নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা
হেমন্তের সূর্য তখন মাথার ওপরে কিরণ ছড়াচ্ছে। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামের পাশের সড়কজুড়ে মানুষের স্রোত। কাঠফাটা এই রোদ উপেক্ষা করে তারা ছুটছে স্টেডিয়ামের ভেতরে, সেখানে চলছে রক সংগীতের ঝংকার। হঠাৎ ভেসে এল ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল রক্তলাল’— বিজয়ের মাসে মুক্তির গান তন্ময় তানসেনের কণ্ঠে। সেই সুর যেন দোলা দিয়ে গেল ভীর ঠেলতে থাকা মানুষদের।
তারপর টানা তিনটি গান পরিবেশন করে স্টেডিয়ামের ভেতরে দর্শকদের বেশ মাতিয়ে ফেলে কনসার্টের শুরুতে মঞ্চে ওঠা ব্যান্ড ভাইকিংস। এরপর একে একে মঞ্চে ওঠে পেন্টাগন, অবসকিওর, পাওয়ার সার্চ, শিরোনামহীন, মাকসুদ ও ঢাকা, রেনেসাঁ, দলছুট, ক্রিপটিক ফেট, অর্থহীন, নগরবাউল, সোলস, মাইলস, আর্টসেল, সব শেষে ওয়ারফেজ।
দর্শকদের অনেকেই ভেবেছিল কনসার্টে সবার শেষে মঞ্চে উঠবে নগর বাউল। কিন্তু রাত ৯টায় উপস্থাপক মারিয়া নূর মঞ্চে এসে দর্শকদের প্রশ্ন ছুড়লেন, কোন ব্যান্ড আসছে এবার? জবাবের জন্য যে প্রশ্ন করা হয়নি, তা পরক্ষণেই বোঝা গেল তার মুখে উচ্চারিত গানের নামে—‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার’। সঙ্গে সঙ্গে ‘গুরু, গুরু’ ধ্বনিতে পুরো স্টেডিয়াম প্রকম্পিত।
এর মধ্যেই মঞ্চে এসে উড়ন্ত চুমু দিয়ে দর্শকদের ভালোবাসা বিলালেন গুরু, বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের নক্ষত্র মাহফুজ আনাম, যাঁকে জেমস নামেই সবাই চেনে। দরাজ কণ্ঠে স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় তিনি কণ্ঠে তুললেন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না’। তাঁর সঙ্গে পুরো স্টেডিয়ামের দর্শকও গলা মেলালেন। গান শেষ করে জেমস দর্শকদের বললেন, ‘লাভ ইউ’।
এরপর ‘গুরু ঘর বানাইলা’ গানের প্রথম লাইন শুরু করেই থেমে যান জেমস, পরের লাইনটা গেয়ে দেয় দর্শক। গানের তালে নাচতে দেখা যায় মাঠের নিরাপত্তাকর্মীদেরও। এরপর ‘মা’ শিরোনামের গানটি যখন জেমস গলায় ধরলেন। হঠাৎ সব কোলাহল থেমে গেলে, মাঠে নেমে এল অন্যরকম এক নীরবতা।
গান শেষ করে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জেমস বললেন, ‘মাঠে কি দুষ্টু ছেলেদের দল আছে?’ প্রশ্ন শেষ না হতেই সমস্বরের একটা ঢেউ খেলে গেল পুরো মাঠে, হাজিরা দিল ‘দুষ্ট ছেলের দল’। এই গানে ভক্তদের মাতিয়ে জেমস বলে উঠলেন ‘তোমরাই আমার জান, তোমরাই আমার প্রাণ। যত দিন তোমরা আছ, তত দিন আমি আছি।’ এরপর আবারও তাদের দিকে উড়ন্ত চুমু ছুড়ে গানে ফেরেন জেমস: ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার।’
এভাবে এক ঘণ্টায় গাইলেন একে একে জনপ্রিয় সাতটি গান। এরপর ‘মীরা বাঈ’, ‘পাগলা হাওয়ার তরে’ গেয়ে হিন্দি গান ‘ভিগি ভিগি’ দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন জেমস। এতটুকু ক্লান্তি নেই তাঁর! গানের বিরতিতে বারবার ভালোবাসা জানান ভক্তদের। গিটার দিয়েও খেল দেখিয়েছেন গুরু, তাঁর সুরের ঝংকারে যেন বিমোহিত প্রতিটি মানুষ!
দেশসেরা ১৬টি ব্যান্ড নিয়ে আয়োজন করা হয় রক সংগীতের উৎসব বামবা-চ্যানেল আই ব্যান্ড মিউজিক ফেস্ট ২০২২। প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্নের এই কনসার্টকে আরও বিস্তৃত পরিসরে আয়োজন করেছে চ্যানেল আই ও বামবা।
হেমন্তের সূর্য তখন মাথার ওপরে কিরণ ছড়াচ্ছে। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামের পাশের সড়কজুড়ে মানুষের স্রোত। কাঠফাটা এই রোদ উপেক্ষা করে তারা ছুটছে স্টেডিয়ামের ভেতরে, সেখানে চলছে রক সংগীতের ঝংকার। হঠাৎ ভেসে এল ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল রক্তলাল’— বিজয়ের মাসে মুক্তির গান তন্ময় তানসেনের কণ্ঠে। সেই সুর যেন দোলা দিয়ে গেল ভীর ঠেলতে থাকা মানুষদের।
তারপর টানা তিনটি গান পরিবেশন করে স্টেডিয়ামের ভেতরে দর্শকদের বেশ মাতিয়ে ফেলে কনসার্টের শুরুতে মঞ্চে ওঠা ব্যান্ড ভাইকিংস। এরপর একে একে মঞ্চে ওঠে পেন্টাগন, অবসকিওর, পাওয়ার সার্চ, শিরোনামহীন, মাকসুদ ও ঢাকা, রেনেসাঁ, দলছুট, ক্রিপটিক ফেট, অর্থহীন, নগরবাউল, সোলস, মাইলস, আর্টসেল, সব শেষে ওয়ারফেজ।
দর্শকদের অনেকেই ভেবেছিল কনসার্টে সবার শেষে মঞ্চে উঠবে নগর বাউল। কিন্তু রাত ৯টায় উপস্থাপক মারিয়া নূর মঞ্চে এসে দর্শকদের প্রশ্ন ছুড়লেন, কোন ব্যান্ড আসছে এবার? জবাবের জন্য যে প্রশ্ন করা হয়নি, তা পরক্ষণেই বোঝা গেল তার মুখে উচ্চারিত গানের নামে—‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার’। সঙ্গে সঙ্গে ‘গুরু, গুরু’ ধ্বনিতে পুরো স্টেডিয়াম প্রকম্পিত।
এর মধ্যেই মঞ্চে এসে উড়ন্ত চুমু দিয়ে দর্শকদের ভালোবাসা বিলালেন গুরু, বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের নক্ষত্র মাহফুজ আনাম, যাঁকে জেমস নামেই সবাই চেনে। দরাজ কণ্ঠে স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় তিনি কণ্ঠে তুললেন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না’। তাঁর সঙ্গে পুরো স্টেডিয়ামের দর্শকও গলা মেলালেন। গান শেষ করে জেমস দর্শকদের বললেন, ‘লাভ ইউ’।
এরপর ‘গুরু ঘর বানাইলা’ গানের প্রথম লাইন শুরু করেই থেমে যান জেমস, পরের লাইনটা গেয়ে দেয় দর্শক। গানের তালে নাচতে দেখা যায় মাঠের নিরাপত্তাকর্মীদেরও। এরপর ‘মা’ শিরোনামের গানটি যখন জেমস গলায় ধরলেন। হঠাৎ সব কোলাহল থেমে গেলে, মাঠে নেমে এল অন্যরকম এক নীরবতা।
গান শেষ করে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জেমস বললেন, ‘মাঠে কি দুষ্টু ছেলেদের দল আছে?’ প্রশ্ন শেষ না হতেই সমস্বরের একটা ঢেউ খেলে গেল পুরো মাঠে, হাজিরা দিল ‘দুষ্ট ছেলের দল’। এই গানে ভক্তদের মাতিয়ে জেমস বলে উঠলেন ‘তোমরাই আমার জান, তোমরাই আমার প্রাণ। যত দিন তোমরা আছ, তত দিন আমি আছি।’ এরপর আবারও তাদের দিকে উড়ন্ত চুমু ছুড়ে গানে ফেরেন জেমস: ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার।’
এভাবে এক ঘণ্টায় গাইলেন একে একে জনপ্রিয় সাতটি গান। এরপর ‘মীরা বাঈ’, ‘পাগলা হাওয়ার তরে’ গেয়ে হিন্দি গান ‘ভিগি ভিগি’ দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন জেমস। এতটুকু ক্লান্তি নেই তাঁর! গানের বিরতিতে বারবার ভালোবাসা জানান ভক্তদের। গিটার দিয়েও খেল দেখিয়েছেন গুরু, তাঁর সুরের ঝংকারে যেন বিমোহিত প্রতিটি মানুষ!
দেশসেরা ১৬টি ব্যান্ড নিয়ে আয়োজন করা হয় রক সংগীতের উৎসব বামবা-চ্যানেল আই ব্যান্ড মিউজিক ফেস্ট ২০২২। প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্নের এই কনসার্টকে আরও বিস্তৃত পরিসরে আয়োজন করেছে চ্যানেল আই ও বামবা।
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
৩ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১০ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১০ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১০ ঘণ্টা আগে