প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস আজ। এই প্রজন্মের কাছে যে কয়েকজন শিল্পী তাঁর গান ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হাবিব ওয়াহিদ। বাউলসম্রাটকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন হাবিব।
২০ বছর আগের কথা। আমি তখন যুক্তরাজ্যে। প্রবাসী বন্ধুদের কণ্ঠে প্রথম শাহ আবদুল করিমের গান শুনি। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন কায়া ও হেলাল। প্রথম শোনাতেই মনে ধরে যায়। অন্য রকম একটা মায়া জন্মায়। কী কথা, কী সুর! তখনো তাঁর সম্পর্কে অতটা জানতাম না। আস্তে আস্তে শাহ আবদুল করিমকে চিনতে শুরু করি, তাঁর সম্পর্কে জানতে শুরু করি। তাঁর গান যতই শুনি ততই মুগ্ধ হই। তাঁকে নিয়ে যত লেখা পেয়েছি, পড়েছি। একসময় মনে হলো, নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর গানকে উপস্থাপন করা গেলে মন্দ হবে না। এ জন্য আধুনিক সংগীতায়োজনের ওপর জোর দিই। এর মধ্যে আমার প্রথম দুটি অ্যালবাম ‘কৃষ্ণ’ ও ‘মায়া’-তে ওনার কিছু গান রাখি।
শাহ আবদুল করিমের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ২০০৫ সালে। দেখা করতে সিলেটে যাই। প্রায় ১২ ঘণ্টা জার্নি করে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় ভেতরে দারুণ একটা উত্তেজনা কাজ করছিল। তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর স্মৃতি সারা জীবন মনে থাকবে। তখন তিনি খুবই অসুস্থ। কথা বলতে পারেন না। ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারেন না। যাঁরা যেতেন তাকিয়ে থাকতেন। মনে হতো উনি কিছু একটা ভাবছেন। আমি তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে। তাঁর মুখ থেকে কোনো কথাই বের হলো না। কিন্তু অদ্ভুত একটা চাহনি ছিল। সেই চাহনিতেই যেন হাজার কথা বলে গেলেন। এমন একজন গুণী এবং সৃষ্টিশীল মানুষকে কাছ থেকে দেখার মধ্যেও আনন্দ আছে। অবশ্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে না পারার একটা আফসোসও রয়ে গেছে। আরেকবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ঢাকার এক হাসপাতালে। তখন তিনি আরও অসুস্থ।
আমি তাঁর অল্প কিছু গান করেছি। কিছু কিছু গান আছে, যার কথার গভীরতা এত বেশি যে আমার মনে হয় সাধারণ কারও পক্ষে এমন গান লেখা সম্ভব নয়। এ ধরনের গান ফুটিয়ে তোলার জন্য তাঁর জীবনদর্শন বোঝাটা জরুরি। তাহলে হয়তো ওনাকে নিয়ে পরিপূর্ণ কাজ করা সম্ভব। শাহ আবদুল করিমের গানগুলো নিয়ে আরও অনেক কাজ হওয়া উচিত। আমারও কাজ করার ইচ্ছা আছে। যেহেতু তিনি জীবিত নেই, ফলে এর স্বত্ব পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস আজ। এই প্রজন্মের কাছে যে কয়েকজন শিল্পী তাঁর গান ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হাবিব ওয়াহিদ। বাউলসম্রাটকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন হাবিব।
২০ বছর আগের কথা। আমি তখন যুক্তরাজ্যে। প্রবাসী বন্ধুদের কণ্ঠে প্রথম শাহ আবদুল করিমের গান শুনি। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন কায়া ও হেলাল। প্রথম শোনাতেই মনে ধরে যায়। অন্য রকম একটা মায়া জন্মায়। কী কথা, কী সুর! তখনো তাঁর সম্পর্কে অতটা জানতাম না। আস্তে আস্তে শাহ আবদুল করিমকে চিনতে শুরু করি, তাঁর সম্পর্কে জানতে শুরু করি। তাঁর গান যতই শুনি ততই মুগ্ধ হই। তাঁকে নিয়ে যত লেখা পেয়েছি, পড়েছি। একসময় মনে হলো, নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর গানকে উপস্থাপন করা গেলে মন্দ হবে না। এ জন্য আধুনিক সংগীতায়োজনের ওপর জোর দিই। এর মধ্যে আমার প্রথম দুটি অ্যালবাম ‘কৃষ্ণ’ ও ‘মায়া’-তে ওনার কিছু গান রাখি।
শাহ আবদুল করিমের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ২০০৫ সালে। দেখা করতে সিলেটে যাই। প্রায় ১২ ঘণ্টা জার্নি করে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় ভেতরে দারুণ একটা উত্তেজনা কাজ করছিল। তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর স্মৃতি সারা জীবন মনে থাকবে। তখন তিনি খুবই অসুস্থ। কথা বলতে পারেন না। ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারেন না। যাঁরা যেতেন তাকিয়ে থাকতেন। মনে হতো উনি কিছু একটা ভাবছেন। আমি তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে। তাঁর মুখ থেকে কোনো কথাই বের হলো না। কিন্তু অদ্ভুত একটা চাহনি ছিল। সেই চাহনিতেই যেন হাজার কথা বলে গেলেন। এমন একজন গুণী এবং সৃষ্টিশীল মানুষকে কাছ থেকে দেখার মধ্যেও আনন্দ আছে। অবশ্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে না পারার একটা আফসোসও রয়ে গেছে। আরেকবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ঢাকার এক হাসপাতালে। তখন তিনি আরও অসুস্থ।
আমি তাঁর অল্প কিছু গান করেছি। কিছু কিছু গান আছে, যার কথার গভীরতা এত বেশি যে আমার মনে হয় সাধারণ কারও পক্ষে এমন গান লেখা সম্ভব নয়। এ ধরনের গান ফুটিয়ে তোলার জন্য তাঁর জীবনদর্শন বোঝাটা জরুরি। তাহলে হয়তো ওনাকে নিয়ে পরিপূর্ণ কাজ করা সম্ভব। শাহ আবদুল করিমের গানগুলো নিয়ে আরও অনেক কাজ হওয়া উচিত। আমারও কাজ করার ইচ্ছা আছে। যেহেতু তিনি জীবিত নেই, ফলে এর স্বত্ব পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
শাকিব খান অভিনীত তাণ্ডব একইসঙ্গে মুক্তি পাবে দেশের দুই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই ও চরকিতে। আজ প্ল্যাটফর্ম দুটি এ ঘোষণা দিয়েছে। ওটিটিতে তাণ্ডব মুক্তির নির্দিষ্ট তারিখ না জানালেও প্ল্যাটফর্ম দুটি নিশ্চিত করেছে, আগস্ট মাসে ওটিটিতে আসবে সিনেমাটি।
৭ মিনিট আগেবাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন সালমান খান। তাঁর বাবা প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক সেলিম খান। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাবার পরামর্শ মেনে কাজ করছেন বলিউড ভাইজান। তাঁর ব্যক্তিজীবনেও ছাপ ফেলেছে বাবার জীবনদর্শন। তবে সম্প্রতি বাবার মুখ থেকে একটি উপদেশ শুনে বেশ আফসোসই হলো সালমানের। ভক্তদের সঙ্গে সেটা
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের যে সিনেমা হলে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পবন কল্যাণ অভিনীত তেলুগু সিনেমা ‘হারি হারা ভেরা মাল্লু’র প্রদর্শনী চলছিল। হঠাৎ প্রদর্শনী থামিয়ে দেওয়া হয়। কেন সিনেমা হল নোংরা করা হচ্ছে—দর্শকদের এমন প্রশ্ন করেন হলের কর্মীরা।
৪ ঘণ্টা আগেওয়েব কনটেন্টের নিয়মিত দর্শক চিত্রাঙ্গদা সিং। এই বলিউড অভিনেত্রীর ওয়াচ লিস্টে রয়েছে সারা বিশ্বের সিনেমা-সিরিজ। বর্তমানে তিনি দেখছেন ‘ল্যান্ডম্যান’। চিত্রাঙ্গদার প্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিজটি। অভিনেত্রী জানালেন তাঁর আরও দুই পছন্দের ওয়েব সিরিজের নাম।
৮ ঘণ্টা আগে