Ajker Patrika

দুর্নীতির অভিযোগে কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দিল গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান। একইসঙ্গে সংগঠনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রফিক উল্ল্যাহ সেলিমকেও।

শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম বাবু সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ৪০ বছরের পুরোনো এ সংগঠনে এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল।

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেডারেশনের গত তিন বছরে ব্যয় হওয়া ১ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৩ টাকার হিসাব দিতে পারেননি কামাল বায়েজীদ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকে সংগঠনের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালে নিজের অ্যাকাউন্টে সংগঠনের টাকা স্থানান্তর করেন তিনি। একক সিদ্ধান্তে ফেডারেশনকে পরিচালিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন কামাল—এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কামাল বায়েজীদ ভবিষ্যতে কখনো বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানে কোনো দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।

তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন কামাল বায়েজীদ। ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কামাল বায়েজীদ বলেন, ‘আমার চেয়ারম্যান মহোদয়, যিনি এখন শিল্পকলার মহাপরিচালক, তিনি দুর্নীতির দায়ে এখন তদন্তের সম্মুখীন। কারও নৈতিক স্খলন হলে তাঁর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত। আমি সে কথাটা তাঁকে বলেছিলাম। তার পর তিনি আমার বিরুদ্ধে এমন অগঠনতান্ত্রিক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন সিদ্ধান্তকে আমি প্রত্যাখ্যান করছি।’

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকামাল বায়েজীদ জানান, ফেডারেশানের বর্তমান সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী হুট করেই এই সভা আহ্বান করেন। শারীরিক অসুস্থতা ও করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি সভার তারিখ পেছানোর কথা বললেও তড়িঘড়ি করে আহুত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে লিয়াকত আলী লাকীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মোবাইল নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।

বিষয়টি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক কয়েকজন সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মামুনুর রশীদ ও ম হামিদকে জানিয়েছেন কামাল বায়েজীদ। তিনি বলেন, ‘আমি চাই তাঁদের মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধান হোক। যদি অভিযোগ প্রমাণ হয়, তাহলে যে শাস্তি তাঁরা দেন, মাথা পেতে নেব। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হলে আমার যে মানহানি হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে ফেডারেশানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত