। ঝোপঝাড়ে পূর্ণ পরিত্যক্ত এই জরাজীর্ণ মনোরেল স্টেশন এবং অ্যাম্ফিথিয়েটারকেই গবেষণা ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সের জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয় যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ হাজার কর্মীকে। এটিই হয়ে ওঠে রামোস এবং আলভারেজের কাজের কেন্দ্র।
কার্তুজাকানাত নামের এই প্রকল্পটি ফারসি কানাত সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। লা ইসলা দে লা কার্তুজার মধ্যে দুটি ফুটবল মাঠের আকারের একটি স্থানের স্থল তাপমাত্রাকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোর লক্ষ্যে শুরু হয় কাজ।
আংশিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরবান ইনোভেটিভ অ্যাকশনের (ইউআইএ) অর্থায়নে এই ৫০ লাখ ইউরোর প্রকল্পটিতে পানি বহনের জন্য ২০ মিটার গভীর একটি ভূগর্ভস্থ খাল তৈরি করা হয়েছে। তবে খালটির কাজ পানি পরিবহন নয়। রামোস বলেন, খাল বরাবর লম্বালম্বি বেশ কয়েকটি জানালা রাখা হয়েছে যেগুলো পানির শীতলতাকে ওপরের দিকে পাঠাবে। এতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর চাবিকাঠি হল দিন-রাতের চক্র।
রাতের বেলায় স্বাভাবিকভাবে কম তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ প্রায় ১৪০ কিউবিক মিটার পানি (৩৬ হাজার ৯৮৪ কিউবিক গ্যালন) ঠান্ডা হয়ে যায়। কিছু পানি পাম্প করে অ্যাম্ফিথিয়েটারের ছাদে পাঠানো হয়। ছাদটি আবৃত সোলার প্যানেলে। নজল ফ্যান দিয়ে প্যানেলের ওপরের পানি বের করা হয়। পানির গভীরতা কমিয়ে এবং ভেতরের কম তাপমাত্রায় পানিকে দ্রুত শীতল করে এই প্রক্রিয়া।
দিনের বেলা সৌর-চালিত পাম্পগুলো ঠান্ডা পানিকে মাটির ওপরে ঠেলে দেয় যেখানে ছোট ছোট পাইপগুলো ফানেলের মতো কাজ করে। এতে ঠান্ডা পানিকে ফ্যানের সামনে ঠেলে দেওয়া হয় আর সেই ফ্যান অ্যাম্ফিথিয়েটারের নিচতলায় শীতল বাতাস ছড়িয়ে দেয়। বাইরে জলাধারে থাকে পৃথক এক সেট পাইপ—যা বাতাসে স্প্রে করে ঠান্ডা বাষ্প।
অন্যান্য আরও কয়েকটি উপাদান তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। ভেতরের দেয়ালে লাগানো গাছপালা বাষ্পের মাধ্যমে শীতল হয়, গাছগুলো বাইরে ছায়া দেয়। এ ছাড়া, ছাদকে সাদা রং করা হয় যাতে তা তাপ প্রতিফলিত করতে পারে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন ভয়াবহ তাপের হাত থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিল।
মজিদ লাব্বাফ খানেইকি মুষ্টিমেয় সেই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম যারা ৩ হাজার বছরের পুরোনো কানাত নামের ভূগর্ভস্থ পানির প্রযুক্তিকে আধুনিক বিশ্বে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন।
শুরুর দিকে কানাত নামের এই টানেল তৈরি হতো কুড়াল ও বেলচা দিয়ে। চীন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানে এ ধরনের টানেল তৈরি হতো। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে পারস্যে তৈরি হয়েছিল প্রথম কানাত এবং তারপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে শুষ্ক অঞ্চলে।
প্রাচীন এই ব্যবস্থাটি মরুভূমি পৃষ্ঠের ২০ থেকে ২০০ মিটার নিচে ভূগর্ভস্থ বেশ কয়েকটি খালের একটি নেটওয়ার্ক দিয়ে গঠিত—যা উঁচু থেকে নিচে পানি পরিবহন করে। সামান্য ঢালে নির্মিত খালগুলো থেকে পানি পরিবহনের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করা হয়। ওপর থেকে পুরো ব্যবস্থাটিকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে ঘুরতে থাকা হাজার হাজার সারিবদ্ধ পিঁপড়ের ঢিবির মতো দেখায়।
ওমানের নিজওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওহাইড্রোলজির ৪৯ বছর বয়সী অধ্যাপক খানেইকি তার পুরো কর্মজীবন শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক পরিবেশের ভূগর্ভস্থ পানি বহনকারী প্রাচীন টানেলগুলো নিয়ে গবেষণা করতে ব্যয় করেছেন। তিনি জানান, প্রাচীন কানাত ব্যবস্থা মরুভূমির পরিবেশে সেচ এবং কৃষির বিকাশকে সম্ভব করে তোলে। এই ব্যবস্থাকে ইরানে বিকেন্দ্রীকৃত পানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তি এবং আধুনিক পাম্পিং ও বাঁধের আরও টেকসই সমাধান হিসেবে দেখা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে, এমনকি চীন থেকেও দূরে, বিজ্ঞানী হোসে সানচেজ রামোস এবং সার্ভান্দো আলভারেজ স্পেনের সেভিয়া শহরে ব্যবহার করেছেন কানাতের এই ধারণা।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার হাত থেকে শহরকে বাঁচানোর অংশ হিসেবে টেকসই উপায় খুঁজে বের করতে রামোস এবং আলভারেজকে শক্তি-ঘনিষ্ঠ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে বাইরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরীক্ষা করার জন্য একটি স্থান বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে একটি জায়গা ছিল শহরের কেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকা লা ইসলা দে লা কার্তুজা। ঝোপঝাড়ে পূর্ণ পরিত্যক্ত এই জরাজীর্ণ মনোরেল স্টেশন এবং অ্যাম্ফিথিয়েটারকেই গবেষণা ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সের জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয় যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ হাজার কর্মীকে। এটিই হয়ে ওঠে রামোস এবং আলভারেজের কাজের কেন্দ্র।
কার্তুজাকানাত নামের এই প্রকল্পটি ফারসি কানাত সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। লা ইসলা দে লা কার্তুজার মধ্যে দুটি ফুটবল মাঠের আকারের একটি স্থানের স্থল তাপমাত্রাকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোর লক্ষ্যে শুরু হয় কাজ।
আংশিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরবান ইনোভেটিভ অ্যাকশনের (ইউআইএ) অর্থায়নে এই ৫০ লাখ ইউরোর প্রকল্পটিতে পানি বহনের জন্য ২০ মিটার গভীর একটি ভূগর্ভস্থ খাল তৈরি করা হয়েছে। তবে খালটির কাজ পানি পরিবহন নয়। রামোস বলেন, খাল বরাবর লম্বালম্বি বেশ কয়েকটি জানালা রাখা হয়েছে যেগুলো পানির শীতলতাকে ওপরের দিকে পাঠাবে। এতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর চাবিকাঠি হল দিন-রাতের চক্র।
রাতের বেলায় স্বাভাবিকভাবে কম তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ প্রায় ১৪০ কিউবিক মিটার পানি (৩৬ হাজার ৯৮৪ কিউবিক গ্যালন) ঠান্ডা হয়ে যায়। কিছু পানি পাম্প করে অ্যাম্ফিথিয়েটারের ছাদে পাঠানো হয়। ছাদটি আবৃত সোলার প্যানেলে। নজল ফ্যান দিয়ে প্যানেলের ওপরের পানি বের করা হয়। পানির গভীরতা কমিয়ে এবং ভেতরের কম তাপমাত্রায় পানিকে দ্রুত শীতল করে এই প্রক্রিয়া।
দিনের বেলা সৌর-চালিত পাম্পগুলো ঠান্ডা পানিকে মাটির ওপরে ঠেলে দেয় যেখানে ছোট ছোট পাইপগুলো ফানেলের মতো কাজ করে। এতে ঠান্ডা পানিকে ফ্যানের সামনে ঠেলে দেওয়া হয় আর সেই ফ্যান অ্যাম্ফিথিয়েটারের নিচতলায় শীতল বাতাস ছড়িয়ে দেয়। বাইরে জলাধারে থাকে পৃথক এক সেট পাইপ—যা বাতাসে স্প্রে করে ঠান্ডা বাষ্প।
অন্যান্য আরও কয়েকটি উপাদান তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। ভেতরের দেয়ালে লাগানো গাছপালা বাষ্পের মাধ্যমে শীতল হয়, গাছগুলো বাইরে ছায়া দেয়। এ ছাড়া, ছাদকে সাদা রং করা হয় যাতে তা তাপ প্রতিফলিত করতে পারে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন ভয়াবহ তাপের হাত থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিল।
মজিদ লাব্বাফ খানেইকি মুষ্টিমেয় সেই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম যারা ৩ হাজার বছরের পুরোনো কানাত নামের ভূগর্ভস্থ পানির প্রযুক্তিকে আধুনিক বিশ্বে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন।
শুরুর দিকে কানাত নামের এই টানেল তৈরি হতো কুড়াল ও বেলচা দিয়ে। চীন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানে এ ধরনের টানেল তৈরি হতো। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে পারস্যে তৈরি হয়েছিল প্রথম কানাত এবং তারপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে শুষ্ক অঞ্চলে।
প্রাচীন এই ব্যবস্থাটি মরুভূমি পৃষ্ঠের ২০ থেকে ২০০ মিটার নিচে ভূগর্ভস্থ বেশ কয়েকটি খালের একটি নেটওয়ার্ক দিয়ে গঠিত—যা উঁচু থেকে নিচে পানি পরিবহন করে। সামান্য ঢালে নির্মিত খালগুলো থেকে পানি পরিবহনের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করা হয়। ওপর থেকে পুরো ব্যবস্থাটিকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে ঘুরতে থাকা হাজার হাজার সারিবদ্ধ পিঁপড়ের ঢিবির মতো দেখায়।
ওমানের নিজওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওহাইড্রোলজির ৪৯ বছর বয়সী অধ্যাপক খানেইকি তার পুরো কর্মজীবন শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক পরিবেশের ভূগর্ভস্থ পানি বহনকারী প্রাচীন টানেলগুলো নিয়ে গবেষণা করতে ব্যয় করেছেন। তিনি জানান, প্রাচীন কানাত ব্যবস্থা মরুভূমির পরিবেশে সেচ এবং কৃষির বিকাশকে সম্ভব করে তোলে। এই ব্যবস্থাকে ইরানে বিকেন্দ্রীকৃত পানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তি এবং আধুনিক পাম্পিং ও বাঁধের আরও টেকসই সমাধান হিসেবে দেখা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে, এমনকি চীন থেকেও দূরে, বিজ্ঞানী হোসে সানচেজ রামোস এবং সার্ভান্দো আলভারেজ স্পেনের সেভিয়া শহরে ব্যবহার করেছেন কানাতের এই ধারণা।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার হাত থেকে শহরকে বাঁচানোর অংশ হিসেবে টেকসই উপায় খুঁজে বের করতে রামোস এবং আলভারেজকে শক্তি-ঘনিষ্ঠ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে বাইরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরীক্ষা করার জন্য একটি স্থান বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে একটি জায়গা ছিল শহরের কেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকা লা ইসলা দে লা কার্তুজা। ঝোপঝাড়ে পূর্ণ পরিত্যক্ত এই জরাজীর্ণ মনোরেল স্টেশন এবং অ্যাম্ফিথিয়েটারকেই গবেষণা ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সের জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয় যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ হাজার কর্মীকে। এটিই হয়ে ওঠে রামোস এবং আলভারেজের কাজের কেন্দ্র।
কার্তুজাকানাত নামের এই প্রকল্পটি ফারসি কানাত সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। লা ইসলা দে লা কার্তুজার মধ্যে দুটি ফুটবল মাঠের আকারের একটি স্থানের স্থল তাপমাত্রাকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোর লক্ষ্যে শুরু হয় কাজ।
আংশিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরবান ইনোভেটিভ অ্যাকশনের (ইউআইএ) অর্থায়নে এই ৫০ লাখ ইউরোর প্রকল্পটিতে পানি বহনের জন্য ২০ মিটার গভীর একটি ভূগর্ভস্থ খাল তৈরি করা হয়েছে। তবে খালটির কাজ পানি পরিবহন নয়। রামোস বলেন, খাল বরাবর লম্বালম্বি বেশ কয়েকটি জানালা রাখা হয়েছে যেগুলো পানির শীতলতাকে ওপরের দিকে পাঠাবে। এতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর চাবিকাঠি হল দিন-রাতের চক্র।
রাতের বেলায় স্বাভাবিকভাবে কম তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ প্রায় ১৪০ কিউবিক মিটার পানি (৩৬ হাজার ৯৮৪ কিউবিক গ্যালন) ঠান্ডা হয়ে যায়। কিছু পানি পাম্প করে অ্যাম্ফিথিয়েটারের ছাদে পাঠানো হয়। ছাদটি আবৃত সোলার প্যানেলে। নজল ফ্যান দিয়ে প্যানেলের ওপরের পানি বের করা হয়। পানির গভীরতা কমিয়ে এবং ভেতরের কম তাপমাত্রায় পানিকে দ্রুত শীতল করে এই প্রক্রিয়া।
দিনের বেলা সৌর-চালিত পাম্পগুলো ঠান্ডা পানিকে মাটির ওপরে ঠেলে দেয় যেখানে ছোট ছোট পাইপগুলো ফানেলের মতো কাজ করে। এতে ঠান্ডা পানিকে ফ্যানের সামনে ঠেলে দেওয়া হয় আর সেই ফ্যান অ্যাম্ফিথিয়েটারের নিচতলায় শীতল বাতাস ছড়িয়ে দেয়। বাইরে জলাধারে থাকে পৃথক এক সেট পাইপ—যা বাতাসে স্প্রে করে ঠান্ডা বাষ্প।
অন্যান্য আরও কয়েকটি উপাদান তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। ভেতরের দেয়ালে লাগানো গাছপালা বাষ্পের মাধ্যমে শীতল হয়, গাছগুলো বাইরে ছায়া দেয়। এ ছাড়া, ছাদকে সাদা রং করা হয় যাতে তা তাপ প্রতিফলিত করতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন
২৮ এপ্রিল ২০২৪
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন
২৮ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন
২৮ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

গত গ্রীষ্মে দক্ষিণ স্পেনের শহর সেভিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সেভিয়ার নকশাও এমন তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় সেভিয়ার একটি গবেষণা দল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন একটি সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে—যারা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে এমন
২৮ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে