পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তেল ও রাসায়নিক কোম্পানি। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের এক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৯ সালে এক্সনমোবিল, ডাও, শেল, টোটাল এনার্জিস এবং শেভরন ফিলিপসের মতো শীর্ষ প্লাস্টিক উৎপাদক কোম্পানিগুলো অ্যালায়েন্স টু ইন্ড প্লাস্টিক ওয়েস্ট (এইপিডব্লিউ) নামে জোট করে। জোটটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে অপসারণ করবে। লক্ষ্য ছিল বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারে উন্নতি আনা এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য চক্র তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রম ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে ফারাক ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্য হাওয়া, প্লাস্টিক উৎপাদন অব্যাহত
প্রথম থেকেই এই জোটের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গ্রিনপিসের দল আনআর্থড বিভিন্ন পাবলিক রিলেশনস কোম্পানির কাছ থেকে এসব কোম্পানির প্লাস্টিক উৎপাদন ও বর্জ্য অপসারণের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, এইপিডব্লিউ মূলত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জনমত বদলানোর চেষ্টা করছিল। ২০১৯ সালে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে তীব্র গণ প্রতিক্রিয়ার মুখে বিভিন্ন দেশ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছিল। সেই সময়েও তাঁদের নথিতে বলা হয়, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ‘সরলীকৃত নিষেধাজ্ঞার’ পরিবর্তে ‘বাস্তবসম্মত দীর্ঘমেয়াদি সমাধান’ প্রচারের কথা।
২০২২ সালের শুরুর দিকে ‘১৫ মিলিয়ন টন বর্জ্য অপসারণের’ লক্ষ্য ‘অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে চুপিসারে বাতিল করা হয়।
প্লাস্টিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই জোটের পাঁচটি প্রধান কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে জ্বালানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। এদের মধ্যে রয়েছে এইপিডব্লিউয়ের চেয়ারম্যান রাসায়নিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডাওসহ তেল কোম্পানি এক্সনমোবিল, শেল, টোটালএনার্জিজ ও শেভরনফিলিপস। শেভরনফিলিপস মার্কিন তেল জায়ান্ট শেভরন ও ফিলিপস ৬৬-এর একটি যৌথ উদ্যোগ।
মুখে যত কথাই বলুক বাস্তবে এই জোটের কার্যক্রম অনেকটাই বিপরীতমুখী। উড ম্যাকেঞ্জির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জোটের সদস্য পাঁচ কোম্পানি মিলে গত পাঁচ বছরে নতুন করে ১৩২ মিলিয়ন টন পলিথিন (পিই) এবং পলিপ্রোপিলিন (পিপি) প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, যা তাদের সরানো ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্যের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি।
এইপিডব্লিউয়ের নথি অনুযায়ী, অপসারিত এই প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই মেকানিক্যাল বা কেমিক্যাল রিসাইক্লিং, ল্যান্ডফিলে স্থানান্তর অথবা জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ সম্ভবত আরও বেশি, কারণ এই তথ্য কেবলমাত্র সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত দুটি পলিমার—পলিথিন, যা প্লাস্টিক বোতল ও ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং পলিপ্রোপিলিন, যা খাদ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়—এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে পলিস্টাইরিনের মতো অন্যান্য প্রধান প্লাস্টিকের তথ্য নেই।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য পুরো প্লাস্টিক উৎপাদন চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে এই আলোচনায় এইপিডব্লিউ জোট এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো নানা তদবির করার চেষ্টা করছে। আলোচনাটি এখন সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তিতে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
এইপিডব্লিউ ও ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো এই সীমার বিরোধিতা করছে। তবে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন উভয়েই এই সীমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকার দেশের অবস্থান বদলে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণাপত্রে সই করেছে, যেখানে চুক্তিতে প্রাথমিক প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন ও ব্যবহার টেকসই মাত্রায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারে টেকসই মাত্রা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর চুক্তি দরকার।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রও এই গ্রীষ্মে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা নির্ধারণের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
কী বলছে গ্রিনপিস?
গ্রিনপিস যুক্তরাজ্যের সহপরিচালক উইল ম্যাককালাম বলেন, এই তথ্যে পরিষ্কার যে, তেল কোম্পানিগুলো যতটা প্লাস্টিক উৎপাদন করছে, তা তাঁদের প্রচারিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পগুলোর চেয়ে খুব সামান্য। এটি সুস্পষ্ট গ্রিনওয়াশিং বা পরিবেশ বিষয়ে চোখে ধুলা দেওয়া।
উইল ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেসব রিসাইক্লিং প্রকল্পগুলো প্রচার করছে, সেগুলো তাঁদের বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাছে একেবারেই অকার্যকর। তাঁরা একদিকে বাঁধ কেটে দিয়ে দিয়ে পানি ছাড়ছে, আর অন্যদিকে চামচ দিয়ে সেই পানি তোলার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। প্রথমেই প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমাতে হবে। এটিই একমাত্র সমাধান।’
মার্কিন পরিবেশবিদ বিল ম্যাককিবেন বলেন, এটি গ্রিনওয়াশিংয়ের সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। তেল ও গ্যাস শিল্প আসলে প্লাস্টিক শিল্পেরই আরেক রূপ। তাঁরা কয়েক দশক ধরেই এমন করছে।
এইপিডব্লিউয়ের অবস্থান
পিআর কোম্পানি ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে এএপিডব্লিউ গঠনের পেছনে আমেরিকান কেমিক্যাল কাউন্সিলের উদ্যোগ ছিল। তাঁরা প্লাস্টিকের ‘বিরূপ ধারণা’ দূর করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরোধিতা করার উপায় খুঁজছিল। ২০১৯ সালে এই কাজের জন্য এএপিডব্লিউ ওয়েবার শ্যান্ডউইককে ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়।
জোটটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ধারণাগুলোকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা ও প্লাস্টিক বর্জ্য দূরীকরণে অবদান রাখা।’
জাতিসংঘের প্লাস্টিক বর্জ্য সংক্রান্ত আলোচনায় এইপিডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরেই তদবির চালিয়ে আসছে, যা সোমবার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করবে। সংগঠনের প্রতিনিধিরা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়।
এএপিডব্লিউয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘কোনো একক সংগঠন প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জোটটি এই সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও পুনর্ব্যবহারসহ কার্যকর পদ্ধতি চিহ্নিত করতে কাজ করছে। একটি চক্রাকার অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছে।’
ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথিতে উল্লেখ করা হয়, জোটটি স্বল্পমেয়াদি প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত সমাধান’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছিল, যার মধ্যে ছিল পুনর্ব্যবহার।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এক্সনমোবিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে দাখিল করা ওই মামলার নথিতে বলা হয়েছে, এক্সনমোবিল ৫০ বছর ধরে পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়েছে ও চটকদার বিপণনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করেছে।
এরপরও এক্সনমোবিল বলেছে, ‘সমস্যা প্লাস্টিক নয়, সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা পুনর্ব্যবহারের মতো প্রকৃত সমাধান নিয়ে আসছি। ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের বৈশ্বিক চুক্তির লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।’
এক্সনমোবিল আরও বলেছে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধানে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারতেন। আমরা বাস্তব সমাধান আনছি, এমনভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করছি যা সাধারণ পদ্ধতিতে করা কঠিন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রতি সব সময় সৎ থেকেছি এবং আমাদের প্রকাশিত বিবৃতিগুলোর ওপর আস্থা রাখি।’
অন্যদিকে, শেল এবং টোটালএনার্জিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের মূলে উৎপাদন
বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক প্লাস্টিক উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে ৪৬০ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। একই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫৬ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ৩৫৩ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে, যার মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
প্লাস্টিকের অগণিত টুকরো, মাইক্রো প্লাস্টিক এবং আবর্জনা সমুদ্রে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হারমানাসে বিগ ওশান ক্লিন আপ কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্যার মূল উৎপাদনে। যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেভল্যুশন প্লাস্টিকস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্টিভ ফ্লেচার বলেছেন, নতুন প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন কমানো ছাড়া প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের কোনো বাস্তবসম্মত উপায় নেই।
জাতিসংঘের আসন্ন চুক্তি হয়তো এই সংকট নিরসনে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে, তবে এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বড় কোম্পানিগুলোর সদিচ্ছার ওপর।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তেল ও রাসায়নিক কোম্পানি। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের এক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৯ সালে এক্সনমোবিল, ডাও, শেল, টোটাল এনার্জিস এবং শেভরন ফিলিপসের মতো শীর্ষ প্লাস্টিক উৎপাদক কোম্পানিগুলো অ্যালায়েন্স টু ইন্ড প্লাস্টিক ওয়েস্ট (এইপিডব্লিউ) নামে জোট করে। জোটটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে অপসারণ করবে। লক্ষ্য ছিল বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারে উন্নতি আনা এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য চক্র তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রম ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে ফারাক ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্য হাওয়া, প্লাস্টিক উৎপাদন অব্যাহত
প্রথম থেকেই এই জোটের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গ্রিনপিসের দল আনআর্থড বিভিন্ন পাবলিক রিলেশনস কোম্পানির কাছ থেকে এসব কোম্পানির প্লাস্টিক উৎপাদন ও বর্জ্য অপসারণের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, এইপিডব্লিউ মূলত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জনমত বদলানোর চেষ্টা করছিল। ২০১৯ সালে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে তীব্র গণ প্রতিক্রিয়ার মুখে বিভিন্ন দেশ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছিল। সেই সময়েও তাঁদের নথিতে বলা হয়, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ‘সরলীকৃত নিষেধাজ্ঞার’ পরিবর্তে ‘বাস্তবসম্মত দীর্ঘমেয়াদি সমাধান’ প্রচারের কথা।
২০২২ সালের শুরুর দিকে ‘১৫ মিলিয়ন টন বর্জ্য অপসারণের’ লক্ষ্য ‘অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে চুপিসারে বাতিল করা হয়।
প্লাস্টিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই জোটের পাঁচটি প্রধান কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে জ্বালানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। এদের মধ্যে রয়েছে এইপিডব্লিউয়ের চেয়ারম্যান রাসায়নিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডাওসহ তেল কোম্পানি এক্সনমোবিল, শেল, টোটালএনার্জিজ ও শেভরনফিলিপস। শেভরনফিলিপস মার্কিন তেল জায়ান্ট শেভরন ও ফিলিপস ৬৬-এর একটি যৌথ উদ্যোগ।
মুখে যত কথাই বলুক বাস্তবে এই জোটের কার্যক্রম অনেকটাই বিপরীতমুখী। উড ম্যাকেঞ্জির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জোটের সদস্য পাঁচ কোম্পানি মিলে গত পাঁচ বছরে নতুন করে ১৩২ মিলিয়ন টন পলিথিন (পিই) এবং পলিপ্রোপিলিন (পিপি) প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, যা তাদের সরানো ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্যের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি।
এইপিডব্লিউয়ের নথি অনুযায়ী, অপসারিত এই প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই মেকানিক্যাল বা কেমিক্যাল রিসাইক্লিং, ল্যান্ডফিলে স্থানান্তর অথবা জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ সম্ভবত আরও বেশি, কারণ এই তথ্য কেবলমাত্র সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত দুটি পলিমার—পলিথিন, যা প্লাস্টিক বোতল ও ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং পলিপ্রোপিলিন, যা খাদ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়—এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে পলিস্টাইরিনের মতো অন্যান্য প্রধান প্লাস্টিকের তথ্য নেই।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য পুরো প্লাস্টিক উৎপাদন চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে এই আলোচনায় এইপিডব্লিউ জোট এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো নানা তদবির করার চেষ্টা করছে। আলোচনাটি এখন সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তিতে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
এইপিডব্লিউ ও ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো এই সীমার বিরোধিতা করছে। তবে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন উভয়েই এই সীমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকার দেশের অবস্থান বদলে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণাপত্রে সই করেছে, যেখানে চুক্তিতে প্রাথমিক প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন ও ব্যবহার টেকসই মাত্রায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারে টেকসই মাত্রা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর চুক্তি দরকার।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রও এই গ্রীষ্মে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা নির্ধারণের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
কী বলছে গ্রিনপিস?
গ্রিনপিস যুক্তরাজ্যের সহপরিচালক উইল ম্যাককালাম বলেন, এই তথ্যে পরিষ্কার যে, তেল কোম্পানিগুলো যতটা প্লাস্টিক উৎপাদন করছে, তা তাঁদের প্রচারিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পগুলোর চেয়ে খুব সামান্য। এটি সুস্পষ্ট গ্রিনওয়াশিং বা পরিবেশ বিষয়ে চোখে ধুলা দেওয়া।
উইল ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেসব রিসাইক্লিং প্রকল্পগুলো প্রচার করছে, সেগুলো তাঁদের বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাছে একেবারেই অকার্যকর। তাঁরা একদিকে বাঁধ কেটে দিয়ে দিয়ে পানি ছাড়ছে, আর অন্যদিকে চামচ দিয়ে সেই পানি তোলার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। প্রথমেই প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমাতে হবে। এটিই একমাত্র সমাধান।’
মার্কিন পরিবেশবিদ বিল ম্যাককিবেন বলেন, এটি গ্রিনওয়াশিংয়ের সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। তেল ও গ্যাস শিল্প আসলে প্লাস্টিক শিল্পেরই আরেক রূপ। তাঁরা কয়েক দশক ধরেই এমন করছে।
এইপিডব্লিউয়ের অবস্থান
পিআর কোম্পানি ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে এএপিডব্লিউ গঠনের পেছনে আমেরিকান কেমিক্যাল কাউন্সিলের উদ্যোগ ছিল। তাঁরা প্লাস্টিকের ‘বিরূপ ধারণা’ দূর করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরোধিতা করার উপায় খুঁজছিল। ২০১৯ সালে এই কাজের জন্য এএপিডব্লিউ ওয়েবার শ্যান্ডউইককে ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়।
জোটটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ধারণাগুলোকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা ও প্লাস্টিক বর্জ্য দূরীকরণে অবদান রাখা।’
জাতিসংঘের প্লাস্টিক বর্জ্য সংক্রান্ত আলোচনায় এইপিডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরেই তদবির চালিয়ে আসছে, যা সোমবার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করবে। সংগঠনের প্রতিনিধিরা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়।
এএপিডব্লিউয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘কোনো একক সংগঠন প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জোটটি এই সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও পুনর্ব্যবহারসহ কার্যকর পদ্ধতি চিহ্নিত করতে কাজ করছে। একটি চক্রাকার অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছে।’
ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথিতে উল্লেখ করা হয়, জোটটি স্বল্পমেয়াদি প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত সমাধান’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছিল, যার মধ্যে ছিল পুনর্ব্যবহার।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এক্সনমোবিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে দাখিল করা ওই মামলার নথিতে বলা হয়েছে, এক্সনমোবিল ৫০ বছর ধরে পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়েছে ও চটকদার বিপণনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করেছে।
এরপরও এক্সনমোবিল বলেছে, ‘সমস্যা প্লাস্টিক নয়, সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা পুনর্ব্যবহারের মতো প্রকৃত সমাধান নিয়ে আসছি। ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের বৈশ্বিক চুক্তির লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।’
এক্সনমোবিল আরও বলেছে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধানে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারতেন। আমরা বাস্তব সমাধান আনছি, এমনভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করছি যা সাধারণ পদ্ধতিতে করা কঠিন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রতি সব সময় সৎ থেকেছি এবং আমাদের প্রকাশিত বিবৃতিগুলোর ওপর আস্থা রাখি।’
অন্যদিকে, শেল এবং টোটালএনার্জিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের মূলে উৎপাদন
বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক প্লাস্টিক উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে ৪৬০ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। একই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫৬ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ৩৫৩ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে, যার মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
প্লাস্টিকের অগণিত টুকরো, মাইক্রো প্লাস্টিক এবং আবর্জনা সমুদ্রে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হারমানাসে বিগ ওশান ক্লিন আপ কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্যার মূল উৎপাদনে। যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেভল্যুশন প্লাস্টিকস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্টিভ ফ্লেচার বলেছেন, নতুন প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন কমানো ছাড়া প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের কোনো বাস্তবসম্মত উপায় নেই।
জাতিসংঘের আসন্ন চুক্তি হয়তো এই সংকট নিরসনে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে, তবে এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বড় কোম্পানিগুলোর সদিচ্ছার ওপর।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তেল ও রাসায়নিক কোম্পানি। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের এক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৯ সালে এক্সনমোবিল, ডাও, শেল, টোটাল এনার্জিস এবং শেভরন ফিলিপসের মতো শীর্ষ প্লাস্টিক উৎপাদক কোম্পানিগুলো অ্যালায়েন্স টু ইন্ড প্লাস্টিক ওয়েস্ট (এইপিডব্লিউ) নামে জোট করে। জোটটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে অপসারণ করবে। লক্ষ্য ছিল বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারে উন্নতি আনা এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য চক্র তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রম ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে ফারাক ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্য হাওয়া, প্লাস্টিক উৎপাদন অব্যাহত
প্রথম থেকেই এই জোটের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গ্রিনপিসের দল আনআর্থড বিভিন্ন পাবলিক রিলেশনস কোম্পানির কাছ থেকে এসব কোম্পানির প্লাস্টিক উৎপাদন ও বর্জ্য অপসারণের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, এইপিডব্লিউ মূলত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জনমত বদলানোর চেষ্টা করছিল। ২০১৯ সালে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে তীব্র গণ প্রতিক্রিয়ার মুখে বিভিন্ন দেশ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছিল। সেই সময়েও তাঁদের নথিতে বলা হয়, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ‘সরলীকৃত নিষেধাজ্ঞার’ পরিবর্তে ‘বাস্তবসম্মত দীর্ঘমেয়াদি সমাধান’ প্রচারের কথা।
২০২২ সালের শুরুর দিকে ‘১৫ মিলিয়ন টন বর্জ্য অপসারণের’ লক্ষ্য ‘অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে চুপিসারে বাতিল করা হয়।
প্লাস্টিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই জোটের পাঁচটি প্রধান কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে জ্বালানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। এদের মধ্যে রয়েছে এইপিডব্লিউয়ের চেয়ারম্যান রাসায়নিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডাওসহ তেল কোম্পানি এক্সনমোবিল, শেল, টোটালএনার্জিজ ও শেভরনফিলিপস। শেভরনফিলিপস মার্কিন তেল জায়ান্ট শেভরন ও ফিলিপস ৬৬-এর একটি যৌথ উদ্যোগ।
মুখে যত কথাই বলুক বাস্তবে এই জোটের কার্যক্রম অনেকটাই বিপরীতমুখী। উড ম্যাকেঞ্জির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জোটের সদস্য পাঁচ কোম্পানি মিলে গত পাঁচ বছরে নতুন করে ১৩২ মিলিয়ন টন পলিথিন (পিই) এবং পলিপ্রোপিলিন (পিপি) প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, যা তাদের সরানো ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্যের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি।
এইপিডব্লিউয়ের নথি অনুযায়ী, অপসারিত এই প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই মেকানিক্যাল বা কেমিক্যাল রিসাইক্লিং, ল্যান্ডফিলে স্থানান্তর অথবা জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ সম্ভবত আরও বেশি, কারণ এই তথ্য কেবলমাত্র সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত দুটি পলিমার—পলিথিন, যা প্লাস্টিক বোতল ও ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং পলিপ্রোপিলিন, যা খাদ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়—এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে পলিস্টাইরিনের মতো অন্যান্য প্রধান প্লাস্টিকের তথ্য নেই।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য পুরো প্লাস্টিক উৎপাদন চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে এই আলোচনায় এইপিডব্লিউ জোট এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো নানা তদবির করার চেষ্টা করছে। আলোচনাটি এখন সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তিতে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
এইপিডব্লিউ ও ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো এই সীমার বিরোধিতা করছে। তবে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন উভয়েই এই সীমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকার দেশের অবস্থান বদলে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণাপত্রে সই করেছে, যেখানে চুক্তিতে প্রাথমিক প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন ও ব্যবহার টেকসই মাত্রায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারে টেকসই মাত্রা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর চুক্তি দরকার।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রও এই গ্রীষ্মে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা নির্ধারণের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
কী বলছে গ্রিনপিস?
গ্রিনপিস যুক্তরাজ্যের সহপরিচালক উইল ম্যাককালাম বলেন, এই তথ্যে পরিষ্কার যে, তেল কোম্পানিগুলো যতটা প্লাস্টিক উৎপাদন করছে, তা তাঁদের প্রচারিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পগুলোর চেয়ে খুব সামান্য। এটি সুস্পষ্ট গ্রিনওয়াশিং বা পরিবেশ বিষয়ে চোখে ধুলা দেওয়া।
উইল ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেসব রিসাইক্লিং প্রকল্পগুলো প্রচার করছে, সেগুলো তাঁদের বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাছে একেবারেই অকার্যকর। তাঁরা একদিকে বাঁধ কেটে দিয়ে দিয়ে পানি ছাড়ছে, আর অন্যদিকে চামচ দিয়ে সেই পানি তোলার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। প্রথমেই প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমাতে হবে। এটিই একমাত্র সমাধান।’
মার্কিন পরিবেশবিদ বিল ম্যাককিবেন বলেন, এটি গ্রিনওয়াশিংয়ের সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। তেল ও গ্যাস শিল্প আসলে প্লাস্টিক শিল্পেরই আরেক রূপ। তাঁরা কয়েক দশক ধরেই এমন করছে।
এইপিডব্লিউয়ের অবস্থান
পিআর কোম্পানি ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে এএপিডব্লিউ গঠনের পেছনে আমেরিকান কেমিক্যাল কাউন্সিলের উদ্যোগ ছিল। তাঁরা প্লাস্টিকের ‘বিরূপ ধারণা’ দূর করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরোধিতা করার উপায় খুঁজছিল। ২০১৯ সালে এই কাজের জন্য এএপিডব্লিউ ওয়েবার শ্যান্ডউইককে ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়।
জোটটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ধারণাগুলোকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা ও প্লাস্টিক বর্জ্য দূরীকরণে অবদান রাখা।’
জাতিসংঘের প্লাস্টিক বর্জ্য সংক্রান্ত আলোচনায় এইপিডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরেই তদবির চালিয়ে আসছে, যা সোমবার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করবে। সংগঠনের প্রতিনিধিরা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়।
এএপিডব্লিউয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘কোনো একক সংগঠন প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জোটটি এই সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও পুনর্ব্যবহারসহ কার্যকর পদ্ধতি চিহ্নিত করতে কাজ করছে। একটি চক্রাকার অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছে।’
ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথিতে উল্লেখ করা হয়, জোটটি স্বল্পমেয়াদি প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত সমাধান’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছিল, যার মধ্যে ছিল পুনর্ব্যবহার।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এক্সনমোবিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে দাখিল করা ওই মামলার নথিতে বলা হয়েছে, এক্সনমোবিল ৫০ বছর ধরে পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়েছে ও চটকদার বিপণনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করেছে।
এরপরও এক্সনমোবিল বলেছে, ‘সমস্যা প্লাস্টিক নয়, সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা পুনর্ব্যবহারের মতো প্রকৃত সমাধান নিয়ে আসছি। ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের বৈশ্বিক চুক্তির লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।’
এক্সনমোবিল আরও বলেছে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধানে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারতেন। আমরা বাস্তব সমাধান আনছি, এমনভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করছি যা সাধারণ পদ্ধতিতে করা কঠিন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রতি সব সময় সৎ থেকেছি এবং আমাদের প্রকাশিত বিবৃতিগুলোর ওপর আস্থা রাখি।’
অন্যদিকে, শেল এবং টোটালএনার্জিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের মূলে উৎপাদন
বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক প্লাস্টিক উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে ৪৬০ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। একই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫৬ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ৩৫৩ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে, যার মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
প্লাস্টিকের অগণিত টুকরো, মাইক্রো প্লাস্টিক এবং আবর্জনা সমুদ্রে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হারমানাসে বিগ ওশান ক্লিন আপ কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্যার মূল উৎপাদনে। যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেভল্যুশন প্লাস্টিকস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্টিভ ফ্লেচার বলেছেন, নতুন প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন কমানো ছাড়া প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের কোনো বাস্তবসম্মত উপায় নেই।
জাতিসংঘের আসন্ন চুক্তি হয়তো এই সংকট নিরসনে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে, তবে এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বড় কোম্পানিগুলোর সদিচ্ছার ওপর।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তেল ও রাসায়নিক কোম্পানি। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের এক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৯ সালে এক্সনমোবিল, ডাও, শেল, টোটাল এনার্জিস এবং শেভরন ফিলিপসের মতো শীর্ষ প্লাস্টিক উৎপাদক কোম্পানিগুলো অ্যালায়েন্স টু ইন্ড প্লাস্টিক ওয়েস্ট (এইপিডব্লিউ) নামে জোট করে। জোটটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ থেকে অপসারণ করবে। লক্ষ্য ছিল বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারে উন্নতি আনা এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য চক্র তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রম ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে ফারাক ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্য হাওয়া, প্লাস্টিক উৎপাদন অব্যাহত
প্রথম থেকেই এই জোটের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গ্রিনপিসের দল আনআর্থড বিভিন্ন পাবলিক রিলেশনস কোম্পানির কাছ থেকে এসব কোম্পানির প্লাস্টিক উৎপাদন ও বর্জ্য অপসারণের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, এইপিডব্লিউ মূলত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জনমত বদলানোর চেষ্টা করছিল। ২০১৯ সালে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে তীব্র গণ প্রতিক্রিয়ার মুখে বিভিন্ন দেশ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছিল। সেই সময়েও তাঁদের নথিতে বলা হয়, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ‘সরলীকৃত নিষেধাজ্ঞার’ পরিবর্তে ‘বাস্তবসম্মত দীর্ঘমেয়াদি সমাধান’ প্রচারের কথা।
২০২২ সালের শুরুর দিকে ‘১৫ মিলিয়ন টন বর্জ্য অপসারণের’ লক্ষ্য ‘অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে চুপিসারে বাতিল করা হয়।
প্লাস্টিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই জোটের পাঁচটি প্রধান কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে জ্বালানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। এদের মধ্যে রয়েছে এইপিডব্লিউয়ের চেয়ারম্যান রাসায়নিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডাওসহ তেল কোম্পানি এক্সনমোবিল, শেল, টোটালএনার্জিজ ও শেভরনফিলিপস। শেভরনফিলিপস মার্কিন তেল জায়ান্ট শেভরন ও ফিলিপস ৬৬-এর একটি যৌথ উদ্যোগ।
মুখে যত কথাই বলুক বাস্তবে এই জোটের কার্যক্রম অনেকটাই বিপরীতমুখী। উড ম্যাকেঞ্জির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জোটের সদস্য পাঁচ কোম্পানি মিলে গত পাঁচ বছরে নতুন করে ১৩২ মিলিয়ন টন পলিথিন (পিই) এবং পলিপ্রোপিলিন (পিপি) প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, যা তাদের সরানো ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্যের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি।
এইপিডব্লিউয়ের নথি অনুযায়ী, অপসারিত এই প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই মেকানিক্যাল বা কেমিক্যাল রিসাইক্লিং, ল্যান্ডফিলে স্থানান্তর অথবা জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ সম্ভবত আরও বেশি, কারণ এই তথ্য কেবলমাত্র সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত দুটি পলিমার—পলিথিন, যা প্লাস্টিক বোতল ও ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং পলিপ্রোপিলিন, যা খাদ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়—এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে পলিস্টাইরিনের মতো অন্যান্য প্রধান প্লাস্টিকের তথ্য নেই।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য পুরো প্লাস্টিক উৎপাদন চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে এই আলোচনায় এইপিডব্লিউ জোট এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো নানা তদবির করার চেষ্টা করছে। আলোচনাটি এখন সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তিতে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
এইপিডব্লিউ ও ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো এই সীমার বিরোধিতা করছে। তবে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন উভয়েই এই সীমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকার দেশের অবস্থান বদলে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণাপত্রে সই করেছে, যেখানে চুক্তিতে প্রাথমিক প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন ও ব্যবহার টেকসই মাত্রায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারে টেকসই মাত্রা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর চুক্তি দরকার।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রও এই গ্রীষ্মে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা নির্ধারণের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
কী বলছে গ্রিনপিস?
গ্রিনপিস যুক্তরাজ্যের সহপরিচালক উইল ম্যাককালাম বলেন, এই তথ্যে পরিষ্কার যে, তেল কোম্পানিগুলো যতটা প্লাস্টিক উৎপাদন করছে, তা তাঁদের প্রচারিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পগুলোর চেয়ে খুব সামান্য। এটি সুস্পষ্ট গ্রিনওয়াশিং বা পরিবেশ বিষয়ে চোখে ধুলা দেওয়া।
উইল ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেসব রিসাইক্লিং প্রকল্পগুলো প্রচার করছে, সেগুলো তাঁদের বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাছে একেবারেই অকার্যকর। তাঁরা একদিকে বাঁধ কেটে দিয়ে দিয়ে পানি ছাড়ছে, আর অন্যদিকে চামচ দিয়ে সেই পানি তোলার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। প্রথমেই প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমাতে হবে। এটিই একমাত্র সমাধান।’
মার্কিন পরিবেশবিদ বিল ম্যাককিবেন বলেন, এটি গ্রিনওয়াশিংয়ের সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। তেল ও গ্যাস শিল্প আসলে প্লাস্টিক শিল্পেরই আরেক রূপ। তাঁরা কয়েক দশক ধরেই এমন করছে।
এইপিডব্লিউয়ের অবস্থান
পিআর কোম্পানি ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে এএপিডব্লিউ গঠনের পেছনে আমেরিকান কেমিক্যাল কাউন্সিলের উদ্যোগ ছিল। তাঁরা প্লাস্টিকের ‘বিরূপ ধারণা’ দূর করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরোধিতা করার উপায় খুঁজছিল। ২০১৯ সালে এই কাজের জন্য এএপিডব্লিউ ওয়েবার শ্যান্ডউইককে ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়।
জোটটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ধারণাগুলোকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা ও প্লাস্টিক বর্জ্য দূরীকরণে অবদান রাখা।’
জাতিসংঘের প্লাস্টিক বর্জ্য সংক্রান্ত আলোচনায় এইপিডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরেই তদবির চালিয়ে আসছে, যা সোমবার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করবে। সংগঠনের প্রতিনিধিরা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়।
এএপিডব্লিউয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘কোনো একক সংগঠন প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জোটটি এই সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও পুনর্ব্যবহারসহ কার্যকর পদ্ধতি চিহ্নিত করতে কাজ করছে। একটি চক্রাকার অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছে।’
ওয়েবার শ্যান্ডউইকের নথিতে উল্লেখ করা হয়, জোটটি স্বল্পমেয়াদি প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত সমাধান’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছিল, যার মধ্যে ছিল পুনর্ব্যবহার।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এক্সনমোবিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে দাখিল করা ওই মামলার নথিতে বলা হয়েছে, এক্সনমোবিল ৫০ বছর ধরে পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়েছে ও চটকদার বিপণনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করেছে।
এরপরও এক্সনমোবিল বলেছে, ‘সমস্যা প্লাস্টিক নয়, সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা পুনর্ব্যবহারের মতো প্রকৃত সমাধান নিয়ে আসছি। ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের বৈশ্বিক চুক্তির লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।’
এক্সনমোবিল আরও বলেছে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধানে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারতেন। আমরা বাস্তব সমাধান আনছি, এমনভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করছি যা সাধারণ পদ্ধতিতে করা কঠিন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রতি সব সময় সৎ থেকেছি এবং আমাদের প্রকাশিত বিবৃতিগুলোর ওপর আস্থা রাখি।’
অন্যদিকে, শেল এবং টোটালএনার্জিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের মূলে উৎপাদন
বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক প্লাস্টিক উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে ৪৬০ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। একই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫৬ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ৩৫৩ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে, যার মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
প্লাস্টিকের অগণিত টুকরো, মাইক্রো প্লাস্টিক এবং আবর্জনা সমুদ্রে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হারমানাসে বিগ ওশান ক্লিন আপ কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্যার মূল উৎপাদনে। যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেভল্যুশন প্লাস্টিকস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্টিভ ফ্লেচার বলেছেন, নতুন প্লাস্টিক পলিমারের উৎপাদন কমানো ছাড়া প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের কোনো বাস্তবসম্মত উপায় নেই।
জাতিসংঘের আসন্ন চুক্তি হয়তো এই সংকট নিরসনে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে, তবে এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বড় কোম্পানিগুলোর সদিচ্ছার ওপর।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২১ নভেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২১ নভেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২১ নভেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২১ নভেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগে