Ajker Patrika

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফি কালেকশন সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর ফি পরিশোধব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এই চুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা ব্র্যাক ব্যাংকের প্রযুক্তিগত সমন্বিত পরিষেবা ব্যবহার করে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা এবং ১১০০টিরও বেশি এজেন্ট আউটলেট থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই ফি জমা দিতে পারবেন। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ও ‘আস্থা’ অ্যাপ সংযুক্ত হওয়ায় ফি পরিশোধপ্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ কে এম ফয়সাল হালিম, হেড অব ব্রাঞ্চ ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন আলী তালুকদার, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার তৌহিদুল ইসলাম, এফসিএ ও উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্টিটিউশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম কর্পনেট, স্মল বিজনেস ও রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘আস্থা’ একত্র করে এই ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে।

এটি—প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ করবে, শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত ও ঝামেলাবিহীন পেমেন্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড পেমেন্ট সল্যুশন দেবে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ব্যাংক বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক। ব্যাংকটি—১৮৭টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালনা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে লেনদেন করছে। প্রায় ১৮ লাখেরও বেশি গ্রাহককে ব্যাংকিংসেবা দিচ্ছে এই ব্যাংক।

এই পার্টনারশিপ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক, কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর ফি পরিশোধব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, এটি ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ব্যাচেলর অব মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে বলে গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এবার ঢাকাসহ দেশের ১৭টি কেন্দ্রে ও ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।

মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র এবং ৭৩ জন ৬০৪ জন ছাত্রী।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ এবং ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা ২০২৫-এ সেরা আইইউবি থিয়েটার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা ২০২৫-এ সেরা হয়েছে আইইউবি থিয়েটার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা ২০২৫-এ সেরা হয়েছে আইইউবি থিয়েটার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা ২০২৫-এর শিরোপা জিতেছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের আইইউবি থিয়েটার ক্লাব। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এআইইউবি ড্রামা ক্লাব (এডিসি) আয়োজিত মঞ্চনাটক প্রতিযোগিতাটির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে।

প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবসে আইইউবি থিয়েটার তাদের ২৪তম প্রযোজনা ‘সুলতানার স্বপ্নের’ তৃতীয় প্রদর্শনী মঞ্চস্থ করে। এটি বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানা’স ড্রিমের’ বাংলা নাট্যরূপ। প্রতিযোগিতার ইন্টার-ইউনিভার্সিটি থিয়েটার টিম শ্রেণিতে ‘পণ্ডিত’ চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান আইইউবি থিয়েটারের আহমেদ ইয়াশফিন সামি।

গল্পটির বাংলা নাট্যরূপ এবং নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্নীল সোহেল। ‘সুলতানা’স ড্রিম’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৫ সালে, ভারতের মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) ‘দ্য ইন্ডিয়ান লেডিজ’ ম্যাগাজিনে। এই গল্পে তিনি ‘লেডিল্যান্ড’ নামের একটি কল্পিত সমাজে নারী-সমতার স্বপ্ন তুলে ধরেছেন।

আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার আপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার আপ), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।

বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেন এবং এআইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।

এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল আইইউবি থিয়েটার। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আইইইই এসটিআই ৫.০ কনফারেন্স ২০২৫ শুরু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে সপ্তম আইইইই এসটিআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০ (এসটিআই-২০২৫)। ঢাকার পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশি ও আন্তর্জাতিক গবেষক, একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করছেন। তাঁরা উদ্ভাবন, টেকসই প্রযুক্তি এবং এআই ও ভবিষ্যতের কর্মবাজারে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন জিইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য—‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা।’

উদ্বোধনী বক্তব্যে অর্গানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ জানান, এবারের এসটিআই-২০২৫ সম্মেলনে রেকর্ড ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে, যা সম্মেলনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ছয়জন রিভিউয়ার, যার মধ্যে তিনজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, কঠোর মূল্যায়নের পর মাত্র ১১৮টি প্রবন্ধ গ্রহণ করা হয়েছে, অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতার হার মাত্র ২৭ শতাংশ। তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে এসটিআই গবেষণার মানে কোনো ছাড় দেয় না।

সম্মেলনের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ৫.০ হলো মানবকেন্দ্রিক শিল্পায়ন—যেখানে প্রযুক্তি মানুষের সৃজনশীলতা, দক্ষতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে সেমান্টিক কমিউনিকেশন, রোবোটিকস এবং শক্তি-দক্ষ প্রযুক্তি চিহ্নিত করেন।

অধ্যাপক ড. ইমামুল হাসান ভূঁইয়া, আইইইই বাংলাদেশের সেকশন চেয়ার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘টেকসই শক্তি ছাড়া প্রযুক্তির প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়। এআই, রোবটিকস, আইওটি—এসব প্রযুক্তির মূল চালিকাশক্তি হলো এনার্জি। বাংলাদেশে তরুণ গবেষকদের দ্রুত অগ্রগতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে।’

প্রধান অতিথি শিষ হায়দার চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ প্রযুক্তি, সার্কুলার ইকোনমি এবং মানবিক মূল্যবোধ-নির্ভর এআই ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এআই যুগে প্রযুক্তি শুধু গতি বৃদ্ধি করবে না, বরং নিশ্চিত করবে যে প্রতিটি উদ্ভাবন মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বহু বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে তাদের সরকারকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশেও গভর্নমেন্ট-একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটিসহ দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং আইসিটি বিভাগ এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘উদ্ভাবন তখনই অর্থবহ হয় যখন তা মানবকল্যাণ, নৈতিকতা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলে। জিইউবি টেকসই উন্নয়ন এবং দায়িত্বশীল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমরা আমাদের গবেষক, শিক্ষার্থী এবং স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিকে পরিচালিত করছি, যাতে নতুন প্রযুক্তি শুধু উন্নততর হয় না, বরং মানুষের জীবনমানও উন্নত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি ৫.০-এর এই যাত্রায়, মানুষই প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন গবেষণা ও প্রযুক্তি তৈরি করা যা শিল্প, শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

সকাল ৯টায় জিইউবির মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও চেয়ারপারসন এবং দেশি-বিদেশি গবেষক ও অতিথিরা।

জিইউবির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল ডিসকাশন এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচিত ১১৮টি প্রবন্ধ আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ডিজিটাল লটারিতে দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন ও ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলে ভর্তির লটারিপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

লটারিপ্রক্রিয়া শেষ হলে বেলা পৌনে ৩টায় অনুষ্ঠানস্থলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন।

ইউনুস ফারুকী বলেন, এখন দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) এবং যেকোনো টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলেও তুলে ধরেন এ কর্মকর্তা।

সরকারি স্কুলে ফাঁকা ১৪ হাজার আসন

৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল, ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থীকে লটারিতে নির্বাচনের পর এ স্কুলগুলোর ১৪ হাজার ৭৫টি আসন ফাঁকা থাকছে।

বেসরকারি স্কুলে ৮ লক্ষাধিক আসন খালি

মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জনকে নির্বাচনের পর ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি আছে।

ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর

লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকী আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, যদিও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল, তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

সকালে সরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া এবং উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। পরে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।

ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়ায় সহায়তা দেওয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেলা পৌনে ৩টায় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক জাহিদ মো. ফিরোজ, টেলিটক ডিজিটাল সার্ভিসের ম্যানেজার জাহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত