তখনো আমি আজকের ‘অমিতাভ’ হইনি বা বলতে পারেন অভিনেতাই হইনি। সেই সময় সাড়ে পাঁচ বছর আমি কলকাতায় থেকে কাজ করতাম। অভিনয় নয়, অন্য কাজ। তখন আমি সত্যজিৎ রায়ের নাম শুনতাম আর মাঝেমধ্যে রাস্তাঘাটে হয়তো বা কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখতাম।
তারপর আমি মুম্বাই চলে আসি। তবে তাঁর সঙ্গে সরাসরি পরিচয় হয় আরও বেশ কয়েক বছর পর। তখন অভিনেতা হিসেবে আমার একটু–আধটু নাম হয়েছে। সেই সময় কাজের সূত্রে আবার কলকাতায় যেতে হয়েছিল। তখনই আমার সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপ হয়।
সম্ভবত বালিগঞ্জের দিকে একটা বাড়িতে আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রথম দিনের ঘটনাটি এখনো মনে আছে। তাঁর সঙ্গে আমার একটা চরিত্র সম্পর্কে, অভিনয় সম্পর্কে অনেক আলোচনা হয়। দেখেছিলাম তিনি কীভাবে একটা সিনেমা নিয়ে ভাবেন, চরিত্র নিয়ে ভাবেন।
তাঁর ভাবনায় চরিত্রগুলো কত সহজ–সরল হয়ে ওঠে! যেমন এই মুহূর্তে আমার অপু ট্রিলজির কথা মনে পড়ছে, চারুলতার কথাও মনে পড়ছে। তাঁর সবকিছুই যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে আসত। কত কঠিন দৃশ্যে কত সহজ হয়ে যেত তাঁর স্ক্রিপ্টে।
যেমন চারুলতার সেইসব শট। চারুলতা হাঁটছে, ফিরছে, জানালার খিড়কি খুলে দেখছে। এইসবের মধ্যেও কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টে এটা খুব সহজ মনে হলেও চরিত্রটা কিন্তু খুব কঠিন। এই কঠিন চরিত্রটাই সত্যজিৎ কত সহজে ফুটিয়ে তুললেন। এখানে কোনো ভারী ভারী ডায়ালগও ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সেতারের কয়েকটা স্ট্রোক।
সামান্য এই মিউজিকে কিন্তু দৃশ্যগুলোর গভীরতা ধরা পড়ে। সত্যজিৎ রায়ের এই মিউজিক সেন্সটাই ছিল অসাধারণ। আসলে তিনি যখন কোনো ছবি করতেন, তখন সেই বিষয়টাকে গভীরভাবে নিজের মধ্যে নিয়ে নিতেন। এটাই ছিল তাঁর স্বাভাবিকতা।
না, উনি আমাকে কোনো দিনই ডাকেননি। হয়তো আমাকে পছন্দ হয়নি তাঁর। আমার গলার স্বরটাই শুধু তাঁর পছন্দ হয়েছিল।
‘শতরঞ্জ’–এর জন্য যখন আমি কলকাতায় গেলাম, সেই সন্ধ্যাটির কথা এখনো মনে আছে। সেটা আমার জীবনে একটা স্মরণীয় সন্ধ্যা। আমি সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে গেলাম। তাঁর লিভিং রুমটাই একটা দেখার জিনিস। লিভিং রুম কাম মিউজিক রুম কাম লাইব্রেরি। আমার স্ক্রিপ্টটা তৈরিই ছিল।
‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’–এর সময় আমার একটু–আধটু নাম হয়েছিল। কারণ, ততদিনে আমার আনন্দ, জিঞ্জির মুক্তি পেয়েছে। পরদিন আমাকে ডাবিং সেন্টারে যেতে বললেন। ততক্ষণে আমি জেনে গেছি ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’–তে কে কে অভিনয় করছেন। সঞ্জীব কুমার ও আমজাদ খান ছিলেন। দুজনেই তুখোড় অভিনেতা। মি. রে-ও ছিলেন।
আমি তাঁর কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি ঠিকই, কিন্তু ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’তে কণ্ঠ দেওয়ার দৌলতে যে সান্নিধ্য পেয়েছিলাম, তাঁর সঙ্গে বসে সিনেমা সম্পর্কে, বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে যে আলোচনা করেছিলাম, সেটাই আমার অভিনয় জীবনের অনেকটা পথ এগিয়ে দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
তখনো আমি আজকের ‘অমিতাভ’ হইনি বা বলতে পারেন অভিনেতাই হইনি। সেই সময় সাড়ে পাঁচ বছর আমি কলকাতায় থেকে কাজ করতাম। অভিনয় নয়, অন্য কাজ। তখন আমি সত্যজিৎ রায়ের নাম শুনতাম আর মাঝেমধ্যে রাস্তাঘাটে হয়তো বা কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখতাম।
তারপর আমি মুম্বাই চলে আসি। তবে তাঁর সঙ্গে সরাসরি পরিচয় হয় আরও বেশ কয়েক বছর পর। তখন অভিনেতা হিসেবে আমার একটু–আধটু নাম হয়েছে। সেই সময় কাজের সূত্রে আবার কলকাতায় যেতে হয়েছিল। তখনই আমার সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপ হয়।
সম্ভবত বালিগঞ্জের দিকে একটা বাড়িতে আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রথম দিনের ঘটনাটি এখনো মনে আছে। তাঁর সঙ্গে আমার একটা চরিত্র সম্পর্কে, অভিনয় সম্পর্কে অনেক আলোচনা হয়। দেখেছিলাম তিনি কীভাবে একটা সিনেমা নিয়ে ভাবেন, চরিত্র নিয়ে ভাবেন।
তাঁর ভাবনায় চরিত্রগুলো কত সহজ–সরল হয়ে ওঠে! যেমন এই মুহূর্তে আমার অপু ট্রিলজির কথা মনে পড়ছে, চারুলতার কথাও মনে পড়ছে। তাঁর সবকিছুই যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে আসত। কত কঠিন দৃশ্যে কত সহজ হয়ে যেত তাঁর স্ক্রিপ্টে।
যেমন চারুলতার সেইসব শট। চারুলতা হাঁটছে, ফিরছে, জানালার খিড়কি খুলে দেখছে। এইসবের মধ্যেও কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টে এটা খুব সহজ মনে হলেও চরিত্রটা কিন্তু খুব কঠিন। এই কঠিন চরিত্রটাই সত্যজিৎ কত সহজে ফুটিয়ে তুললেন। এখানে কোনো ভারী ভারী ডায়ালগও ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সেতারের কয়েকটা স্ট্রোক।
সামান্য এই মিউজিকে কিন্তু দৃশ্যগুলোর গভীরতা ধরা পড়ে। সত্যজিৎ রায়ের এই মিউজিক সেন্সটাই ছিল অসাধারণ। আসলে তিনি যখন কোনো ছবি করতেন, তখন সেই বিষয়টাকে গভীরভাবে নিজের মধ্যে নিয়ে নিতেন। এটাই ছিল তাঁর স্বাভাবিকতা।
না, উনি আমাকে কোনো দিনই ডাকেননি। হয়তো আমাকে পছন্দ হয়নি তাঁর। আমার গলার স্বরটাই শুধু তাঁর পছন্দ হয়েছিল।
‘শতরঞ্জ’–এর জন্য যখন আমি কলকাতায় গেলাম, সেই সন্ধ্যাটির কথা এখনো মনে আছে। সেটা আমার জীবনে একটা স্মরণীয় সন্ধ্যা। আমি সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে গেলাম। তাঁর লিভিং রুমটাই একটা দেখার জিনিস। লিভিং রুম কাম মিউজিক রুম কাম লাইব্রেরি। আমার স্ক্রিপ্টটা তৈরিই ছিল।
‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’–এর সময় আমার একটু–আধটু নাম হয়েছিল। কারণ, ততদিনে আমার আনন্দ, জিঞ্জির মুক্তি পেয়েছে। পরদিন আমাকে ডাবিং সেন্টারে যেতে বললেন। ততক্ষণে আমি জেনে গেছি ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’–তে কে কে অভিনয় করছেন। সঞ্জীব কুমার ও আমজাদ খান ছিলেন। দুজনেই তুখোড় অভিনেতা। মি. রে-ও ছিলেন।
আমি তাঁর কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি ঠিকই, কিন্তু ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’তে কণ্ঠ দেওয়ার দৌলতে যে সান্নিধ্য পেয়েছিলাম, তাঁর সঙ্গে বসে সিনেমা সম্পর্কে, বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে যে আলোচনা করেছিলাম, সেটাই আমার অভিনয় জীবনের অনেকটা পথ এগিয়ে দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
২ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
২ ঘণ্টা আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
২ ঘণ্টা আগে