আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের নামের সঙ্গে ‘পোগোজ’ শব্দটি কেন? হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। ‘পোগোজ’ শব্দটি পোগোজ স্কুলের নামের অংশ থেকে নেওয়া। এর ইতিহাস খুঁজতে ফিরে যেতে হবে প্রায় পৌনে দুই শ বছর আগে।
পোগোজ স্কুল ছিল বাংলাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। আজ থেকে প্রায় ১৭৬ বছর আগে তৈরি হওয়া বিদ্যালয়টি দেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যালয়। ১৮৪৮ সালে পোগোজ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন নিকোলাস পিটার পোগোজ, যিনি পরিচিত ছিলেন নিকি পোগোজ নামে।
ঢাকায় বসবাসকারী আর্মেনীয় ব্যবসায়ী, জমিদার এবং প্রভাবশালী নাগরিক নিকি পোগোজের বাসার নিচতলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন এর নাম ছিল পোগোজ অ্যাংলো-ভার্নাকুলার স্কুল। ১৮৫৫ সালে আরমানিটোলায় জেসি পেনিওটির ভাড়া বাসায় স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। তার পাঁচ বছর পর, ১৮৬০ সালে ঢাকার সদরঘাট এলাকার একটি দোতলা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে বিদ্যালয়টিকে বর্তমান ঠিকানা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে স্থাপন করা হয়।
ফি দিতে না পারায় ১৮৪৬ সালে ৯৬ জন ছাত্রকে ঢাকা কলেজ ছাড়তে হয়। তাদের প্রতি সমব্যথী হয়ে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন টি এ ওয়াইজ ১৮৪৬ সালের ১২ জুন ইউনিয়ন স্কুল চালু করেন। তবে অর্থাভাবে স্কুলটি দুই বছরের বেশি চলেনি। পরে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নিকি পোগোজ স্কুলটির ভার নিয়ে নিজের বাড়িতে নতুন নামে সেটি শুরু করেন। তিনি ছিলেন স্কুলটির প্রথম প্রধান শিক্ষক। ১৮৫৫ সালে নিকির গ্রিক জমিদার বন্ধু জে সি পানিয়াটির বাড়িতে এবং পরে ১৮৫৬ সালে আর্মেনি গির্জার পাশে সুধাময় হাউসে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। জমিদার মোহিনীমোহন দাস এ জায়গার ভূমি দান করেছিলেন।
১৮৭৬ সালে নিকোলাস পোগোজ মারা গেলে ঢাকার জমিদার মোহিনীমোহন দাস পোগোজ স্কুলের দুই-তৃতীয়াংশ কিনে নেন। এরপর কোনো এক সময় পোগোজ স্কুল বর্তমান জায়গায় স্থানান্তরিত হয়।
পোগোজ স্কুলের বিখ্যাত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, ডক্টর ডিগ্রি পাওয়া প্রথম বাঙালি নিশিকান্ত চ্যাটার্জি, প্রথম ভারতীয় ডক্টর অব সায়েন্স আঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ডক্টর পি কে রায়, সমাজসেবী আনন্দচন্দ্র রায়, প্রথম ভারতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য স্যার কে জি গুপ্ত, প্রথম কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদকারী গিরিশ চন্দ্র সেন, কবি শামসুর রাহমান, কায়কোবাদ, সম্পাদক কালী প্রসন্ন ঘোষ এবং কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, করাচির ব্যাংকিং কন্ট্রোলের পরিচালক জহিরুল হক, ঢাকা জুবিলি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শক্তি ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাথুরামোহন চক্রবর্তী, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক এম মামুন হোসেনসহ অনেকে।
২০১৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় পোগোজ স্কুল। বর্তমানে ৫৪ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের। আছে ১ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। একীভূত হওয়ার ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের নামের সঙ্গে ‘পোগোজ’ শব্দটি কেন? হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। ‘পোগোজ’ শব্দটি পোগোজ স্কুলের নামের অংশ থেকে নেওয়া। এর ইতিহাস খুঁজতে ফিরে যেতে হবে প্রায় পৌনে দুই শ বছর আগে।
পোগোজ স্কুল ছিল বাংলাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। আজ থেকে প্রায় ১৭৬ বছর আগে তৈরি হওয়া বিদ্যালয়টি দেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যালয়। ১৮৪৮ সালে পোগোজ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন নিকোলাস পিটার পোগোজ, যিনি পরিচিত ছিলেন নিকি পোগোজ নামে।
ঢাকায় বসবাসকারী আর্মেনীয় ব্যবসায়ী, জমিদার এবং প্রভাবশালী নাগরিক নিকি পোগোজের বাসার নিচতলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন এর নাম ছিল পোগোজ অ্যাংলো-ভার্নাকুলার স্কুল। ১৮৫৫ সালে আরমানিটোলায় জেসি পেনিওটির ভাড়া বাসায় স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। তার পাঁচ বছর পর, ১৮৬০ সালে ঢাকার সদরঘাট এলাকার একটি দোতলা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে বিদ্যালয়টিকে বর্তমান ঠিকানা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে স্থাপন করা হয়।
ফি দিতে না পারায় ১৮৪৬ সালে ৯৬ জন ছাত্রকে ঢাকা কলেজ ছাড়তে হয়। তাদের প্রতি সমব্যথী হয়ে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন টি এ ওয়াইজ ১৮৪৬ সালের ১২ জুন ইউনিয়ন স্কুল চালু করেন। তবে অর্থাভাবে স্কুলটি দুই বছরের বেশি চলেনি। পরে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নিকি পোগোজ স্কুলটির ভার নিয়ে নিজের বাড়িতে নতুন নামে সেটি শুরু করেন। তিনি ছিলেন স্কুলটির প্রথম প্রধান শিক্ষক। ১৮৫৫ সালে নিকির গ্রিক জমিদার বন্ধু জে সি পানিয়াটির বাড়িতে এবং পরে ১৮৫৬ সালে আর্মেনি গির্জার পাশে সুধাময় হাউসে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। জমিদার মোহিনীমোহন দাস এ জায়গার ভূমি দান করেছিলেন।
১৮৭৬ সালে নিকোলাস পোগোজ মারা গেলে ঢাকার জমিদার মোহিনীমোহন দাস পোগোজ স্কুলের দুই-তৃতীয়াংশ কিনে নেন। এরপর কোনো এক সময় পোগোজ স্কুল বর্তমান জায়গায় স্থানান্তরিত হয়।
পোগোজ স্কুলের বিখ্যাত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, ডক্টর ডিগ্রি পাওয়া প্রথম বাঙালি নিশিকান্ত চ্যাটার্জি, প্রথম ভারতীয় ডক্টর অব সায়েন্স আঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ডক্টর পি কে রায়, সমাজসেবী আনন্দচন্দ্র রায়, প্রথম ভারতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য স্যার কে জি গুপ্ত, প্রথম কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদকারী গিরিশ চন্দ্র সেন, কবি শামসুর রাহমান, কায়কোবাদ, সম্পাদক কালী প্রসন্ন ঘোষ এবং কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, করাচির ব্যাংকিং কন্ট্রোলের পরিচালক জহিরুল হক, ঢাকা জুবিলি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শক্তি ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাথুরামোহন চক্রবর্তী, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক এম মামুন হোসেনসহ অনেকে।
২০১৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় পোগোজ স্কুল। বর্তমানে ৫৪ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের। আছে ১ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। একীভূত হওয়ার ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে সামার ২০২৫ সেশনে ভর্তি শুরু হয়েছে। এই ইউনিভার্সিটি ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে ২৯টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দিনব্যাপী ‘নেক্সট জেন বাংলাদেশ: ইঞ্জিনিয়ারিং টুমরো’ শীর্ষক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ এবং অ্যাডমিশন অফিসের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন অনুষ্ঠ
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টন ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেনশিয়াল বৃত্তি ২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের তহবিলযুক্ত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে