টিম ভয়েজার্স
রিমন রহমান, রাজশাহী
দুই বছর আগেই তাঁরা নিজেদের কল্পনা করেছিলেন বিশ্বমঞ্চে। কিন্তু সেই স্বপ্ন তখন বাস্তবে ধরা দেয়নি। আজ নাসার আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অপেক্ষায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ভয়েজার্স’। পাঁচ তরুণের এই স্বপ্নযাত্রা শুধু রাজশাহী নয়, পুরো দেশকে গর্বিত করেছে।
২০২৩ সালের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের শুরুটা তেমন আশাব্যঞ্জক ছিল না। দেশের সেরা ৫০টি দলের মধ্যেও জায়গা হয়নি টিম ভয়েজার্সের। হতাশা ছিল, কিন্তু তাঁরা থেমে থাকেননি। প্রথম ধাক্কার পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রজেক্টটি নতুনভাবে গড়ে তুলবেন, একদম নাসার মানদণ্ড অনুযায়ী।
নতুন উদ্যমে শুরু হয় কাজ। সারা বিশ্বের অংশগ্রহণে ২০২৩ সালের ৬ ও ৭ অক্টোবর আয়োজিত হয় ৩৬ ঘণ্টার এক বিশাল হ্যাকাথন। ১৫২টি দেশ, ৮ হাজার ৭১৫টি দল এবং প্রায় ৫৮ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের রাজশাহী রিজিয়নে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ভয়েজার্স। টিমটি রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের। ওই সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে নাসার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছে টিম ভয়েজার্স। পরে গ্লোবাল নমিনেশনে উঠে আসে তাদের নাম এবং সেখানেই তারা ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল উইনারের মর্যাদা পায়।
দলের সদস্যরা হলেন খালিদ সাকিব (দলনেতা), আবদুল মালেক, সাখাওয়াত হোসেন, ফাহমিদা আক্তার ও মো. আতিক। সবাই বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
তাঁদের প্রজেক্টের নাম ‘অ্যাকুয়া এক্সপ্লোরার’, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানির গুরুত্ব বোঝানো হয় সহজ ও ইন্টার্যাকটিভভাবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হয়, পৃথিবীর ৩৭০ কুইন্টিলিয়ন গ্যালন পানির মধ্যে মাত্র ০.০১ শতাংশ পানি নিরাপদ ও ব্যবহারের উপযোগী। কীভাবে পানি বায়ুমণ্ডল, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সেটিও চিত্রায়িত হয় গল্প বলার কৌশল ও গেমিং পদ্ধতিতে।
এই অসাধারণ সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে নাসার আমন্ত্রণে আগামী ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে আয়োজিত গ্লোবাল উইনার্স সেলিব্রেশনে অংশ নেবে টিম ভয়েজার্স। ২৫ মে দলটির যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।
দলনেতা খালিদ সাকিব বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন দেখলাম, সেরা ৫০ দলের মধ্যেও আমরা নেই। সে কারণে আমাদের ভার্চুয়ালি অংশ নিতে হবে। তখন ভীষণ খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। ধাপে ধাপে প্রজেক্টটিকে এমনভাবে সাজিয়েছি, যাতে তা নাসার মূল চাহিদা পূরণ করে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টারই ফল আমরা পেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খালিদ সাকিব বলেন, ‘ভ্রমণের সকল খরচ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে। তাদের সহায়তা ছাড়া এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না।’
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিশ্বের ১৫২টি দেশের ৮ হাজার ৭১৫টি দল এবং প্রায় ৫৮ হাজার প্রতিযোগীর ৫ হাজার ৫৫৬টি প্রজেক্ট জমা পড়েছিল। এমন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্যিই গর্বের। নাসা আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সফরে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণাগার পরিদর্শন করবে। তারা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এটা তাদের আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে।’
দুই বছর আগেই তাঁরা নিজেদের কল্পনা করেছিলেন বিশ্বমঞ্চে। কিন্তু সেই স্বপ্ন তখন বাস্তবে ধরা দেয়নি। আজ নাসার আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অপেক্ষায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ভয়েজার্স’। পাঁচ তরুণের এই স্বপ্নযাত্রা শুধু রাজশাহী নয়, পুরো দেশকে গর্বিত করেছে।
২০২৩ সালের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের শুরুটা তেমন আশাব্যঞ্জক ছিল না। দেশের সেরা ৫০টি দলের মধ্যেও জায়গা হয়নি টিম ভয়েজার্সের। হতাশা ছিল, কিন্তু তাঁরা থেমে থাকেননি। প্রথম ধাক্কার পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রজেক্টটি নতুনভাবে গড়ে তুলবেন, একদম নাসার মানদণ্ড অনুযায়ী।
নতুন উদ্যমে শুরু হয় কাজ। সারা বিশ্বের অংশগ্রহণে ২০২৩ সালের ৬ ও ৭ অক্টোবর আয়োজিত হয় ৩৬ ঘণ্টার এক বিশাল হ্যাকাথন। ১৫২টি দেশ, ৮ হাজার ৭১৫টি দল এবং প্রায় ৫৮ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের রাজশাহী রিজিয়নে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ভয়েজার্স। টিমটি রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের। ওই সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে নাসার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছে টিম ভয়েজার্স। পরে গ্লোবাল নমিনেশনে উঠে আসে তাদের নাম এবং সেখানেই তারা ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল উইনারের মর্যাদা পায়।
দলের সদস্যরা হলেন খালিদ সাকিব (দলনেতা), আবদুল মালেক, সাখাওয়াত হোসেন, ফাহমিদা আক্তার ও মো. আতিক। সবাই বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
তাঁদের প্রজেক্টের নাম ‘অ্যাকুয়া এক্সপ্লোরার’, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানির গুরুত্ব বোঝানো হয় সহজ ও ইন্টার্যাকটিভভাবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হয়, পৃথিবীর ৩৭০ কুইন্টিলিয়ন গ্যালন পানির মধ্যে মাত্র ০.০১ শতাংশ পানি নিরাপদ ও ব্যবহারের উপযোগী। কীভাবে পানি বায়ুমণ্ডল, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সেটিও চিত্রায়িত হয় গল্প বলার কৌশল ও গেমিং পদ্ধতিতে।
এই অসাধারণ সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে নাসার আমন্ত্রণে আগামী ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে আয়োজিত গ্লোবাল উইনার্স সেলিব্রেশনে অংশ নেবে টিম ভয়েজার্স। ২৫ মে দলটির যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।
দলনেতা খালিদ সাকিব বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন দেখলাম, সেরা ৫০ দলের মধ্যেও আমরা নেই। সে কারণে আমাদের ভার্চুয়ালি অংশ নিতে হবে। তখন ভীষণ খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। ধাপে ধাপে প্রজেক্টটিকে এমনভাবে সাজিয়েছি, যাতে তা নাসার মূল চাহিদা পূরণ করে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টারই ফল আমরা পেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খালিদ সাকিব বলেন, ‘ভ্রমণের সকল খরচ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে। তাদের সহায়তা ছাড়া এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না।’
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিশ্বের ১৫২টি দেশের ৮ হাজার ৭১৫টি দল এবং প্রায় ৫৮ হাজার প্রতিযোগীর ৫ হাজার ৫৫৬টি প্রজেক্ট জমা পড়েছিল। এমন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্যিই গর্বের। নাসা আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সফরে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণাগার পরিদর্শন করবে। তারা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এটা তাদের আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। বাকি তিনটি পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সদস্যপদ রয়েছে ১৩ টি। এই পদেও শিবিরের প্রার্থীরা একচেটিয়
৩ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি এই বিজয়কে শুধুমাত্র শিবিরের বিজয় বলে মনে করছি না, বরং এই বিজয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর এবং দেশের আপামর মানুষের। যাঁরা কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের রাজনীতি চান, এটা তাঁদের বিজয় হিসেবে দেখব...
৪ ঘণ্টা আগেডাকসুতে জিএস হিসেবে জয় ব্যক্তিগত অর্জন বা ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের জয় নয় বরং এটা ঢাবির সব শিক্ষার্থীদের জয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বা জিএস এস এম ফরহাদ। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেজাতির সঙ্গে ছাত্র শিবিরের বেইমানি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপিপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। তিনি ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ এনে আজ বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা লেখেন।
৫ ঘণ্টা আগে