সাব্বির হোসেন
বাংলাদেশের ইতিহাসে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতা পুরোনো ধারার অংশ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাংবাদিকতার ধারা শুরু হয়েছিল। আজও এটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসিত পেশা হিসেবে পরিচিত। চলুন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অভিজ্ঞতা অর্জন
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি কঠিন কাজ। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার চাপ, টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন, ভাইভা ও অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি সাংবাদিকতার কাজ করে থাকেন। সাংবাদিকতার কঠিন কাজটি পূর্ণকালীন সাংবাদিকতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। কারণ, এখানে ভুল করার সুযোগ কম থাকে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকেরা নির্দিষ্ট সময়ে খবর সংগ্রহ, রিপোর্ট লেখা ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি একাডেমিক পাঠদান ঠিক রাখেন।
সৃজনশীল দক্ষতার বিকাশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পরে শিক্ষার্থীরা নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। একাডেমিক পড়াশোনা ছাড়াও ক্যাম্পাসে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি ব্যতিক্রমী এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস হিসেবে পরিচিত। এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, দলগত কাজ, যোগাযোগের দক্ষতা এবং ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনে সহায়ক দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে।
কথা বলার দক্ষতা অর্জন
ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য কথা বলার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সাংবাদিককে প্রতিদিন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। তাঁদের কথা শোনার পাশাপাশি নিজের মতামতও প্রকাশ করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ান এবং জনগণের সামনে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করেন। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করে অনেকে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলা শেখেন, যা পেশাগত জীবনে সহায়ক হয়ে ওঠে।
মানিয়ে চলার গুণ
সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। যোগাযোগ করতে হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বিভিন্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে হয়। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, বিশেষ করে যখন একটি সংবাদ অন্য একটি গ্রুপের বিপক্ষে যায়। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের চাপ সইতে শিখতে হয়। এমন মুহূর্তে নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয়।
ভিডিও রিপোর্টিংয়ের সুযোগ
বর্তমানে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের খবর তুলে ধরছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের এখন শুধু লিখিত সংবাদ নয়, পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়। লাইভ সংবাদও প্রচার করতে হয়। এই মাল্টিমিডিয়া প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করে।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং। তবে এটি অত্যন্ত সম্মানিত পেশা। এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক শুধু ক্যাম্পাসের খবর সংগ্রহ করেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, সমস্যা এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা বড় পরিসরে তুলে ধরেন; যা ক্যাম্পাসের আয়নার মতো।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতা পুরোনো ধারার অংশ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাংবাদিকতার ধারা শুরু হয়েছিল। আজও এটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসিত পেশা হিসেবে পরিচিত। চলুন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অভিজ্ঞতা অর্জন
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি কঠিন কাজ। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার চাপ, টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন, ভাইভা ও অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি সাংবাদিকতার কাজ করে থাকেন। সাংবাদিকতার কঠিন কাজটি পূর্ণকালীন সাংবাদিকতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। কারণ, এখানে ভুল করার সুযোগ কম থাকে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকেরা নির্দিষ্ট সময়ে খবর সংগ্রহ, রিপোর্ট লেখা ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি একাডেমিক পাঠদান ঠিক রাখেন।
সৃজনশীল দক্ষতার বিকাশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পরে শিক্ষার্থীরা নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। একাডেমিক পড়াশোনা ছাড়াও ক্যাম্পাসে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি ব্যতিক্রমী এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস হিসেবে পরিচিত। এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, দলগত কাজ, যোগাযোগের দক্ষতা এবং ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনে সহায়ক দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে।
কথা বলার দক্ষতা অর্জন
ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য কথা বলার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সাংবাদিককে প্রতিদিন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। তাঁদের কথা শোনার পাশাপাশি নিজের মতামতও প্রকাশ করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ান এবং জনগণের সামনে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করেন। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করে অনেকে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলা শেখেন, যা পেশাগত জীবনে সহায়ক হয়ে ওঠে।
মানিয়ে চলার গুণ
সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। যোগাযোগ করতে হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বিভিন্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে হয়। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, বিশেষ করে যখন একটি সংবাদ অন্য একটি গ্রুপের বিপক্ষে যায়। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের চাপ সইতে শিখতে হয়। এমন মুহূর্তে নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয়।
ভিডিও রিপোর্টিংয়ের সুযোগ
বর্তমানে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের খবর তুলে ধরছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের এখন শুধু লিখিত সংবাদ নয়, পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়। লাইভ সংবাদও প্রচার করতে হয়। এই মাল্টিমিডিয়া প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করে।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং। তবে এটি অত্যন্ত সম্মানিত পেশা। এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক শুধু ক্যাম্পাসের খবর সংগ্রহ করেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, সমস্যা এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা বড় পরিসরে তুলে ধরেন; যা ক্যাম্পাসের আয়নার মতো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগেরাজধানীর সাতটি কলেজে শিক্ষার্থীদের সেবামূলক কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা ডেস্কে গিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান পাবেন। ঈদুল আজহার ছুটির পর এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে কর্ত
১ দিন আগেএকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
২ দিন আগে২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। নতুন এই কারিকুলামে দায়, দরদ ও ইনসাফ শব্দগুলো ব্যবহার করতে হলে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
২ দিন আগে