শিহাব আহমেদ
মঞ্চ, টিভি, সিনেমা, উপস্থাপনা কিংবা বিজ্ঞাপনের পরিচিত মুখ জিনাত শানু স্বাগতা। অভিনয়ের ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন গান থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি স্বাগতার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নতুন গান ‘বিমস অব লাইট’। নতুন গান ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে স্বাগতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে আপনার নতুন গান ‘বিমস অব লাইট’। গানটি প্রসঙ্গে বলুন।
২০১৩ সালে আমার ব্যান্ড ‘মহাকাল’ ভেঙে যাওয়ার পর আর গান গাওয়া হয়নি। ১০ বছর পর নতুন কোনো গান গাইলাম। বাংলা ও ইংলিশ দুই ভাষায় হয়েছে গানটি। বাংলাটা আমার লেখা আর ইংলিশ ভার্সনটি আমার সহশিল্পী ডা. হাছান আজাদের। সুরও করেছি আমরা দুজন। সংগীতায়োজনে ছিল সন্ধি।
১০ বছর পর গানে ফিরে আসার গল্পটা শুনতে চাই।
ব্যান্ড ভাঙার পর আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। গান করতে আর ইচ্ছা করছিল না। এ ছাড়া ব্যান্ডের জন্য আমি রক মিউজিক করছিলাম কিন্তু আমি আসলে ক্লাসিক্যাল মিউজিক করে অভ্যস্ত। নতুন করে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের তালিম নেওয়া শুরু করি। আমি যেহেতু গান শিখে শিখে বড় হয়েছি, তাই চর্চা না করে গাইতে চাচ্ছিলাম না। একদিন হাসানের সঙ্গে জ্যামিং করছি। তখন সুরটা পছন্দ হয়ে গেল। দুজনে মিলে গানের কথা লিখলাম। যেহেতু এটি ভালোবাসার গান, তাই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি দিয়েছি।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। যদিও গানটির তেমন প্রচার করতে পারিনি।
দীর্ঘদিন পর গান প্রকাশ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
গানটি প্রকাশ করতে গিয়ে যেটার অভাব বোধ করেছি, সেটা হলো গান প্রকাশের মাধ্যম। আমাদের দেশে গান প্রকাশ করার উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নেই।
সময়ের সঙ্গে কোনো পার্থক্য লক্ষ করেছেন কি?
আগে অ্যালবাম প্রকাশ হলে সবাই আসত, পোস্টারে অটোগ্রাফ দিতাম, সবাই সিডি কিনত। সে বিষয়টিই তো নেই। একটি অ্যালবামের জন্য ১০ থেকে ১২টি গান করতে হতো। এখন একটি গানেই অ্যালবাম হয়। আমি আমার বাসা থেকে রিলিজ দিলাম, আস্তে আস্তে রিচ হবে, ভিউ হবে। এখন আবার গান শুধু শোনার বিষয় নয়, দেখার বিষয় হয়ে গেছে। আমাকে ভিডিও তৈরি করতে হয়েছে, যাতে গানটি মানুষের কাছে পৌঁছায়।
এখন থেকে নিয়মিত গানে পাওয়া যাবে আপনাকে?
পরিকল্পনা আছে নিয়মিত গান করার। আগামী মাসে আরও একটি গান প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
সম্প্রতি ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। সিনেমাটি নিয়ে বলবেন?
এ সিনেমার গল্পটা দারুণ! চরিত্রটিও বেশ পছন্দ হয়েছে। এই মুহূর্তে গল্প ও চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার ব্যাপারে নির্মাতার নিষেধ আছে।
মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘অসম্ভব’ সিনেমায় আপনি পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সে কাজটির অভিজ্ঞতা কেমন?
এমন চরিত্রে এটিই আমার প্রথম অভিনয়। আমাকে দেখা যাবে যাত্রাশিল্পী হিসেবে। সেই সঙ্গে যাত্রাপালার বিভিন্ন গল্পের চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। পাঁচ চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং হলেও উপভোগ করেছি। যাত্রা ব্যাপারটি হলো নাচ, গান, অভিনয়। আমি ছোটবেলা থেকেই সব কটি মাধ্যমে অভ্যস্ত। একসঙ্গে নাচ, গান ও অভিনয়ের কারণে নিজেকে পরীক্ষা করার ভালো সুযোগ পেয়েছি।
ইদানীং নেগেটিভ চরিত্রেও আপনাকে দেখা যাচ্ছে…
নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগটা বেশি। তাই কাজ করা। আর আমি একজন অভিনয়শিল্পী। অভিনয় ভালোবাসি। যেকোনো চরিত্রের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। তবে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের প্রতি লোভটা একটু বেশি।
টিভি নাটকে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন?
আমার কাছে আসলে ঠিকঠাক স্ক্রিপ্ট আসেনি। প্রচুর নাটক হচ্ছে, সংখ্যায় কম হলেও ভালো কাজ যে হচ্ছে না তা নয়। তবে আমার কাছে সেরা মানের ভালো স্ক্রিপ্ট আসেনি। তাই নাটকে বেশি দেখা যায় না। আর যা-ই হোক, মানহীন কাজ করতে চাই না।
নতুন প্রজন্মের কাজ কি দেখা হয়?
হ্যাঁ, দেখা হয়।
কেমন লাগছে তাঁদের কাজ?
বেশ কয়েকজন আছে খুব ভালো, আবার বেশ কয়েকজন তেমন ভালো না। এ রকমই হয় সব সময়। ৫০ জন অভিনয়শিল্পী একসঙ্গে এলে তাঁদের মধ্যে ৪-৫ জন টিকে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যে ভালো করবে সে টিকে থাকবে, যে ভালো করবে না সে ঝরে যাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অভিনয় হোক, গান হোক আর উপস্থাপনা হোক, কাজ নিয়ে থাকতে চাই। তবে গানেই বেশি মনোযোগ দিতে চাই।
মঞ্চ, টিভি, সিনেমা, উপস্থাপনা কিংবা বিজ্ঞাপনের পরিচিত মুখ জিনাত শানু স্বাগতা। অভিনয়ের ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন গান থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি স্বাগতার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নতুন গান ‘বিমস অব লাইট’। নতুন গান ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে স্বাগতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে আপনার নতুন গান ‘বিমস অব লাইট’। গানটি প্রসঙ্গে বলুন।
২০১৩ সালে আমার ব্যান্ড ‘মহাকাল’ ভেঙে যাওয়ার পর আর গান গাওয়া হয়নি। ১০ বছর পর নতুন কোনো গান গাইলাম। বাংলা ও ইংলিশ দুই ভাষায় হয়েছে গানটি। বাংলাটা আমার লেখা আর ইংলিশ ভার্সনটি আমার সহশিল্পী ডা. হাছান আজাদের। সুরও করেছি আমরা দুজন। সংগীতায়োজনে ছিল সন্ধি।
১০ বছর পর গানে ফিরে আসার গল্পটা শুনতে চাই।
ব্যান্ড ভাঙার পর আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। গান করতে আর ইচ্ছা করছিল না। এ ছাড়া ব্যান্ডের জন্য আমি রক মিউজিক করছিলাম কিন্তু আমি আসলে ক্লাসিক্যাল মিউজিক করে অভ্যস্ত। নতুন করে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের তালিম নেওয়া শুরু করি। আমি যেহেতু গান শিখে শিখে বড় হয়েছি, তাই চর্চা না করে গাইতে চাচ্ছিলাম না। একদিন হাসানের সঙ্গে জ্যামিং করছি। তখন সুরটা পছন্দ হয়ে গেল। দুজনে মিলে গানের কথা লিখলাম। যেহেতু এটি ভালোবাসার গান, তাই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি দিয়েছি।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। যদিও গানটির তেমন প্রচার করতে পারিনি।
দীর্ঘদিন পর গান প্রকাশ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
গানটি প্রকাশ করতে গিয়ে যেটার অভাব বোধ করেছি, সেটা হলো গান প্রকাশের মাধ্যম। আমাদের দেশে গান প্রকাশ করার উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নেই।
সময়ের সঙ্গে কোনো পার্থক্য লক্ষ করেছেন কি?
আগে অ্যালবাম প্রকাশ হলে সবাই আসত, পোস্টারে অটোগ্রাফ দিতাম, সবাই সিডি কিনত। সে বিষয়টিই তো নেই। একটি অ্যালবামের জন্য ১০ থেকে ১২টি গান করতে হতো। এখন একটি গানেই অ্যালবাম হয়। আমি আমার বাসা থেকে রিলিজ দিলাম, আস্তে আস্তে রিচ হবে, ভিউ হবে। এখন আবার গান শুধু শোনার বিষয় নয়, দেখার বিষয় হয়ে গেছে। আমাকে ভিডিও তৈরি করতে হয়েছে, যাতে গানটি মানুষের কাছে পৌঁছায়।
এখন থেকে নিয়মিত গানে পাওয়া যাবে আপনাকে?
পরিকল্পনা আছে নিয়মিত গান করার। আগামী মাসে আরও একটি গান প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
সম্প্রতি ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। সিনেমাটি নিয়ে বলবেন?
এ সিনেমার গল্পটা দারুণ! চরিত্রটিও বেশ পছন্দ হয়েছে। এই মুহূর্তে গল্প ও চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার ব্যাপারে নির্মাতার নিষেধ আছে।
মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘অসম্ভব’ সিনেমায় আপনি পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সে কাজটির অভিজ্ঞতা কেমন?
এমন চরিত্রে এটিই আমার প্রথম অভিনয়। আমাকে দেখা যাবে যাত্রাশিল্পী হিসেবে। সেই সঙ্গে যাত্রাপালার বিভিন্ন গল্পের চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। পাঁচ চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং হলেও উপভোগ করেছি। যাত্রা ব্যাপারটি হলো নাচ, গান, অভিনয়। আমি ছোটবেলা থেকেই সব কটি মাধ্যমে অভ্যস্ত। একসঙ্গে নাচ, গান ও অভিনয়ের কারণে নিজেকে পরীক্ষা করার ভালো সুযোগ পেয়েছি।
ইদানীং নেগেটিভ চরিত্রেও আপনাকে দেখা যাচ্ছে…
নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগটা বেশি। তাই কাজ করা। আর আমি একজন অভিনয়শিল্পী। অভিনয় ভালোবাসি। যেকোনো চরিত্রের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। তবে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের প্রতি লোভটা একটু বেশি।
টিভি নাটকে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন?
আমার কাছে আসলে ঠিকঠাক স্ক্রিপ্ট আসেনি। প্রচুর নাটক হচ্ছে, সংখ্যায় কম হলেও ভালো কাজ যে হচ্ছে না তা নয়। তবে আমার কাছে সেরা মানের ভালো স্ক্রিপ্ট আসেনি। তাই নাটকে বেশি দেখা যায় না। আর যা-ই হোক, মানহীন কাজ করতে চাই না।
নতুন প্রজন্মের কাজ কি দেখা হয়?
হ্যাঁ, দেখা হয়।
কেমন লাগছে তাঁদের কাজ?
বেশ কয়েকজন আছে খুব ভালো, আবার বেশ কয়েকজন তেমন ভালো না। এ রকমই হয় সব সময়। ৫০ জন অভিনয়শিল্পী একসঙ্গে এলে তাঁদের মধ্যে ৪-৫ জন টিকে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যে ভালো করবে সে টিকে থাকবে, যে ভালো করবে না সে ঝরে যাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অভিনয় হোক, গান হোক আর উপস্থাপনা হোক, কাজ নিয়ে থাকতে চাই। তবে গানেই বেশি মনোযোগ দিতে চাই।
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
২ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
২ ঘণ্টা আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
২ ঘণ্টা আগে