Ajker Patrika

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তির প্রস্তুতি

আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১০টি অনুষদের ৩২টি বিভাগের ১ হাজার ৮৯৬ আসনের জন্য লড়বেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ৪র্থ বর্ষের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৫২
Thumbnail image
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল। ছবি: ফাইল ছবি

অনেকেরই হয়তো ইতিমধ্যে সিলেবাস শেষ, কেউ কেউ সিলেবাসের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন। তবে যাঁর যতটুকুই প্রস্তুতি সম্পন্ন হোক না কেন, বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি পরীক্ষার সময় কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ক্যালকুলেটর ছাড়া অঙ্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় না। এটি অনেক শিক্ষার্থীকে গণিত বাদ দিয়ে অন্য বিষয়ের উত্তর দেওয়ার দিকে ধাবিত করে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। কারণ পরীক্ষায় এমন কোনো বড় গণিত আসে না, যা সমাধানের জন্য ক্যালকুলেটরের প্রয়োজন পড়ে। সাধারণত ছোট ছোট গুণ-ভাগের প্রশ্ন থাকে, যা দ্রুত সমাধানের জন্য বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে।

বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ক্ষেত্রে অপশন দেখে অনুমান করাও অনেক সময় কার্যকর হতে পারে। বিশেষত, দশমিকের আগের সংখ্যার পার্থক্য দেখে সঠিক উত্তর বাছাই করা যায়। এর পাশাপাশি শর্টকাট পদ্ধতি আয়ত্ত করা এবং নিয়মিত চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কোনটা আগে উত্তর করব
প্রথমে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করো, যা তুমি ভালো পারো। জীববিজ্ঞান ও রসায়নের বেশির ভাগ প্রশ্ন মুখস্থনির্ভর, তাই এগুলো আগে উত্তর দেওয়া সহজ। এরপর গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো চিন্তাশীল প্রশ্নগুলোতে মনোযোগ দেওয়া যায়। লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন—উভয়ের ক্ষেত্রে একই কৌশল অনুসরণ করা উচিত।

মূল বইয়ে বেশি ফোকাস
কলেজজীবনে অনেক বিষয়েই ঘাটতি রয়ে যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতির সময় মূল বইয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। সকল প্রশ্নই মূল বই থেকে আসে, তাই এটি ভালোভাবে পড়তে হবে। মূল বইয়ের পাশাপাশি সহায়ক নোট বা গাইড বই পড়া যেতে পারে। মূল বই পড়ার সময় ছোট ছোট নোট তৈরি করলে পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন দেওয়া সহজ হয়। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞান—সব বিষয়ের ওপর সমান গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। এর সঙ্গে নিজের প্রস্তুতি যাচাই এবং ভুল চিহ্নিত করার জন্য অনুশীলনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নব্যাংকের গুরুত্ব
মডেল টেস্ট দেওয়ার পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশ্নব্যাংক থেকে পরীক্ষার প্যাটার্ন, প্রশ্নের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সময় ধরে প্রশ্নব্যাংক সমাধান করলে পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা ভালো হয়। প্রশ্নব্যাংক সমাধান করার সময় ভুলগুলো চিহ্নিত করলে, তা শোধরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। বিগত বছরের প্রশ্নের উত্তর অনুশীলন করলে, মূল পরীক্ষার সময় আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।

আয়শা সিদ্দিকা। ছবি: সংগৃহীত
আয়শা সিদ্দিকা। ছবি: সংগৃহীত

অল্প অল্প করে পড়া
একটানা পড়া ক্লান্তিকর হতে পারে। তাই পড়াশোনার মাঝে বিরতি নেওয়া উচিত। বিরতির সময় মোবাইল ব্যবহারের বদলে ব্যায়াম করা, নাশতা করা বা গল্পের বই পড়া যেতে পারে। একটানা না পড়ে এমনভাবে সময় ভাগ করে পড়া উচিত, যাতে পড়া সহজ ও উপভোগ্য হয়।

অনুলিখন: মুসাররাত আবির

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত